Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বঙ্গবন্ধু সেতুতে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আটকালো সেতু কর্তৃপক্ষ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ জুন, ২০১৯, ১:২৯ পিএম

বঙ্গবন্ধু সেতুতে আটকে দেওয়া হয় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি। শুক্রবার (৭ জুন) দুপুরে আগুনের খবর পেয়ে বঙ্গবন্ধু সেতুতে যায় টাঙ্গাইলের ভুঞাপুর ফায়ার স্টেশনের একটি দল। কিন্তু টোল দিতে না পারায় ফেরত আসতে হয় তাদের।
সূত্র জানায়, শুক্রবার দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ থেকে ভুঞাপুর ফায়ার স্টেশনে ফোন আসে। বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর একটি গাড়িতে আগুন লেগেছে বলে ফোনে জানানো হয়। এ খবর পেয়ে ভুঞাপুর ফায়ার স্টেশন থেকে একটি দল বঙ্গবন্ধু সেতুর দিকে রওনা দেয়। সেতুতে পৌঁছানোর পর তাদের গাড়ি আটকে দেয় টোল আদায়কারী কর্মীরা। সেতুর ওপর একটি গাড়িতে আগুন লাগার কথা জানালেও তাদের আটকে রাখা হয়। ৮৫০ টাকা টোল না দিলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ছাড়া হবে না বলে জানান কর্মীরা। তখন ফায়ার সার্ভিসের লোকজন টোল প্লাজার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলতে চান। এ সময় পাভেল নামের একজন এসে বলেন, টোল না দিলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি যেতে দেওয়া হবে না। পরে তারা ফায়ার স্টেশনে ফেরত আসে। তাৎক্ষণিকভাবে করা ভিডিওতে দেখা গেছে, টোল আদায়কারী প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন ভুঞাপুর ফায়ার স্টেশনের ফায়ারম্যান শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, তাদের বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেছি। আগুনের খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ছুটে এসেছি; তাই টোল দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে আসা হয়নি। একপর্যায়ে পাভেল নামের এক ব্যক্তি এসে বলেন, তিনি সিসি ক্যামেরায় দেখেছেন সেতুতে কোনও গাড়িতে আগুন লাগেনি। আমরা তাদের বোঝানোর চেষ্টা করি, ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে এখানে এসেছি। তারপরও তারা যেতে দেননি। বাধ্য হয়ে আমাদের ফেরত আসতে হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) মেজর এ কে এম শাকিল নেওয়াজ বলেন, একমাত্র বঙ্গবন্ধু সেতুতেই ফায়ার সার্ভিসের গাড়ির টোল চাওয়া হয়। এ বিষয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট দফতরে একাধিকবার চিঠি দিয়েছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নেই।
জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল আদায় করতো কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেমস লিমিটেড (সিএনএস) নামের প্রতিষ্ঠান। তবে বর্তমানে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় টোল আদায় করছে। টোল আদায়ের জন্য সফটওয়্যার সহায়তা দিচ্ছে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেমস লিমিটেড। ঈদের আগের দিন এই সফটওয়্যার বিকল হওয়ায় বঙ্গবন্ধু সেতুতে ৩০ কিলোমিটার যানজটে আটকে হাজার হাজার যাত্রীকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেমস লিমিটেড (সিএনএস)-এর নির্বাহী পরিচালক জিয়াউল আহসান সরওয়ার বলেন, আমরা আগে টোল আদায় করতাম। বর্তমানে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ টোল আদায় করছে। তারা শুধু আমাদের সফটওয়্যার ব্যবহার করছেন। এর আগে টোল আদায়ে আমাদের যে জনবল ছিল, এখন তারা সেতু কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে কাজ করছেন। এখন আর টোল আদায়ে আমাদের কোনও সম্পৃক্ততা নেই।
ফায়ার সার্ভিসের গাড়ির টোল আদায় প্রসঙ্গে জিয়াউল আহসান সরওয়ার বলেন, আমরা যখন দায়িত্বে ছিলাম, তখন নীতিমালা দেখেছি। সেখানে বলা আছে, প্রেসিডেন্ট ছাড়া সবার গাড়ির টোল দিতে হবে। নীতিমালায় অন্য কারও জন্য শিথিলতা নেই। সেটা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স যা-ই হোক।



 

Show all comments
  • Ujjal kanti nath ৮ জুন, ২০১৯, ২:০৯ পিএম says : 0
    999 is an emergency services organization. It is necessary to carry the vehicles under fire, such as fire service, ambulance, and police without toll costs. However, subject to certainty. It is necessary to abstain from abusing the law.
    Total Reply(1) Reply
    • ShantanurKhokan ৮ জুন, ২০১৯, ৭:৪৮ পিএম says : 4
      আমাদের দেশের নীতি নির্ধারকরা কতবড় গাধা বুঝে দেখুন⁉ একমাত্র প্রেসিডেন্ট ছাড়া বিনাপয়সায় পার না হতে পারলে ইমার্জেন্সি সার্ভিস দেশ থেকে উঠিয়ে দেয়া ভালো

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বঙ্গবন্ধু সেতু

১৯ নভেম্বর, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ