গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী ঢাকায় ঈদের সকালটি ভেসেছে বৃষ্টিতে। ঈদুল ফিতরের দিন বুধবার ভোরে রাজধানীবাসী সূর্যের দেখা পেলেও তার কিছুক্ষণের মধ্যে আকাশ কালো হয়ে যায় মেঘে, সঙ্গে সঙ্গেই নামে বৃষ্টি।
অধিকাংশ ঈদ জামাত শুরু হওয়ার আগে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় নামাজে অংশ নিতে যারা ঘর থেকে বেরিয়েছিলেন, তাদের বেশিরভাগকে ভিজতে হয়েছে।
আবহাওয়া বিরূপ হলেও জাতীয় ঈদগাহে ত্রিপল থাকায় নামাজে সমস্যা হয়নি। নির্ধারিত সময় সকাল সাড়ে ৮টায় জামাত ঠিকমতোই হয়েছে। তবে এতে অংশ নিতে গিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে অনেককে। ভুক্তভোগিদের কয়েকজন অভিযোগ করেছেন, বৃষ্টিতে ভিজে জাতীয় ঈদগাহে যাওয়ার পর নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে পুলিশ ভেতরে ঢুকতে দেয়নি। মিজানুর রহমান নামে একজন মুসল্লি বলেন, এতো কষ্ট করে বৃষ্টিতে ভিজে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে গিয়ে পুলিশের বাধায় ফিরে এসেছি। আবার বৃষ্টিতে ভিজে বায়তুল মোকাররমে গিয়ে ঈদের নামজ পড়েছি। কি কারণে পুলিশ ভেতরে ঢুকতে দেয়নি তার ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।
সকালে রাজধানীর যেসব এলাকায় খোলা স্থানে ঈদের জামাত হওয়ার কথা ছিল, বৃষ্টির কারণে তার অনেকগুলোতেই তা হতে পারেনি। পাশের মসজিদে ঈদের নামাজে অংশ নিতে হয় ওই সব এলাকার মুসল্লিদের।
সকাল পৌনে ৮টা থেকে মুষলধারে বর্ষণের পর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বৃষ্টির মাত্রা কমে আসে। মাঝখানে কয়েক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আবার শুরু হয় বৃষ্টি। বেলা ১২টায় রাজধানীতে শুরু হয় মুষল ধারে বৃষ্টি। বেলা সাড়ে ১২টায় এ রিপোর্ট লেখার সময়ও ঢাকায় মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছিল।
ঢাকার মতো কিশোরগঞ্জেও বৃষ্টি হওয়ায় শোলাকিয়ার ঈদ জামাতে যারা অংশ নিতে গিয়েছিলেন, দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে তাদেরও। সেখানে রাত থেকে বৃষ্টি হচ্ছিল, তার মধ্যেই নামাজে অংশ নিতে কাকভেজা হয়ে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন অনেকে।
বুধবার ঈদের দিন যে বৃষ্টি হবে, সেই আভাস আগেই দিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। সিনিয়র আবহাওয়াবিদ আবদুল মান্নান মঙ্গলবার বলেছিলেন, কালকে (বুধবার) ভোররাত থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত ঢাকাতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ঢাকাসহ মধ্যাঞ্চলে বৃষ্টি চললেও সব অঞ্চলে বৃষ্টি হয়নি সকালে। তবে ঈদের দিন বগুড়া, নওগাঁ, রাজশাহী, যশোর, নোয়াখালীতে তেমন বৃষ্টি হয়নি বলে জানা গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।