মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মিয়ানমারে বসবাসরত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর চালানো সামরিক অভিযানে সৃষ্ট সঙ্কটে নিজেদের ব্যর্থতা দায় স্বীকার করেছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির দাবি, তারা এই সংকট মোকাবিলায় ‘পদ্ধতিগতভাবে ব্যর্থ’ হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ জুন) সংস্থাটির প্রকাশিত অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনা বিষয়ক এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
জাতিসংঘের দেওয়া তথ্য বরাতে বিবিসি নিউজ’ জানায়, চলমান রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসনে তাদের ঐক্যবদ্ধ কোনো কৌশল ছিল না। তাছাড়া এতে নিরাপত্তা পরিষদের পর্যাপ্ত সমর্থনেরও অভাব ছিল। যে কারণে সংস্থাটি কোনো ধরনের শক্ত পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থ হয়েছে।
এর আগে ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে রাখাইনের বেশ কয়েকটি সামরিক চৌকিতে বিচ্ছিন্ন হামলার প্রেক্ষিতে রাজ্যটিতে সন্ত্রাসী দমনের নামে অভিযান শুরু করে সেনা সদস্যরা। এতে সে সময় হত্যা-ধর্ষণসহ বিভিন্ন নির্যাতন থেকে বাঁচতে পালিয়ে বাংলাদেশে চলে আসে অতিরিক্ত প্রায় ৭ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী।
জাতিগত নিধনের ফলে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরাট একটি অংশ পালিয়ে বাংলাদেশে আসতে সক্ষম হলেও জাতিসংঘের তথ্য মতে এখনো প্রায় ৪ লাখের বেশি লোক প্রদেশটিতে রয়ে গেছেন।
এ দিকে ব্রিটিশ গণমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ানের’ তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে রাখাইনে অবস্থানরত বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের সংখ্যা প্রায় ৫ লক্ষাধিক। এর আগে ২০১২ সালে রাখাইনে সহিংসতার জেরে বাস্তুচ্যুত হওয়া জনগোষ্ঠীর জন্য স্থাপন করা হয় আইডিপি ক্যাম্প। মূলত তখন থেকেই ক্যাম্পটিতে সহায়তা দিয়ে আসছে জাতিসংঘ। বর্তমানে এসব ক্যাম্পে রাখাইনের রোহিঙ্গা ও কামান জনগোষ্ঠীর প্রায় এক লাখ ২৮ হাজারের বেশি লোক বসবাস করছেন। তবে তাদের চলাফেরায় আগে থেকেই কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে রেখেছে মিয়ানমার সরকার।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) জাতিসংঘের দূত গার্ড রোজেনথাল এক বিবৃতিতে বলেন, ‘নিঃসন্দেহে জাতিসংঘের পদ্ধতিগত পদক্ষেপের কারণে আমাদের অনেক ভুল হয়েছে; তাছাড়া আমাদের অনেক সুযোগও হাতছাড়া হয়েছে।’ ৩৪ পৃষ্ঠার সেই অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনা প্রতিবেদন থেকে গার্ড রোজেনথাল বলেন, ‘সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে পরিকল্পনা না করা এবং বিচ্ছিন্ন কৌশল অবলম্বন করায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।’
মিয়ানমারে জাতিসংঘের সকল কর্মকাণ্ড খতিয়ে দেখতে চলতি বছর গুয়াতেমালার সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী গার্ড রোজেনথালকে নিয়োগ দেন মহাসচিব অ্যান্থনিও গুয়েতেরেস। বর্তমানে দেশটিতে জাতিসংঘের কর্মকাণ্ড নিয়ে রোজেনথাল বলেন, ‘এটা সমষ্টিগত একটি দায়িত্ব ছিল। একে সত্যিকার অর্থে জাতিসংঘের পদ্ধতিগত ব্যর্থতা বলা যেতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, ‘নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন নাকি কূটনৈতিক তৎপরতা চালাবেন তা নিয়েই এখনো একমত হতে পারছেন না। তাছাড়া তৃণমূল থেকে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে একের পর এক পাঠানো হয়েছে ত্রুটিপূর্ণ প্রতিবেদন।’ সংস্থাটির এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘জাতিসংঘ তখন মিয়ানমারকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী করতে এবং একই সঙ্গে উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তা দিতে হিমশিম খাচ্ছিল। তাছাড়া নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধিত্বে থাকা সামষ্টিক সদস্যরাই এর জন্য দায়ী। যখন সংস্থাটির যে সমর্থন প্রয়োজন ছিল তারা সেটা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। যে কারণে আমরাও যোগ্য ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হয়েছি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।