বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে এক কলেজ শিক্ষার্থীর শরীরে মদ ছিটিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগে গণধোলাইয়ের শিকার দুই এসআইকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তারা হলেন, ভৈরব থানার এসআই আবুল খায়ের ও এসআই আজিজুল হক। কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ লিখিত আদেশে অভিযুক্ত পুলিশের দুই এসআইকে প্রত্যাহার করেন।
মঙ্গলবার সকাল থেকে এই আদেশ কার্যকর হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন ঘটনার তদন্ত কর্মকর্তা কিশোরগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. মিজানুর রহমান।
পুলিশ সুপার জানান, অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে সাদা পোশাকে চেকপোস্ট বসানো এবং মাদকের সিজার লিস্ট না করার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আর তদন্তকারী কর্মকর্তারা অভিযোগকারী ছাত্র সজিবের সাথে কথা বলতে পারেনি। তারা সজিবের বক্তব্য নিয়ে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
স্থানীয় লোকজন জানায়, ভৈরবের শম্ভুপুর পাক্কারমাথা এলাকার সাবু মিয়ার ছেলে ভৈরব সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সজিব। গত শনিবার দুই বন্ধুকে নিয়ে সজিব মোটর সাইকেলে করে ঈদের কেনাকাটার জন্য ভৈরব বাজারে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে চান্দ ভান্ডার দরবার শরীফের সামনে সাদা পোশাকে পুলিশের দুইজন সদস্য সজিবকে আটক করে। এ সময় তারা সজিবের গায়ে মদ ঢেলে দিয়ে তাকে মাদক ব্যবসায়ী সাজানোর চেষ্টা করে বলে সজিবের পরিবারের অভিযোগ। সজিব কৌশলে সেখান থেকে সটকে পড়ে পাক্কার মাথা এলাকায় চলে যান। পুলিশ সদস্যরাও তার পিছু নেয়। পরে সজিবকে জোর পূর্বক ধরে হাতকড়া পড়াতে চাইলে পুলিশের পোষাক পড়া না থাকায় স্থানীয় লোকজন ছিনতাইকারী ভেবে দুজনকে গণধোলাই দেয়। এক পর্যায়ে এসআই আজিজুল হক ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
ঘটনার খবর পেয়ে ভৈরব থানার এসআই মোখলেছুর রহমান রাসেল ও অভিজিৎসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য গিয়ে আবুল খায়েরকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় পুলিশ সজিবের বাবা সাবু মিয়াসহ ৫ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে মর্মে থানায় বিষয়টি মীমাংসা করা হয়। মীমাংসার পর আটক ৫জনকে ছেঁড়ে দেয় পুলিশ।
ঘটনাটি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদের নজরে আসে। পরে সোমবার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মিজানুর রহমানকে প্রধান করে দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করে দেন। তদন্ত কমিটি মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রাথমিকভাবে পুলিশের দুই সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।