Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কঁচা নদী খননে নৌ চলাচলে ফিরেছে স্বস্তি

চরখালী-টগড়া ফেরি চলাচলে নেই বাঁধা

ইন্দুরকানী (পিরোজপুর) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২২ জুন, ২০১৯, ৩:৩৯ পিএম

মাত্র কয়েক মাস আগেও পিরোজপুরের ইন্দুরকানী ও ভান্ডারিয়ার মধ্যবর্তী কঁচা নদীতে দীর্ঘ দিন ধরে ডুবোচরে আটকে নৌ চলাচল ব্যহত হচ্ছিল। চরখালী-টগড়া ফেরি চলাচলে ভোগান্তির কোন শেষ ছিল না। বিশেষ করে শুকনো মৌসুমে নদীতে পানি কম থাকায় ডুবোচরে আটকে যেত নৌ-যান।
এখানে নাব্য সংকটের কারণে আন্তর্জাতিক নৌ-পথ থেকে শুরু করে অভ্যন্তরীণ নৌ যোগাযোগ পড়েছে অনেক সময় হুমকির মুখে। এই রুটে বাংলাদেশ-ভারত (অভ্যন্তরীণ) এবং খুলনা ও মংলার সাথে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের নৌ যোগাযোগ রয়েছে। ডুবোচরের কারনে এ পথে চলাচলকারী বিআইডবিøউটিসির রকেট-স্টিমার, সরকারি ও বেসরকারি অয়েল ট্যাংকার, কোস্টার, কার্গো, নৌবাহিনীর জাহাজ ইত্যাদি চলাচলে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়।

এ সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসেন সাবেক মন্ত্রী ও পিরোজপুর-২ আসনের (কাউখালী-ভান্ডাারিয়া-ইন্দুরকানী) সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। তিনি নিজস্ব ঐকান্তিক চেষ্টায় যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের স্বার্থে কঁচা নদীর ডুবোচর খননের ব্যবস্থা করেন।

বর্তমানে বরিশাল-ঝালকাঠি-ভান্ডারিয়া-পিরোজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের ৫৩ কিলোমিটারে কঁচা নদীর চরখালী-টগড়া পয়েন্টের উভয় পাশে অবস্থিত ডুবোচর খননের (ড্রেজিং) কাজ বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজিং ডিপার্টমেন্ট থেকে সম্পন্ন করা হচ্ছে।
বিআইডবিøউটিএর টেকনিক্যাল এসিস্ট্যান্ট (সিভিল) মিজানুর রহমান সোহেল জানান, কঁচা নদীর ৫০০ মিটার দীর্ঘ ও ২৩ মিটার চওড়া এলাকায় এই খনন কাজ প্রায় শেষের দিকে। এখানে ৬৫ হাজার ঘনমিটার মাটি উত্তোলন করা হবে।
প্রায় এক মাস ধরে খনন কাজ চলছে চরখালী-টগড়া ফেরি ঘাট সংলগ্ন এলাকায়।

চরখালী-টগড়া ফেরির ইজারা আদায় কর্মী হায়দার আলী জানান,‘ ডুবোচরের কারণে প্রায়ই ফেরি চলাচল ব্যাহত হয়েছে এখানে। পন্য পরিবহনেও সমস্যার কোন শেষ ছিল না। অনেক সময় গাড়িসহ ফেরিগুলো ডুবোচরে দীর্ঘসময় ধরে আটকে থাকত। এমনকি এ্যাম্বুলেন্সে রোগিসহ ফেরি মাঝ নদীতে ঘন্টার পর ঘন্টা ডুবোচরে আটকে থাকায় রোগির মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে এখানে। দীর্ঘ সময় নদীর উভয় প্রান্তে যানবাহনের লম্বা লাইন চোখে পড়াটাও ছিল স্বাভাবিক।’
বর্তমানে সে চিত্র আর নেই। দূরন্ত গতীতে নিয়মিত ভাবে ফেরি চলাচল করছে। নির্বিঘেœ যাত্রী সাধারণ পৌঁছে যাচ্ছে তাদের গন্তব্যে। সবার মাঝে এখন স্বস্তির নিশ্বাস।
এ বিষয়ে পিরোজপুর জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নুরুল হক খোকন জানান, ‘চরখালী-টগড়া ফেরিটি দক্ষিনাঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে। কিন্তু কঁচা নদীতে ডুবোচরের কারনে দীর্ঘ দিন ধরে বেশ কয়েকটি রুটের যানবাহন চলাচলে যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। বর্তমানে চরখালী-টগড়া ফেরিঘাট ব্যবহারকারী দক্ষিণাঞ্চলের বরগুনা, পাথরঘাটা, মঠবাড়িয়া, ভান্ডারিয়া, কাঠালিয়া, পিরোজপুর রুটের যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে আর সমস্যা হচ্ছে না।’

চরখালী-টগড়া ফেরির চালক দেলোয়ার হোসেন জানান,‘ কিছু দিন আগেও ভাটির সময় ফেরি বন্ধ করে রাখতে হয়েছে। প্রায়ই ফেরি আটকে যেত মাঝ নদীতে। ডুবোচরের কারনে ফেরি চালাতেই পারতাম না। নদী খননের ফলে এখন আর সমস্যা হচ্ছে না।’
কঁচা নদীতে ডুবোচর খননের ব্যবস্থা করায় এই রুট ব্যবহারকারী যাত্রীসাধারন সাবেক মন্ত্রী ও পিরোজপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন মঞ্জু’র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: স্বস্তি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ