মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সুদানে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬০ এ দাঁড়িয়েছে বলে বিরোধীদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একদল চিকিৎসক নিশ্চিত করেছেন।
সোমবার সেনা সদরদপ্তরের বাইরে নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের ওপর অন্তর্বর্তীকালীন সেনা কাউন্সিল (টিএমসি) নিয়ন্ত্রণাধীন বাহিনী ঝাঁপিয়ে পড়লে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
টিএমসি পরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে হওয়া সব চুক্তি বাতিল করে ৯ মাসের মধ্যে নতুন নির্বাচনের ঘোষণা দেয়।
সুদানের প্রফেশনাল অ্যাসোসিয়েশন এ ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে মঙ্গল ও বুধবার জনগণকে ফের রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানালেও রাজধানী খার্তুমের বেশিরভাগ এলাকাতেই নিরাপত্তা বাহিনীকে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রস্তুত থাকতে দেখা গেছে, জানিয়েছে বিবিসি।
আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের সদস্যরা খার্তুমের বিভিন্ন সড়কে ঘুরে ঘুরে বেসামরিকদের ওপর হামলা চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ বাসিন্দাদের।
আধাসামরিক এ ইউনিটটি আগে ‘জানজাউইড’ নামে পরিচিত ছিল; দক্ষিণ সুদানের দারফুরে ২০০৩ সালের সংঘর্ষে এদের বর্বরতার কুখ্যাতি আছে।
মোবাইল ফোনে তোলা অনেক ভিডিওতে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ধরে অগ্রসর হতে হতে ব্যারিকেড সরাতে ও গুলি ছুড়তে দেখা গেছে।
দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর ওমদুরমানের সড়কগুলোতেও সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
সেনা সদস্যরা শহরটির বাসিন্দাদের ‘জিম্মি করে রেখেছে’ বলেও অভিযোগ অনেকের।
সংকট নিরসনে সুদানের সেনাবাহিনীকে একটি সমাধান বের করতে আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘে একটি প্রস্তাব আনতে চেষ্টা করেছিল যুক্তরাজ্য ও জার্মানি।
রাশিয়ার সহায়তায় চীন ওই প্রস্তাবটি আটকে দেয় বলে জানিয়েছে বিবিসি।
“আমরা জিম্মি হয়ে আছি, কেউ শহর থেকে বের হতে পারছে না,” বলেছেন খার্তুমের এক বাসিন্দা।
সংঘর্ষের কারণে সুদানের রাজধানীতে বিমান চলাচলেও বিঘ্ন ঘটেছে।
সুলাইমা নামে এক নারী বিবিসিকে বলেছেন, র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের সদস্যরা ‘পুরো খার্তুমে ছড়িয়ে পড়েছে’।
“তারা জনগণকে হুমকি দিচ্ছে; গুলি ছুড়ছে। তারা সর্বত্র। আমরা নিজেদের নিরাপদ ভাবতে পারছি না, নিরাপত্তা বাহিনীকেও বিশ্বাস করতে পারছি না। এটা পুরোপুরি নৈরাজ্য,” বলেছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও নরওয়ে সুদানের সংকটময় পরিস্থিতি নিয়ে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করে সেনাবাহিনীকে বেসামরিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে রাজি হতে অনুরোধ জানিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।