Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তাল পশ্চিমবঙ্গ, নিহত ৪

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ জুন, ২০১৯, ১০:৫৬ এএম | আপডেট : ৩:৩৭ পিএম, ৯ জুন, ২০১৯

দলীয় পতাকা সরিয়ে নেয়াকে কেন্দ্র করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগণার সন্দেশখালির নাইজাটে বিজেপি এবং তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত চারজনের মৃত্যু হয়েছে।

রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু দাবি করেন, শনিবার ওই এলাকায় তৃণমূল বৈঠক করে। বৈঠক শেষে বিজেপির পতাকা খুলতে শুরু করে তৃণমূল, তার থেকেই গোলমালের সূত্রপাত। স্থানীয় তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাহিনী শনিবার সন্ধ্যায় এ হামলা চালায় বলে জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, সংঘর্ষে তাদের দলের পাঁচ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজনের মরদেহ পাওয়া গিয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি বাকি দু’জনের মরদেহ পুলিশ সরিয়ে ফেলেছে।

দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে ২৬ বছর বয়সী কায়ুম মোল্লা নামের এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় জেলা তৃণমূলের সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক তার দাবিতে পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, বৈঠক শেষে তৃণমূলের মিছিল বের হয়েছিল। সেই মিছিলে হামলা চালিয়ে তৃণমূল কর্মী কায়ুম মোল্লাকে গুলি করে ও কুপিয়ে খুন করে বিজেপি সমর্থকরা। এর পরেই পাল্টা প্রতিরোধে নামে তৃণমূল। দলের এক সূত্র থেকে জানানো হয়, বৈঠক চলাকালীনই বিজেপি আক্রমণ চালায়।

এদিকে তৃণমূলের করা অভিযোগের বিপরীতে বিজেপি জানিয়েছে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজন দলীয় কর্মীর মৃত্যুসহ জখম ও নিখোঁজ রয়েছেন আরও অনেকে। নিখোঁজ চার ব্যক্তির মাঝে শঙ্কর মণ্ডল এবং দেবদাস মণ্ডল নামে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। দল থেকে আরও দাবি করা হয়, বেপরোয়াভাবে গোলাগুলি করার সময়েই তৃণমূলের গুলিতে তাদের নিজ দলের কর্মী কায়ুম মোল্লা নিহত হয়েছে।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ঘটনার দিন বলেন, `তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিদের নেতৃত্বে এই ঘটনা ঘটেছে। দলের সর্বভারতীয় সভাপতি তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে দলের তরফে প্রাথমিক রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে।’

এই ঘটনার জন্য সরাসরি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করেছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। এক টুইট বার্তায় তিনি জানান, এ ঘটনার পুরো বিষয়টি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে জানানো হবে।

সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে দলীয় কর্মীদের দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল কংগ্রেস ভয় দেখিয়ে আসছিল বলে অভিযোগ করা হয় বিজেপি'র পক্ষ থেকে। দলটি থেকে জানানো হয়, গত ৬ বছরে রাজনৈতিক সংঘর্ষে তাদের অন্তত ৫৪ জন কর্মীর মৃত্যু হয়েছে।

২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে এ রাজ্যে মাত্র দুটি আসনে জয় পেয়েছিল বিজেপি। এবার সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮তে। সে নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ৩৪টি আসন পেলেও এবার জয় পেয়েছে ২২টি আসনে। সূত্র: টিওআই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পশ্চিমবঙ্গ

১ আগস্ট, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ