Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

ট্রাক বাসের চাপায় হাত কাটা পড়ল কলেজ ছাত্রের

রাজশাহী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৯ জুন, ২০১৯, ১১:৩০ এএম

রাজশাহীর কাটাখালীতে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ট্রাক-বাস পাশাপাশি অতিক্রম করার সময় চাপায় ফিরোজ সরদার নামে রাজশাহী কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। হাত কনুই থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। তার বাবার নাম মাহফুজার রহমান। বাড়ি বগুড়ার নন্দিগ্রাম উপজেলায়। রাজশাহী কলেজে তার মাস্টার্স পরীক্ষা চলছে। পরীক্ষার ছুটিতে সে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা দেয়ার জন্য বাড়িতে যায়। শুক্রবার পরীক্ষা দিয়েই রাজশাহী ফিরছিল। আগামী রবিবার তাদের কলেজের পরীক্ষা রয়েছে। গত ২২ জুন থেকে এই পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
দুই গাড়ীর ঘর্ষণে বাহুর নিচ থেকে হাত কেটে পড়ে থাকে রাস্তায়। ফিরোজকে নিয়ে বাস চলে যায় রাজশাহী বাস টার্মিনালে। রাস্তায় হাত পড়ে থাকতে দেখে গ্রামের লোকজন কাঁটাখালী থানার পুলিশকে খবর দেয়। তাড়াতাড়ি নিয়ে যেতে পারলে হাত জোড়া লাগানো যেতে পারে এই আশায় কাটাখালী থানার পুলিশ হাত উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। ততক্ষণে বাস থেকে নামিয়ে ফিরোজকেও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাত পৌঁছানোর পর চিকিৎসক বলছেন, এ হাত আর জোড়া দেওয়া সম্ভব নয়।

বাসে তার সঙ্গে ছিল তার সহপাঠী শ্রী বীরেশ্বর চন্দ্র প্রামাণিক। তার বাড়ি বগুড়ায়। তারা দুজনেই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন। নন্দিগ্রামে ফিরোজ একই বাসে ওঠে। পরে উঠার কারণে ফিরোজ সিট পায়নি বলে দাড়িয়ে ছিল। এক পর্যায়ে পিছের দিকে সিট পায়। বাসের মধ্যে তার সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ হয়নি। রাজশাহী শহরের উপকণ্ঠে পবা উপজেলার কাটাখালী পৌর এলাকায় এসে বাস খুবই বেপরোয়াভাবে চলছিল। হঠাৎ একটা গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগে। একটা বিকট শব্দ শুনতে পান। তারপর বাসের মধ্যে চিৎকার শুনতে পায়-সবাই বলছে, হাত পড়ে গেছে। কার হাত, তা তখন বুঝতে পারেনি। বাসটি রাজশাহী নগরের তালাইমারী এসে থামে। তখন দেখে তার বন্ধু ফিরোজকেই নামানো হচ্ছে। তার ডান হাত বাহু থেকে কাটা পড়ে গেছে। রাজশাহী নগরের কাটাখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, সন্ধ্যায় এলাকাবাসীর মাধ্যমে তিনি খবর পান যে কাটাখালী পৌরসভার সামনে রাজশাহী নাটোর সড়কে একটা হাত কেটে পড়ে আছে। এ খবর পেয়ে তিনি পুলিশ পাঠিয়ে দেন। থানার উপপরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম, শাহীন ও কনস্টেবল হাফিজ ও মিজান হাত উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
উপপরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তারা হাত নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ আগেই ফিরোজকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা হাত নিয়ে যাওয়ার পরে চিকিৎসক তাদের জানান এ হাত জোড়া দেওয়া সম্ভব হবে না। খবর পেয়ে রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ হবিবুর রহমান হাসপাতালে ছুটে যান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সড়ক দুর্ঘটনা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ