মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আসামের ছয়টি আটক কেন্দ্রে থাকা ‘ঘোষিত বিদেশী’দের বহিষ্কারে অনিশ্চয়তার কারণে অনির্দিষ্টকাল কারারুদ্ধ করে রাখার বিরুদ্ধে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে যখন একটি মামলার শুনানি চলছে ঠিক তখনই নতুন আটক কেন্দ্র তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্ণাটক। এ পর্যন্ত যাদেরকে কাগজপত্রহীন বিদেশী হিসেবে আটক করা হয়েছে তাদেরকে এই কেন্দ্রে রাখা হবে। কেন্দ্রটি চালু হওয়ার পর আসামের পর দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যটি হবে বহিষ্কারের অপেক্ষায় থাকা আদালত কর্তৃক ঘোষিত বিদেশীদের আটক রাখার বিশেষ ব্যবস্থার অধিকারী দ্বিতীয় রাজ্য। অবৈধ অধিবাসীদের আটক রাখার জন্য কর্ণাটক কোন আটক কেন্দ্র স্থাপন করছে কিনা, লোকসভায় বাঙ্গালুরুর কেন্দ্রীয় নির্বাচনী এলাকার এমপি পি সি মোহনের এমন এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যান্দ রাই ২ জুলাই বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, রাজ্য সরকার জানিয়েছে যে একটি আটক কেন্দ্র নির্মাণের প্রক্রিয়ায় রয়েছে তারা। রাই বলেন, এই উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় পুলিশবল ও অন্যান্য অবকাঠামো সুবিধা বরাদ্দ করা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় কাজ এগিয়ে চলেছে।
গত ফেব্রুয়ারিতে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় সুপ্রিম কোর্টকে জানায় যে আসামে একটি পুরোদস্তুর আটক কেন্দ্র স্থাপনের জন্য ৪৭ কোটি রুপি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে এবং ৩১ আগস্টের মধ্যে এটি কার্যকর হবে। এর বাইরে উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যটিতে আরো নয়টি এ ধরনের কেন্দ্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে ২ জুলাই রাইয়ের উত্তরে কর্ণাটককে আটক কেন্দ্র নির্মাণের জন্য আর কি কি অবকাঠামো সরবরাহ করা হয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু উল্লেখ করা হয়নি। এমপি মোহনের প্রশ্নের জবাবে কর্ণাটকের কেন্দ্রটি কখন প্রস্তুত হবে বা কোথায় এটি অবস্থিত সে বিষয়েও মন্ত্রী কিছু বলেননি। তবে ২০১৮ সালে পত্রিকার এক খবরে বলা হয় যে, বাঙ্গালুরুর নিলামঙ্গল এলাকায় কেন্দ্রটি স্থাপন করা হবে এবং ২০১৯ সালের মধ্যেই এটি চালু হতে পারে। এডিজিপি (ল এন্ড অর্ডার) কমল পান্ত গত বছর নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছিলেন, আটক ব্যক্তিদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর আগে এটি হবে একটি ট্রানজিট ক্যাম্পের মতো। মজার বিষয় হলো, এমপি মোহন যখন দেশে ও কর্ণাটকে বাস করে এমন ‘অবৈধ অভিবাসীদের’ সম্পর্কে কোন তথ্য রয়েছে কিনা তা জানতে চান তখন কেন্দ্রিয় মন্ত্রী শুধু ‘অবৈধ বাংলাদেশী নাগরিক’ সম্পর্কিত তথ্য উপস্থাপন করেন। দেশে কত সংখ্যক অবৈধ বিদেশী বাস করছে তার কোন সঠিক তথ্য সরকারের কাছে না থাকার কথা স্বীকার করেন মন্ত্রী। কারণ এরা গোপনে ও কর্তৃপক্ষের অগোচরে দেশে প্রবেশ করে। তবে মন্ত্রী কর্ণাটক সরকারের কাছ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাওয়া তথ্য তুলে ধরে বলেন, এই রাজ্যে অবৈধ বাংলাদেশী নাগরিকদের বিরুদ্ধে ১৪৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং রাজ্য থেকে ১৪৪ জন অবৈধ বাংলাদেশীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মন্ত্রী আরো জানান যে ২০০৯, ২০১২, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে সময়ে সময়ে সকল রাজ্য সরকার ও ইউনিয়ন টেরিটরি প্রশাসনকে প্রয়োজন অনুযায়ী আটক কেন্দ্র নির্মাণের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, যাতে বহিষ্কারের সময় অবৈধ বিদেশী নাগরিকদের শারীরিকভাবে উপস্থিত পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে গত ৯ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় আরেকটি থেকে নির্দেশনা জারি করে। এসএএম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।