বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঈদকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জ জেলার যানবাহন মালিকেরা অতিরিক্ত ভাড়া বৃদ্ধি করে যাত্রীদের পকেট কাটতে শুরু করেছে। সেই সঙ্গে সমিতির নামে দ্বিগুণ চাঁদা আদায়ও শুরু হয়েছে। এই অনিয়মে যাত্রী সাধারণের মনে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র ক্ষোভের।
জানা গেছে, সিরাজগঞ্জ-ঢাকা-রংপুর-রাজশাহীসহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন রুটে সিরাজগঞ্জের বাস মালিক, সিএনজি ও মাইক্রোবাস মালিকেরা ঈদকে সামনে রেখে যাত্রীদের নিকট থেকে ইচ্ছেমত ভাড়া আদায় করছে। কোথায় দ্বিগুণ, কোথাও বা তিন গুণের কাছাকাছি এসব রুটের ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। সিরাজগঞ্জ-ঢাকা রুটের ২৫০ টাকার ভাড়া এখন ৪০০ টাকা আদায় করছে। অথচ টিকিটের গায়ে লেখা থাকছে ২৫০ টাকা। সিরাজগঞ্জ থেকে এসআই পরিবহন, অভি এন্টার প্রাইজ, ষ্টারলিট, ঢাকা লাইন, ইউনিকসহ বিভিন্ন নামী-বেনামী বাসের ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে। সরকারী ভাবে ভাড়া বৃদ্ধি হবে না বললেও এসব যানবাহন মালিকেরা সরকারের সেই ঘোষণার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুল প্রদর্শন করে যাত্রীদের পকেট কাটা অব্যাহত রেখেছে। সেই সাথে ঢাকা থেকে সিরাজগঞ্জ, বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চলগামী প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস থেকে রায়গঞ্জ ধানগড়া, শহরের পৌরসভাস্থ কাজিপুর রাস্তার মোড়, কাঠেরপুলসহ বিভিন্ন পয়েন্টে দ্বিগুণ হারে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে।
ঘটনার এখানেই শেষ নয় এসব দূরপাল্লার যানবাহন মালিকদের দেখাদেখি সিরাজগঞ্জ শহরের উপজেলা ও আভ্যন্তরীণ রুটগুলোতেও সিএনজি, মাইক্রোবাস, লোকাল বাসে আদায় করা হচ্ছে দ্বিগুণ ভাড়া। ভাড়া বৃদ্ধির যুক্তি হিসেবে যাত্রীদের বলা হচ্ছে ঈদের এই সময়টা কিছু পয়সা না কামালে কখন কামাবো? আর একটি কারণ বলা হচ্ছে, চাঁদা দ্বিগুণ হওয়ার ফলে বাড়ানো হয়েছে যাত্রী ভাড়া। বাস মালিকগণ যুক্তি দেখিয়েছে সিরাজগঞ্জ থেকে এখন ঢাকায় যাত্রী কম হচ্ছে। এ ব্যাপারে মালিক সমিতির সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলতে চাইলে, তাদের ফোন ব্যস্ত দেখায়। অপরদিকে সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার এর সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, ভাড়া বৃদ্ধি বা চাঁদাবাজীর কোন অভিযোগ আমি পাইনি। পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।