২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
প্যানক্রিয়াটাইটিস হলো প্যানক্রিয়াস বা অগ্নাশয়ের প্রদাহ। এই অগ্নাশয়টি দেখতে অনেকটা পাতার মতো। পেটের উপরের দিকে এর অবস্থান। অগ্নাশয় ইনসুলিনসহ বিভিন্ন প্রকার হরমোন ও এনজাইম তৈরি করে যা কার্বোহাইডেট, চর্বি ও প্রোটিন জাতীয় খাবার হজম করতে সাহায্য করে। এই প্যানক্রিয়াসেও বিভিন্ন অসুখ হয়। এর মধ্যে প্রদাহ সবচেয়ে বেশি হয়। প্যানক্রিয়াটাইটিস দুই ধরণের হয়। তীব্র বা একিউট এবং ক্রনিক। একিউট প্যানক্রিয়াটাইটিস অনেক সময় বিপদজনক হয়ে দাঁড়ায় । একিউট পেনক্রিয়াটাইটিস কেন হয় বিজ্ঞানীরা সব জানতে পারেননি । তবে কিছু কারণ জানতে পেরেছেন। এর মধ্যে আছেঃ-
১। পিত্ত থলিতে পাথর, ২।পিত্ত নালীতে পাথর, ৩। এলকোহল পান, ৪। ভাইরাস সংক্রমন, ৩। আঘাতজনিত, ৪। পেটে অপারেশন, ৫। রক্তে চর্বির আধিক্য, ৬। বিভিন্ন সংক্রমণ।
প্যানক্রিয়াটাইটিসে বিভিন্ন লক্ষণ দেখা যায়। তবে সবার একরকম লক্ষণ থাকেনা। একিউট প্যানক্রিয়াটাইটিসে তীব্র পেট ব্যথা থাকে। পেটে ব্যথা তীব্র হয় সাধারণত তৈলাক্ত খাবার খাওয়ার পর। রোগী নামাজের ভঙ্গিতে উপুর হয়ে বসলে আরাম পায়। বমি ভাব বা বমি হতে পারে।
ভালভাবে ইতিহাস নিলে এবং শারীরিক পরীক্ষা করলে অনেকটাই এই রোগ সম্পর্কে বোঝা যায় । তবে নিশ্চিত হবার জন্য ল্যাব টেস্ট করতে হয়। রক্তের এমাইলেজ এনজাইম কয়েকগুণ বেড়ে যায়। দুইদিন পরে রোগী আসলে প্রস্রাবে এমাইলেজ এনজাইম মাপা হয়। এছাড়া আলট্রাসনগ্রাফি , এক্স রে, সিটি স্ক্যান ইত্যাদি পরীক্ষাও করা হয়।
একিউট প্যানক্রিয়াটাইটিস এর রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দিতে হবে। বাসায় বা চেম্বারে চিকিৎসা দেবার কোন সুযোগ নেই। মুখে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ রাখতে হবে। স্যালাইন দিতে হবে। ব্যথানাশক ওষুধ ও পেপটিক আলসারের ওষুধ দিতে হবে। এন্টিবায়োটিক লাগতে পারে।
সঠিকভাবে ও সময়মতো চিকিৎসা না হলে বিভিন্ন প্রকার জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই এই রোগ হলে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
ডাঃ মোঃ ফজলুল কবির পাভেল
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।