পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
২০১৫ সালে সম্পাদিত পরমাণু চুক্তির শর্ত না মেনে ইরান ইউরেনিয়ামের মজুদ বাড়ানোর ঘোষণা দেয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরান আগুন নিয়ে খেলছে বলে মন্তব্য করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চুক্তির আরেক শরিক যুক্তরাজ্য বলছে, তেহরান চুক্তি ভাঙলে তারা চুক্তি থেকে বেরিয়ে যাবে। বিশ্বের ছয় পরাশক্তির সঙ্গে ২০১৫ সালে একটি চুক্তি করে ইরান। এতে পরমাণু কর্মসূচি সীমিত করার শর্ত ছিল তেহরানের ওপর। কিন্তু পরমাণু চুক্তির শর্ত না মেনে ইউরেনিয়ামের মজুদ বাড়িয়েছে ইরান। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ খোদ এই তথ্য দেন গতকাল সোমবার। সম্পাদিত ইরান পরমাণু চুক্তিতে ইউরেনিয়াম মজুদের মাত্রা ৩০০ কেজির মধ্যে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ইরানের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ যুক্তরাষ্ট্র। সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তেহরানকে প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়ে বলেছেন, ‘আগুন নিয়ে খেলছে ইরান।’ ট্রাম্প বলেন, ‘ইরানকে আর কিছুই বলার নেই। তারা নিজেরাই জানে তারা কী করছে। তারা এও জানে, আগুন নিয়ে খেলছে তারা। তাই ইরানকে বার্তা দেওয়ার কিছুই নেই।’ ইরানের এমন কর্মকান্ডে নাখোশ চুক্তিবদ্ধ বাকি পরাশক্তিগুলো। এভাব চলতে থাকলে যুক্তরাষ্ট্রের মতো ইরান পরমাণু চুক্তি থেকে তারাও বেরিয়ে যাওয়ার কথা বলছে। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট বলেন, ‘আমরা আগে থেকেই পরমাণু চুক্তির পক্ষে সমর্থন দিয়ে আসছি। এখনো চুক্তিটির পক্ষে আমরা। কারণ, আমরা চাই না ইরানের পরমাণু অস্ত্র তৈরির কর্মসূচি অব্যাহত রাখুক। ইরান যেহেতু চুক্তির শর্ত মানছে না, তাহলে আমরাও সেই থেকে বেরিয়ে যাব।’ এ ছাড়া ইরানের ইউরেনিয়ামের মজুদ বাড়ানোর ঘোষণায় জাতিসংঘও উদ্বিগ্ন। সোমবার এক প্রতিক্রিয়ায় সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস ইরানকে চুক্তির প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার আহ্বান জানান। জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেন, ‘জাতিসংঘ মহাসচিব মনে করেন, ইউরেনিয়ামের মজুদ বাড়িয়ে পরমাণু চুক্তি ধরে রাখতে পারবে না ইরান। এসব করে তারা অর্থনৈতিকভাবেও লাভবান হবে না। পরমাণু চুক্তি সম্পর্কিত সব শর্তই ইরানের মেনে চলা উচিত। তা করলে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সবাইকে কাছে পাবে তারা।’ যদিও গত বছর পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের একতরফাভাবে বেরিয়ে যাওয়া এবং ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করায় আগে থেকেই ওয়াশিংটনের ওপর ক্ষিপ্ত ছিল তেহরান। রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।