পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
পবিত্র ঈদুল ফেতরের পর আজ প্রথম পত্রিকা বেরোলো এবং আজকেই আমাকে লিখতে হচ্ছে। এখনও লক্ষ লক্ষ মানুষ ঢাকা ছেড়ে গেছেন। যাওয়ার পথে অবর্ণনীয় দুঃখ দুর্দশা। এখন তাদের ফেরার পালা। ফেরার পথেও অবর্ণনীয় দুর্দশা। বছরে দুটো ঈদে দেশে যাওয়া এবং আসায় মানুষ এত কষ্ট সহ্য করেন এই জন্য যে মুসলমানদের বছরে এই দুটি সময়েই বড় উৎসব। এই দুটি উৎসবের আনন্দ তারা নিকটাত্মীয় এবং প্রিয়জনদের সাথে ভাগাভাগি করে আনন্দে কাটাতে চান।
কিন্তু সেই অনাবিল আনন্দ কি তারা উপভোগ করতে পেরেছেন? পারেন নি। কারণ বাংলাদেশে গত ২৯ ডিসেম্বর একটি অস্বাভাবিক নির্বাচন হয়ে গেলো যার নজির পৃথিবীতে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। এসবই পুরোনো কথা এবং সকলেই একথা জানেন। ভোট হওয়ায় কথা ৩০ তারিখে। সেই ভোট হয়েছে ২৯ তারিখে। ভোট দেওয়ার কথা ছিল এদেশের আপামর জন সাধারণের। কিন্তু ভোট দিয়েছে পুলিশ আনসার এবং আওয়ামী লীগের ক্যাডাররা। এসব কথা আপনারা সকলেই জানেন। কিন্তু এসব পুরোনো কথা নতুন করে বলার জন্য আমি আজকের প্রসঙ্গের অবতারণা করছি না। আমি আজকে লিখতে যাচ্ছি জনসাধারণের অন্য রকম দুঃখ দুর্দশার কথা। যেটা জনগণের আসা যাওয়ার কষ্টের বোঝার ওপর শাকের আটি হয়ে আছে।
রমজানের ঈদ তো পরের কথা, তার বহু আগে থেকেই এদেশের লক্ষাধিক মানুষ রাজনৈতিক কারণে কারাগারে ছিলেন। পরে অবশ্য কিছু বন্দী আদালতে মামলা করে জামিনে বেরিয়ে আসেন। হাজার হাজার বন্দী আজও কারাগারে। পূর্ববর্তী সরকার গুলোর তুলনায়, বিশেষ করে পাকিস্তান আমলের সরকার গুলোর তুলনায়, এমনকি জিয়াউর রহমান এবং খালেদা জিয়ার আমলের সরকারের চেয়েও এই সরকার অনেক স্মার্ট। আগের সরকার গুলি রাজনৈতিক কর্মীদেরকে রাজনৈতিক কারণে বন্দী করে কারাগারে নিয়ে যেতো। তখন বিরোধী দল ছিলেন মওলানা ভাসানী, আওয়ামী লীগ প্রভৃতি দল। কিন্তু এখন অন্য কায়দা রপ্ত করা হয়। যে সব রাজনৈতিক কর্মীকে আওয়ামী সরকার জেলে ভরা দরকার বলে মনে করে তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় অসংখ্য মামলা। এই মামলা গুলিও অবাক ধরণের। কারো বিরুদ্ধে চুরি চামারির মামলা, কারো বিরুদ্ধে বাস, ট্রাক পোড়ানো তথা সম্পত্তি মামলা, কারো বিরুদ্ধে বোমাবাজির মামলা সহ নানান ফৌজদারি মামলা দায়ের করে তাদেরকে জেলে ঢুকানো হয়। আরো অবাক ব্যাপার হলো এই যে, একেক জনের বিরুদ্ধে একটি দুটি নয়, ৫০/৬০ টি করে মামলা ঠুকে দেওয়া হয়। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল সহ অনেক বড় বড় কেন্দ্রীয় এবং জেলা পর্যায়ের নেতাদের বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা ঠুকে দেওয়া হয়েছে। উদ্দেশ্য অত্যন্ত সাধু। একটা মামলায় জামিন পেলে পরের মামলায় আটকে দেওয়া হয়। সেই পরের মামলায় জামিন পেলে তার পরের মামলায় আটকে দেওয়া হয়। যাদেরকে এসব অপরাধে জেলে দেওয়া হয় তাদেরকে সরকার রাজবন্দী না বলে, বলে ‘আসামী’। এদেশে ফৌজদারি আইনে আসামী বলতে বোঝা যায় খুনি, দাগি অপরাধী। যারা খুনি, ডাকাতি, হত্যা, রাহাজানি, ধর্ষণ লুটপাট ইত্যাদিতে লিপ্ত। রাজনৈতিক কর্মীদের এই ধরণের মামলায় জড়িত করে তাদেরকে অপবাদ দেওয়া হয় আসামী হিসাবে। ফলে তারা রাজবন্দীর মর্যাদা পায়না। তাই অতীতে এদেশের জনগণ আওয়ামী লীগ এবং কমিউনিস্টদের মুখে শুনেছে গগণ বিদারী স্লোগান- “রাজবন্দীদের মুক্তি চাই।” কারণ অতীতের সরকার গুলো রাজনৈতিক কর্মীদেরকে গ্রেফতার করলেও তাদেরকে রাজবন্দীর মর্যাদাই দিয়েছে। কিন্তু এখন, রাজবন্দীরা হয়ে গেছে ‘কয়েদী’।
দুই
অনেক রাজনৈতিক নেতাকে ডান্ডা বেড়ি পরা অবস্থাতে পত্রিকার ছবিতে দেখা গেছে। এভাবে অসংখ্যা মামলার জালে জড়িয়ে আজও হাজার হাজার রাজনৈতিক কর্মী বছরের পর বছর ধরে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে ২০১৪ সালের পর থেকে। অনেকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ ঘর ছাড়া, গৃহ ছাড়া। বছরের পর বছর ধরে পলাতক জীবন যাপন করছেন। বছরের পর বছর হয়ে গেলো তাদের হুলিয়া প্রত্যাহার করা হয়নি। এদের অবস্থা এমন যেন জলে কুমির ডাঙ্গায় বাঘ। ঘরে থাকলে ধরে নিয়ে যায়, আর জামিন চাইতে গেলে পুলিশ লাল ঘরে পাঠায়।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল এবং সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, যে প্রায় ১ লাখ মামলায় ২০ থেকে ২৫ লাখ ব্যক্তির মাথায় মামলার খড়গ ঝুলছে। সবচেয়ে অবাক ব্যাপার হলো এই যে সরকারের ভাষ্য মোতাবেক দেশে একটি সাধারণ নির্বাচন হয়ে গেল। সাধারণ নির্বাচনের আগে অনেক রাজবন্দীকে মুক্তি দেওয়া হয় এবং অনেক মামলা প্রত্যাহার করা হয়।
কিন্তু এই সরকার সেটা করেনি। নির্বাচনের আগে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপির সংলাপ হয়। সেই সংলাপে বিরোধী দলের তরফ থেকে রাজবন্দীদের মুক্তি এবং তাদের ওপর থেকে জারিকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। কিন্তু সরকার পক্ষের কূটচাল বিরোধী দল বুঝতে ব্যর্থ হয়। সরকারের তরফ থেকে বলা হয় যে, আপনারা গ্রেফতারের তালিকা দিন। এমনও ঘটে যে ব্যক্তি দেশে নাই বিদেশে আছে, যে ব্যক্তি মারা গেছেন তেমন ব্যক্তির বিরুদ্ধেও বোমাবাজি , গাড়ি ভাঙচুর এবং অগ্নি সংযোগের মামলা দায়ের করা হয়। এসব ঘটনাও প্রধান মন্ত্রীর নজরে আনা হয়।
জবাবে প্রধান মন্ত্রী বলেন, এই ধরণের মামলা এবং বন্দীর একটি তালিকা তাকে দিতে। বেশ কয়েক দিন বিপুল খাটা খাটনি করে বিএনপি এবং ২০ দলীয় জোট তাদের এই ধরণের রাজনৈতিক মামলার তালিকা দেন। কিন্তু এই তালিকায় কোনো কাজ হয়নি। তখন এসব বন্দীর মুক্তি এবং গ্রেফতারের বিষয়টি নির্বাচন কমিশনারের নজরে আনা হয়। নির্বাচন কমিশন বলে যে, তারা দেখবেন যেন নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার আগেই এসব ব্যাপারে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
অতপর নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা হয়। কিন্তু দেখা যায় যে, কোনোরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। বরং নতুন করে ধরপাকড় শুরু হয় এবং গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। নির্বাচন যতই এগিয়ে আসে, পরিস্থিতি ততই ভয়াবহ রূপ ধারণ করতে থাকে। প্রথম পর্যায়ে সারা দেশে সমস্ত বিরোধী দল অর্থাৎ বিএনপি জামায়াত ও ঐক্যফ্রন্টের সমস্ত পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়। বাংলাদেশের কোথাও বিরোধী দলের পোস্টার চোখে পড়ে নাই। সবই আওয়ামী লীগের নৌকার পোস্টার এবং জাতীয় পার্টির লাঙলের পোস্টার দেখা যায়।
২য় পর্যায়ে শুরু হয় সশস্ত্র হামলা। বিরোধী দলের ৩০০ প্রার্থী যে যেখানেই নির্ধারণী প্রচারণা, গণসংযোগ , সভা ও মিছিল শুরু করেন সেখানেই তাদের ওপর পুলিশ প্রোটেকশনে ঝাঁপিয়ে পড়ে আওয়ামী লীগের সশস্ত্র ক্যাডাররা। তৃণমূল পর্যায় তো বটেই, বিএনপি স্ট্যান্ডিং কমিটির নেতা এবং ঐক্যফ্রন্টের নেতারাও পুলিশের ছত্র ছায়ায় আওয়ামী মাস্তান বাহিনীর হামলা থেকে রেহাই পাননি। গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের রক্তাক্ত শরীর পত্র পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। মঈন খানের মতো একজন পিএইচডি ডিগ্রিধারী ভদ্র লোকের ওপর লাঠি সোটা দিয়ে হামলা করা হয়েছে। ঐক্যফ্রন্ট নেতা মাহমুদুর রহমান মান্নার মিছিলে হামলা চালায় পুলিশ বাহিনী। ঐক্যফ্রন্টের অপর নেতা আসম আব্দুর রবের ওপর শুধু হামলাই নয়, তাকে এত ভয় ভীতি প্রদর্শন করা হয় যে নির্বাচনের ৪ দিন আগে তিনি প্রাণ ভয়ে এলাকা ছেড়ে আত্ম গোপনে যান। মাহমুদুর রহমান মান্না হামলার কারণে তার নির্বাচনী এলাকায় যেতে পারেন না। উপরন্তু তিনি হোটেল নাজ গার্ডেনে নজর বন্দী থাকতে বাধ্য হন। ১০/১২ জন ডিবি পুলিশ সর্বক্ষণ তার হোটেল লবিতে ইউনিফর্ম পরিহিত অবস্থায় নজর দারি করে এবং বাহিরে দুই ট্রাক পুলিশ হোটেল থেকে বেরোনোর রাস্তায় টহল দারি করে।
সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা হলো এই যে, এবার তৃণমূল কর্মীরা পলাতক জীবন যাপনের জায়গা পান না, সকলে জানেন যে যখন নির্বাচন হয় , তখন ছিল ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ। উত্তরবঙ্গে কনকনে হাড় কাঁপানো শীত। এই তীব্র শীতের মধ্যে কর্মীরা মাঠে ময়দানে রাত্রি যাপন করেন। মাঠের পর মাঠ বিস্তীর্ণ প্রান্তর। সবে ধান কাটা শেষ হয়েছে। তীব্র শীত মনে হয় শরীর ফুঁটে বের হয়ে যায়। পুলিশরা তাদের টহল দারি অব্যাহত রাখলেও এই কনকনে শীতে তারা মাঠে প্রান্তরে যায়নি। সেজন্যই তৃণমূলের অনেক নেতা কর্মী গ্রেফতারের হাত থেকে বেঁচে গেছেন।
তিন
সেই অবস্থার আজও অবসান হয়নি। সেজন্যই শুরুতে বলেছি যে, প্রিয়জনদের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করার জন্যে ঢাকার প্রায় ১ কোটি মানুষ দেশে গেছেন। কিন্তু দেশে গিয়ে দেখেছেন, কোনো না কোনো পরিবারের অন্তত এক জন ব্যক্তি আছেন, যিনি পুলিশের লাল দালানে আছেন, অথবা যার মাথার ওপর হুলিয়া আছে অথবা যারা প্রতিপক্ষের মারের ভয়ে পলাতক জীবন যাপন করছেন। সুতরাং প্রিয়জনদের সাথে তাদের আনন্দ ভাগাভাগি এবার আর পূর্ণ হয়নি।
কিন্তু এভাবে আর কতদিন চলবে? অথবা বলা যায় এভাবে আর কতদিন চলতে পারে? আসলে অনির্দিষ্টকাল এভাবে চলতে পারে না। বাংলাদেশে বিগত ৪/৫ বছর ধরে এই ভয়াভহ অবস্থা চলতে পারার কথা নয়। কিন্তু বাংলাদেশের আপামর জনগণের দুর্ভাগ্য এই যে একটি শক্তিশালী বিরোধী দলের অভাবে তাদেরকে দিনের পর দিন এই দুর্ভাগ্য সহ্য করতে হচ্ছে। আজ যদি বিএনপি রুখে দাঁড়াতে পারতো তাহলে ত্রাসের রাজত্ব অনেক আগেই অবসান ঘটতো।
মনে পড়ে সেই দিন গুলির কথা। যখন আকাশ বাতাস বিদীর্ণ করে স্লোগান হতো, “জেলের তালা ভাঙবো অমুক মুজিবকে আনবো।” আজ আর মানুষ স্লোগান শোনে না। “জেলের তালা ভাঙবো খালেদা জিয়াকে আনবো।” সেদিন ঢাকা শহর তো বটেই জেলা শহরেও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হতো। সেদিন সেটাকে বলতো গীতি বিচিত্রা। সেই গীতি বিচিত্রায় রবীন্দ্র সঙ্গীতের এত আদিক্ষ্য ছিল না। সেদিন তেজোদীপ্ত কন্ঠে গাওয়া হতো নজরুল সঙ্গীত,
“ কারার ঐ লৌহকপাট,
ভেঙ্গে ফেল,কর রে লোপাট,
রক্ত-জমাট
শিকল পূজার পাষাণ-বেদী।
লাথি মার, ভাঙ্গরে তালা!
যত সব বন্দী শালায়-
আগুন-জ্বালা,
আগুন-জ্বালা, ফেল উপাটি। ”
বাংলাদেশের অসংখ্য জেলায় হতো নজরুল সঙ্গীত।
দুর্গম গিরি কান্তার-মরু দুস্তর পারাবার
লঙ্ঘিতে হবে রাত্রি নিশীথে যাত্রীরা হুশিয়ার!
কোথায় আজ সেসব গান? কোথায় আজ সেসব বিপ্লবী আওয়াজ? এসব মানুষ আশা করেছিল বিএনপির নিকট থেকে। কিন্তু বিনিময়ে তারা কি পেয়েছে? তাদের নেত্রী খালেদা জিয়া আজ কারার ঐ লৌহ কপাটে বন্দী। সরকারের করুণা ভিক্ষা ছাড়া তার মুক্তির কোনো পথ দেখা যাচ্ছে না। তারেক রহমান যাবজ্জীবনের দন্ড নিয়ে পরবাসে জীবন যাপন করছেন। কিন্তু কই বিএনপি স্ট্যান্ডিং কমিটির একজন নেতাও কারাবন্দী নন কেন?
আমরা স্বীকার করি বিএনপির ওপর দিয়ে এই সরকারের আমলে অনেক ঝড় ঝাপটা গেছে। আমরা আগেই বলেছি যে তাদের জেল জুলুম এবং হামলা, মামলার কথা। এতসব স্বীকার করেও বলছি যে, ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে জেলে নেওয়ার সময় যে হাজার হাজার মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন মুখীতা দেখা গেছে, সেটি দেখে অভিজ্ঞ মানুষ ধারণা করেছিলেন যে, এত ঝড় ঝাপটার পরেও যদি কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হতো তাহলে হাজার হাজার মানুষ মাঠে নেমে পড়তেন এবং হাজার হাজার মানুষ কারা বরণ করতেন। প্রায় ১৬ মাস হয়ে গেলো । আজও কেন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কোনো দুর্বার আন্দোলন গড়ে উঠলো না? সেটি বুঝতে জনগণ অক্ষম।
ভোটের নামে যে মহা ভোট ডাকাতি হয়ে গেল তার পর সারা দেশে যদি কঠোর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হতো তাহলেও জনগণ সেই আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তেন। কারণ এবার সরকারের জুলুম দেখেছে সাধারণ মানুষ । তাদের মধ্যেও একটি মার মুখো পরিস্থিতি সত্বেও বিএনপি কেন যে মাঠে নামেনি এবং আজও মাঠে নামছে না সেটি বুঝতে জনগণ অক্ষম।
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।