Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

খাগড়াছড়িতে ভারি বর্ষণ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

মো. ইব্রাহিম শেখ, খাগড়াছড়ি থেকে | প্রকাশের সময় : ২০ জুন, ২০২২, ১২:০১ এএম

ভয়াবহ পাহাড়ি বন্যার অভিজ্ঞতা পেয়েছে খাগড়াছড়িবাসী। সেই তিক্ত অভিজ্ঞতা এখনও শেষ হয়নি। এরমধ্যে গত কয়েকদিন থেকে আবারও মুষলধারে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। গত শনিবার সকাল থেকে খাগড়াছড়ি সদর, দীঘিনালা, মানিকছড়িসহ বেশ কিছু উপজেলায় বর্ষণের কারণে জলাবদ্ধতা, পাহাড় ধস ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।

সরেজমিন দেখা গেছে, দীঘিনালা উপজেলার সওজ অফিসের সামনের সড়কে পানি জমে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এতে সাজেক সড়কে যাতায়াতকারী পর্যটক ও স্থানীয়দের ভোগান্তি হচ্ছে। এ ছাড়া মেরুং ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের বিভিন্ন গ্রাম পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। মেরুংয়ের মাইনী নদী তীরবর্তী ও আশপাশের অর্ধশতাধিক পরিবার ইতোমধ্যে বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে গেছে।

এদিকে খাগড়াছড়ি পৌরসভার শালবন, কুমিল্লাটিলাসহ বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ধসের ঝুঁকিতে থাকা পরিবারগুলোকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে পৌর কর্তৃপক্ষ। গত শনিবার দুপুরের পর থেকে খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করেন। ভারি বর্ষণ অব্যাহত থাকলে খাগড়াছড়ির চেঙ্গী, মাইনী ও ফেনী নদীর পানি বেড়ে বন্যার শঙ্কা রয়েছে। এদিকে খাগড়াছড়িতে খুব বেশি পর্যটকের দেখা মেলেনি।

খাগড়াছড়ি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির যুবপ্রধান সাহাজ উদ্দিন খন্দকার জানান, ভারি বর্ষণ অব্যাহত থাকায় পাহাড় ধস’সহ যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলা ও উদ্ধারকাজে নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবকদের সব ইউনিট প্রস্তুত রয়েছে। খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী জানান, ভারি বর্ষণে পাহাড়ধসের শঙ্কা মাথায় রেখে শালবন এলাকায় কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। দুটি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মাইকিং করে জনগণকে সতর্ক করা হচ্ছে।

ভৌগোলিক অবস্থান, প্রকৃতিগত বৈশিষ্ট্য ও ঘনবসতি এবং অপরিকল্পিত বহুতল ভবন নির্মাণের কারণে সদর উপজেলার শালবন, কুমিল্লাটিলা, ন্যান্সিবাজার এলাকা অন্যতম দুর্যোগপূর্ণ স্থান প্রশাসনের নজরে রয়েছে। প্রতি বছর ভারি বৃষ্টি ও দুর্যোগের সময় এসব এলাকার লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয় অন্যত্র। আবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ঐসকল লোকজন পুনরায় ঝুঁকিপূর্ণ নিজস্ব বাড়িতে ফিরে আসে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বর্ষণ

৫ জুলাই, ২০২১
৩ অক্টোবর, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ