পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নদী উদ্ধারে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) বুড়িগঙ্গা নদীর তীরের অভিযানে দেড় শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে। গতকাল বুধবার সকালে বুড়িগঙ্গা নদীর কেরানীগঞ্জ অংশের মান্দাইল গোকুলচর থেকে অভিযান শুরু করে বিআইডব্লিউটিএ। এসময় নদীর দক্ষিণ তীরের ১৫১টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। যা নদীর জায়গা দখল করে অবৈধভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল।
বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিন বলেন, অভিযানের ৩৭তম দিনে নদী তীরে গড়ে তোলা তিনটি তিনতলা পাকা ভবন, আটটি দোতলা ভবন, ২৩টি এক তলা পাকা ভবন উচ্ছেদ করা হয়। নদীর দখলকৃত প্রায় দেড় একর জায়গা অবমুক্ত হয়েছে। এছাড়া ৬৫টি আধা পাকা স্থাপনা, ১৪টি সীমানা দেয়াল ও ৩৮টি টিনের ঘরসহ মোট ১৫১টি স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বিআইডব্লিউটিএ।
যুগ্ম পরিচালক বলেন, কেরানীগঞ্জ থানার মান্দাইল গোকুলচর এলাকা থেকে বাবুবাজার ব্রিজ পর্যন্ত নদীর দক্ষিণ তীরে অভিযানটি পরিচালনা করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে নদীর উত্তর তীরের কামরাঙ্গীরচরের হুজুরপাড়া থেকে বাবুবাজার ব্রিজ অভিমুখে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি বুড়িগঙ্গা নদীর খোলামোড়া ঘাট এলাকা থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে বিআইডব্লিউটিএ। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চলা অভিযানটি তিন পর্বে পরিচালিত হয়। প্রতি পর্বে ১২ কার্যদিবস হিসেবে তিন পর্বে মোট ৩৬ কার্যদিবস অভিযান পরিচালনা করে বিআইডব্লিউটিএ। তিন পর্বে চালানো অভিযানে নদী তীরভ‚মি দখল করে গড়ে তোলা ৫৩১টি পাকা ভবন, ৫৯৮টি আধা পাকা ভবন, ২৪৭টি সীমানা দেয়ালসহ ছোট-বড় মিলিয়ে মোট তিন হাজার ৫৭৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এর মধ্য দিয়ে নদীর ৯১ একর জায়গা অবমুক্ত করা হয়েছে বলে জানায় বিআইডব্লিউটিএ।
এছাড়া জরিমানার মাধ্যমে আদায় হয়েছে পাঁচ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। উচ্ছেদকৃত মালামাল নিলামে বিক্রি করে আরও পাঁচ কোটি দুই লাখ ২৬ হাজার টাকা আদায়ের কথা জানান বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক। অভিযানে বাধা দেয়া ও অবৈধভাবে নদী দখলের কারণে ২২ জনকে আসামি করে ছয়টি মামলাও করে সংস্থাটি। ৩৭তম দিনের উচ্ছেদ অভিযান শেষে ছোট-বড় মিলিয়ে মোট উচ্ছেদ করা হয়েছে তিন হাজার ৯২৪টি স্থাপনা। আর উদ্ধার হয়েছে প্রায় সাড়ে ৯৪ একর নদী।
মিরপুরে চার শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ:
এদিকে সকালে রাজধানীর মিরপুর সেকশন-১ এর মাজার রোড থেকে সনি সিনেমা হল পর্যন্ত ফুটপাথ ও সড়কে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এ অভিযান পরিচালনা করে চার শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। অভিযানটি পরিচালনা করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিদ আনোয়ার।
অভিযানে ফুটপাথ ও রাস্তায় অবৈধভাবে স্থাপিত চার শতাধিক অস্থায়ী দোকান, সীমানা প্রাচীর ও অন্যান্য স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়, যা অবৈধভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল। অভিযানে প্রায় ৪০ হাজার বর্গফুট এলাকা জনগণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন অভিযান পরিচালনাকারী ম্যাজিস্ট্রেট।
এছাড়া মিরপুর-১ নম্বর মুক্তিযোদ্ধা মার্কেটের দক্ষিণ পার্শে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা একটি প্লাস্টিকের মার্কেট এবং পূর্ব দিকে সবজি বাজার উচ্ছেদ করা হয়। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে ডিএনসিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। অভিযানকালে ঢাকা উত্তরের ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কাজী টিপু সুলতান ও আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা সালেহা বিনতে সিরাজ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।