পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সিএমএইচ-এ চিকিৎসাধীন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক প্রেসিডেন্ট এইচ এম এরশাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটেছে। দু’দিন আগে তার অক্সিজেন খুলে ফেলা হলেও গতকাল আবার তাকে অক্সিজেন দেয়া হয়েছে। শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে তাকে অক্সিজেন সাপোর্টে রাখা হয়েছে।
জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের গতকাল সংবাদ সম্মেলন করে জানান, দলের চেয়ারম্যান এরশাদকে অক্সিজেন সাপোর্টে রাখা হয়েছে। দেশের বাইরে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে তাদের পরিবার প্রস্তুত। তবে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) চিকিৎসায় প্রতি তাদের আস্থা রয়েছে।
দলের চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জি এম কাদের বলেন, ৩০ জুন সকালে এরশাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। এর আগে গত শনিবার পর্যন্ত তার শারীরিক অবস্থার ৫০ শতাংশ উন্নতি হয়েছিল। কিন্তু রোববার থেকে তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় তাকে অক্সিজেন দেয়া হয়। ওষুধের পরিবর্তন করে তার ইনফেকশন বন্ধের চিকিৎসা চলছে।
জিএম কাদের বলেন, মিডিয়াতে প্রচার হয়েছে অর্থের অভাবে পার্টির চেয়ারম্যানের চিকিৎসা করা সম্ভব হচ্ছে না- এটা সম্পূর্ণ ভুল। আমার যা কিছু আছে, সর্বস্ব দিয়ে হলেও ভাইকে (এরশাদ) সুস্থ করতে আমি প্রস্তুত। তা ছাড়া তিনি তো এখনো সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা। সাবেক প্রেসিডেন্ট সাবেক সেনাপ্রধান। তার চিকিৎসার অর্থ রাষ্ট্রও দেবে।
জাতীয় সংসদে গত বৃহস্পতিবার পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেছিলেন, ‘অর্থের অভাবে এরশাদের চিকিৎসা করা সম্ভব হচ্ছে না’। এই কথা কেন বলা হয়েছিল- সংবাদ সম্মেলনে জানতে চান সাংবাদিকরা। জবাবে মহাসচিব রাঙ্গা বলেন, সংসদে বলা আমার বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে মিডিয়াতে।
নিয়মিত চেকআপের জন্য এরশাদ গত ২৬ জুন সিএমএইচে গেলে তাকে সেখানে ভর্তি করা হয়। তখন থেকে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর আগে গত ২০ জানুয়ারি এরশাদকে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেয়া হয়েছিল। ৯১ বছর বয়সী হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। ১০ ডিসেম্বর চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যান। এই কারণে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারেননি; এমনকি নিজে ভোট দিতেও নির্বাচনী এলাকায় যাননি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।