Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বজ্র-শিলাবৃষ্টি দমকাসহ ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস

বিশেষ প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ১৩ এপ্রিল, ২০২২, ১২:০৩ এএম

দেশের বিভিন্ন স্থানে বজ্রবৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়াসহ মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। এদিকে সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা ও সিলেটের আংশিক এলাকাসহ দেশের হাওর অঞ্চলে নদ-নদীসমূহের পানি কোথাও হ্রাস কোথাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবার কোথাও পানি অপরিবর্তিত রয়েছে। উত্তর-পূর্ব ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরাসহ বিভিন্ন স্থানে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত এবং সেই সাথে উজানের ঢল আসা অব্যাহত রয়েছে। এ অবস্থায় হাওর অঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে আধাপাকা ইরি-বোরোধান ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে।

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া বিভাগ জানায়, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেই সাথে বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টিও হতে পারে। এদিকে রংপুর, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও এর সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। আগামী ৭২ ঘণ্টায় দেশে বৃষ্টি, বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।

হাওর অঞ্চলের নদ-নদীর পরিস্থিতি ও পূর্বাভাসে পাউবো’র বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র গতকাল জানায়, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার প্রধান নদ-নদীসমূহের পানি হ্রাস পাচ্ছে। অপরদিকে নেত্রকোণা জেলার প্রধান নদ-নদীসমূহের পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার প্রধান নদীসমূহের পানি স্থিতিশীল রয়েছে।

বাংলাদেশ ও ভারতের আবহাওয়া বিভাগের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং এর সংলগ্ন ভারতের আসাম, মেঘালয় ও ত্রিপুরা প্রদেশের কতিপয় স্থানে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোণা জেলার প্রধান নদ-নদীসমূহের পানি হ্রাস পেতে পারে। অপরদিকে, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলার প্রধান নদীসমূহের পানি স্থিতিশীল থাকতে পারে।

নদ-নদী প্রবাহের অবস্থা সম্পর্কে জানা গেছে, পাউবোর পর্যবেক্ষণাধীন ৩৯টি স্টেশনের মধ্যে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে ১৮টি পয়েন্টে এবং হ্রাস পাচ্ছে ২১টি পয়েন্টে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া বিভাগ ও বৈশ্বিক আবহাওয়া পূর্বাভাসের ভিত্তিতে পাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বিশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে চলতি সপ্তাহে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। গত ১০ থেকে আগামী ১৭ এপ্রিল দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং এর সংলগ্ন ভারতের আসাম (বরাক অববাহিকা) ও মেঘালয় প্রদেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুরমা, কুশিয়ারা, যদুকাটা, লুভাছড়া, সারিগোয়াইন, ধলগাইন, পিয়াইন, সোশে^রী, ভুগাই, কংস, বাউলাই নদ-নদীসমূহের পানি বৃদ্ধি পেয়ে কতিপয় স্থানে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। এর ফলে ১৭ এপ্রিল পরবর্তী সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার কতিপয় স্থানে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ