মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেছেন, প্রতিটি রাজনৈতিক দলেরই নিজস্ব স্লোগান থাকে। তা নিয়ে তার কোনো আপত্তি নেই। তাদের ‘বন্দে মাতরম’, ‘জয় হিন্দ’ স্লোগানের মতোই বামপন্থীদের ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ স্লোগানকেও সম্মান করে বাংলা। রোববার ফেসবুকে দেয়া একটি পোস্টে এই কথা লেখেন তিনি।
মমতা তার পোস্টে বিজেপির ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানকে রাজনৈতিকভাবে প্রতিরোধের ডাক দেন। ভারতের ‘শুভ বুদ্ধিসম্পন্ন’ মানুষের কাছে তার আহ্বান, যারা ঘৃণা ছড়িয়ে, মানুষের মধ্যে বিভেদ তৈরি করে দেশের ধর্মনিরপেক্ষ ঐতিহ্য, ইতিহাস এবং সংবিধান ধ্বংস করার চেষ্টা করছে, তাদের যথাযথ উত্তর দিতে হবে।
রামমোহন রায়, বিদ্যাসাগরের বাংলার কথা মনে করিয়ে দিয়ে মমতা লিখেছেন, ‘বাংলা চিরকালই ঐক্য এবং উন্নত চিন্তার কথা বলেছে। কিন্তু বিজেপির রাজনৈতিক কৌশল পশ্চিমবাংলায় নেতিবাচক রাজনীতির জন্ম দিচ্ছে।’ তার বক্তব্য, আবার ‘জয় সিয়া রাম’, ‘জয় রাম জি কী’, ‘রাম নাম সত্য হ্যায়’— এই উচ্চারণগুলোর সঙ্গে সামাজিক ভাবাবেগ জড়িয়ে। সেই সামাজিক ভাবনাকেও তিনি সম্মান করেন। তার অভিযোগ, বিজেপি সেই ধর্মীয় এবং সামাজিক ভাবাবেগকে সঙ্কীর্ণ রাজনীতির প্রয়োজনে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে। এবং সে জন্যই ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানটিকে ব্যবহার করছে। এখানেই তার আপত্তি। আরএসএসের এ ধরনের সঙ্কীর্ণ রাজনীতি পশ্চিমবঙ্গ গ্রহণ করে না বলেই মমতার দাবি। মমতা লিখেছেন, এই ভাবেই বাংলায় হিংসা এবং বিভেদের রাজনীতির জমি তৈরির চেষ্টা করছে বিজেপি। সকলের একসঙ্গে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তোলা দরকার।
বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অবশ্য পাল্টা জবাবে বলেছেন, ‘বিজেপি এই স্লোগান রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে না। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই স্লোগান দিচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রীর এতে কী সমস্যা হচ্ছে, সেটাই বুঝতে পারছি না!’
উল্লেখ্য, ভারতের সর্বশেষ লোকসভা নির্বাচনের প্রচার পর্ব থেকেই ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল পশ্চিমবাংলাত। একাধিকবার বিজেপির এই স্লোগানের তীব্র বিরোধিতা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। ভোটের প্রচারের সময়ে এবং ফলপ্রকাশের পরে, সম্প্রতি নৈহাটি যাওয়ার পথে ‘জয় শ্রীরাম’ শুনে গাড়ি থেকে নেমে তেড়ে গিয়েছিলেন মমতা। জবাবে বিরোধীরা বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী যত এর প্রতিবাদ করবেন, তারা তত বেশি এই স্লোগান দেবেন। দিলীপের কথায়, ‘মুখ্যমন্ত্রী যেখানে যাবেন, সেখানেই এখন তাকে এই স্লোগান শুনতে হবে।’
‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগানকে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে হাতিয়ার হিসেবে কাজে লাগানোর প্রস্তুতিও নিতে শুরু করেছে বিজেপি। দলের ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংহ এ দিনই দাবি করেছেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে অন্তত ১০ লক্ষ ‘জয় শ্রীরাম’ লেখা পোস্ট কার্ড পাঠানো হবে মমতার বাড়ি এবং নবান্নের ঠিকানায়। কয়েক হাজার পোস্ট কার্ড ইতোমধ্যেই পাঠানো হয়ে গিয়েছে।
দিল্লিসহ দেশের অন্যান্য প্রান্ত থেকেও মমতার বাড়িতে পোস্ট কার্ড পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন, বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তার বক্তব্য, ‘এটা দলের ঘোষিত কর্মসূচি নয়। কিন্তু দলের কর্মীরা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবেই উদ্যোগী হয়ে এ কাজ করছেন। দল তা আটকানোর চেষ্টা করবে না।’ মধ্যপ্রদেশ থেকেও কয়েক হাজার পোস্ট কার্ড এ দিনই মমতার কালীঘাটের বাড়ির ঠিকানায় পোস্ট করা হয়েছে। সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।