মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
প্রচলিত ব্যাংকিংয়ের বাইরে গিয়ে ‘লিব্রা’ নামে ক্রিপটোকারেন্সি বা ডিজিটাল মুদ্রা আনার ঘোষণা দিয়েছে ফেসবুক৷ এর মাধ্যমে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ছাড়িয়ে ই-কমার্স ও বৈশ্বিক লেনদেনে পা রাখতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি৷ মঙ্গলবার ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিব্রা মুদ্রা আনার বিষয়ে বিস্তারিত জানান৷ ২০২০ সালের প্রথমভাগে ডিজিটাল মুদ্রাটি চালুর পরিকল্পনার কথা জানান তিনি৷
নতুন এই ক্রিপ্টোকারেন্সি আনার ক্ষেত্রে ২৮টি সহযোগী প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ‘লিব্রা অ্যাসোসিয়েশন’ গঠন করেছে ফেসবুক৷ এই মুদ্রা জমা, খরচ ও লেনদেনের জন্য ‘ক্যালিব্রা’ নামে নতুন ডিজিটাল ওয়ালেট তৈরি করেছে ফেসবুক৷ ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপের সঙ্গে এটাকে সংযুক্ত করা হবে৷
লিব্রা চালুর ঘোষণা দেওয়ার পরপরই তথ্যের গোপনীয়তা এবং সরকারি রেগুলেশনের বাইরে চলে যাওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান৷ কারণ, কেমব্রিজ অ্যানালিটিকাসহ বিভিন্ন কাণ্ডে তথ্যের গোপনীয়তা নিয়ে সমালোচনার মুখে রয়েছে ফেসবুক৷ তবে ফেসবুক বলছে, বিশ্বব্যাপী প্রতিষ্ঠিতি ব্যবসায়ী ও গ্রাহকদের মধ্যে লেনদেন ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করবে তারা৷ একইসঙ্গে ব্যাংকিং সেবার বাইরে থাকা মানুষকেও আর্থিক সেবায় অন্তর্ভূক্ত করার লক্ষ্য তাদের৷
লিব্রা প্রকল্পের প্রধান ডেভিড মারকাস জানান, রোমান আমলের পরিমাপক যন্ত্র ‘লিব্রা’, জ্যোতিষশাস্ত্রে ন্যায়বিচারের প্রতীক এবং ফরাসি ভাষায় লিব্রা অর্থ ‘স্বাধীনতা’- এই তিন বিষয় থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নামটি নেওয়া হয়েছে৷ ‘স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার ও অর্থ- এগুলোই মূলত আমরা করতে চাচ্ছি এখানে,’ বলেন তিনি৷
লিব্রা মুদ্রা আনার মাধ্যমে ম্যাসেজিং সার্ভিস থেকে গুটিয়ে লেনদেনের ব্যবসার দিকে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ যেটি এর মধ্যে চালু করেছে ‘উইচ্যাট’-এর মতো চীনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম৷
২০০৮ সালে বিশ্বব্যাপী যে আর্থিক মন্দার প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে পরিচিত ক্রিপ্টোকারেন্সি ‘বিটকয়েন' এর যাত্রা শুরু হয়েছিল৷ প্রচলিত মুদ্রাব্যবস্থার প্রতি মানুষের বিশ্বাসে ফাটল ধরায়, সেটাকে পুঁজি করে ডিজিটাল এই মুদ্রা চালু হয়৷ পরিচয় গোপন রেখে লেনদন করতে পারায় মানি লন্ডারিংসহ অবৈধ পণ্য কেনাবেচার ক্ষেত্রে এটি ব্যবহৃত হয়৷ এছাড়া, ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগকারীরা লাখ লাখ ডলার খুইয়েছেন হ্যাকারদের কবলে পড়ে৷ বিটকয়েনের সাফল্য অনুপ্রাণিত হয়ে আরও প্রায় এক হাজারের বেশি ডিজিটাল মুদ্রার আবির্ভাব ঘটেছে৷ এর মধ্যে সফল হওয়া কয়েকটি হচ্ছে ইথেরিয়াম, জেডক্যাশ, বিটকয়েন ক্যাশ, রিপল ও লাইটকয়েন৷ ২০১৭ সালে হঠাৎ করে বিটকয়েনের অস্বাভাবিক লেনদেন ও মূল্যবৃদ্ধি ঘটায় বিশ্বব্যাপী ব্যাপক আলোচনার জন্ম হয়েছিল৷ সূত্র: এপি, এএফপি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।