২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
বাংলা নাম লিচু। ইংরেজি নাম : খরঃপযর. বৈজ্ঞানিক নাম : খরঃপযর ঈযরহবহংরং. লিচু আমাদের দেশের জনপ্রিয় ও অতি পরিচিত ফল। লিচু অতি সুন্দর একটি নিয়ামত আল্লাহর। আল্লাহ যেখানে মানুষ সৃষ্টি করেছেন তার আশপাশে খাদ্যশস্যের ভিতরেও রোগ আরোগ্যের শেফাও দিয়েছেন। আমরা জানি, বিভিন্ন ঋতুতে বিভিন্ন রোগের আগমন ঘটে। কিন্তু আল্লাহ এতই মেহেরবান যে, ওইসব মৌসুমি রোগ প্রতিরোধের জন্য হরেক রকম ফলমূলও দান করেন, যাতে তার প্রিয় বান্দারা সুস্থ থাকতে পারে ওইসব ফলমূল খেয়ে। এমনি একটি ফল লিচু। লিচুতে খাদ্যশক্তি ও ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে প্রচুর। এ ছাড়াও কাশি, পেটব্যথা, টিউমার এবং গ্যান্ডের বৃদ্ধি দমনে লিচু ফল কার্যকর। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না যে আমাদের রোগ-ব্যাধিতে লিচুর অনেক উপকারিতা আছে। চলুন তাহলে জেনে নিই লিচুর কিছু বিস্ময়কর স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে। পুষ্টি তালিকা : প্রতি ১০০ গ্রাম লিচুতে রয়েছে-জলীয় অংশ ৮৪.১, ক্যালসিয়াম ১০ মি., মোট খনিজ ০.৫, লৌহ ০.৭ মি., আঁশ ০.৫, ক্যারোটিন (মাইক্রোগ্রাম) ০, খাদ্যশক্তি (কিলোক্যালরি) ৬১, ভিটামিন বি-১ ০.০২, আমিষ ১.১, ভিটামিন ০.০৬ মি., চর্বি ০.২, ভিটামিন সি ৩১ মি., শর্করা ১৩.৬। ঔষধি গুণ : * লিচু শরীর ঠা-া রাখে। তৃষ্ণা মেটায় ও শরীরের বল বাড়ায়। * পরিমিত খেলে শরীরের বায়ু, কফ ও পিত্ত নাশ করে। * অত্যধিক ক্লান্তিতে বা দীর্ঘ রোগভোগের পর দুর্বলতায় প্রতিদিন চার-পাঁচটি লিচু সামান্য লবণ মিশিয়ে খেলে দারুণ উপকার পাওয়া যায়। * মস্তিষ্কের দুর্বলতায় স্মৃতিবিভ্রম ঘটলে ভুলো মন মানুষজন দিনে আট দশটা লিচু লবণ মিশিয়ে খেলে স্মৃতি স্বাভাবিক হয়। * হৃদরোগী ও লিভারের রোগীদের পক্ষে লিচু উপকারী। * মৌসুমের সময় দু-বেলা চার-পাঁচটি করে লিচু খেলে বয়স বাড়লেও শরীরে লাবণ্য বজায় থাকে। * যকৃতের রোগে ভুগলে ঠিকমতো খিদে হয় না। দাস্ত অপরিষ্কার হয়, খাদ্যে অরুচি ভাব হয়। এক্ষেত্রে দিনে দুবার লিচুর শরবত খেলে বা দু-বেলা ৫-৭টি লিচু খেলে যথেষ্ট উপকার পাওয়া যায়। * বোলতা, বিছে কামড়ালে পাতার রস ব্যবহার করা হয়। * কাশি, পেটব্যথা, টিউমার এবং গ্যান্ডের বৃদ্ধি দমনে লিচু ফল কার্যকর। * চর্মরোগের ব্যথায় লিচু বীজ ব্যবহৃত হয়। * পানিতে সিদ্ধ লিচুর শেকড়, বাকল ও ফুল গলার ঘা সারায়। * কচি লিচু শিশুদের বসন্ত রোগে এবং বীজ অম্ল ও ¯œায়ুবিক যন্ত্রণার ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়। * বাকল ও শিকড়ের ক্বাথ গরম পানিসহ কুলি করলে গলার কষ্ট উপশম হয়। সবশেষে এ সত্যটি মনে রাখুন কোনো মুসলমান যদি কোনো বৃক্ষরোপণ করে, অথবা শস্য লাগায়, তা থেকে মানুষ, পাখি ও অন্যান্য জীবজন্তু ভক্ষণ করে, তাহলে ওই ফসল রোপণকারীর সদকাহ হিসেবে তা গণ্য হবে। তাই রোগমুক্ত জীবন চান, ফল ঔষধির চারা বাড়ান। গাছের মতো বন্ধু নাই, খাদ্য পুষ্টি ওষুধ পাই।
ষ ডা. মাও. লোকমান হেকিম
চিকিৎসক : কলামিস্ট
০১৭১৬২৭০১২০
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।