মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারত সফরে এসে দেশটিতে সংখ্যালুদের উপর নির্যাতন ও সহিংসতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব মাইক পম্পেও। তিনি বলেন, ধর্মীয় স্বাধীনতার সঙ্গে আপস করা মানে বিশ্বকে খারাপ পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দেয়া। খবর নিউজ এইটিন, এনডিটিভি।
ভারতের মাটিতে দাঁড়িয়ে দেয়া পম্পেওর এই বক্তব্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। কারণ গত সপ্তাহে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের বার্ষিক আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা শীর্ষক রিপোর্টে বলা হয়, ভারতে বিশেষত মুসলমানরা চরমপন্থী হিন্দু গোষ্ঠীর দ্বারা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। গরুর মাংস খাওয়া ও রাখা নিয়েও হিংসার বলি হতে হচ্ছে তাদের। এই পরিস্থিতিতে ভারতের অন্যতম বন্ধু যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র সচিবের এই বার্তা হালকা করে নেয়ার কোন সুযোগ নেই। যদিও, রিপোর্ট প্রকাশের পরই ভারত সরকারের পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছিল।
আর এবার পম্পেও খোদ ভারতে এসে ধর্মীয় স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলে বুঝিয়ে দিলেন, ভারত ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকলেও ধর্মীয় সহিংসতার বিষয়ে তারা কঠোর অবস্থানেই থাকবেন। পম্পেওর কথায়, ‘বিশ্বের ৪টি বহুল প্রচলিত ধর্মের জন্মভ‚মি ভারত। আসুন সবাই মিলে ধর্মীয় স্বাধীনতার পক্ষে একজোট হই। সবাই মিলে ধর্মীয় স্বাধীনতার জন্য উঠে দাঁড়াই। না হলে এ বিশ্ব সুন্দর থাকবে না।’ একই সঙ্গে মাসুদ আজহারকে গ্লোবাল টেররিস্ট তালিকায় ঢোকানোর জন্য জাতিসংঘকে ধন্যবাদও জানান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তার কথায়, ‘বিশ্বের দরবারে ভারত ক্রমেই আরও মাথা উঁচু করে দাঁড়াচ্ছে। এই ইতিবাচক দিককে যুক্তরাষ্ট্র স্বাগত জানাচ্ছে।’ তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, উভয়েই এমন নেতা, যারা ঝুঁকি নিতে ভয় পান না এবং উভয় দেশই তাই এক সঙ্গে হাত মিলিয়ে চলতে চায়। উভয়েই উচ্চাকাক্সক্ষাই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ইরানের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞার পক্ষে সমর্থন বাড়াতে সউদী আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরের পর এবার ভারত এসেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। মঙ্গলবার রাতে নয়াদিল্লি পৌঁছেন মাইক পম্পেও। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপি টানা দ্বিতীয়বারের সরকার গঠনের পর দেশটিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এটিই প্রথম সফর।
এদিকে, আমেরিকা যতই নিষেধাজ্ঞা জারি করুক না কেন, ওইসব ভারতের ক্ষেত্রে খাটবে না। অন্যান্য রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারত তার জাতীয় স্বার্থ দেখবে। যেমন, রাশিয়ার সঙ্গে নয়া দিল্লির এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে চুক্তি রয়েছে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থাকা মেনে চললেও এই চুক্তি থেকে পিছিয়ে আসতে পারবে না ভারত। বুধবার নয়াদিল্লিতে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে আমেরিকার সেক্রেটারি অব স্টেট মাইক পম্পেও-কে এই কথাই বুঝিয়ে দিলেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
ভারতের এই অবস্থান যে আমেরিকা মেনে নিয়েছে তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘কাউন্টারিং আমেরিকাস অ্যাডভারসরিস থ্রু স্যানশন অ্যাক্ট’ বা ‘কাটসা’ আইনের জন্য মস্কোর থেকে এস-৪০০ কেনার বিষয়ে ভারতকে সমস্যায় পড়তে হতে পারত। এ বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর জানান, ভারতের সঙ্গে অন্যান্য রাষ্ট্রের সম্পর্কের একটা ইতিহাস আছে। জাতীয় স্বার্থে ভারত যা করার তা করবে। এদিনের বৈঠকে জ্বালানি ও বাণিজ্য থেকে শুরু করে আফগানিস্তানের এবং ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিস্থিতি - এইরকম বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান জয়শঙ্কর। এছাড়া সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন ভারতের পাশে থাকায় তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।