Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০৯ জুলাই ২০২৪, ২৫ আষাঢ় ১৪৩১, ০২ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

চাপের মুখে সিদ্ধান্ত বদল, ভারতে ঐচ্ছিকই থাকছে হিন্দি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ জুন, ২০১৯, ৪:৫৭ পিএম

বিভিন্ন মহলে প্রবল বাধার সম্মুখীন হয়ে অবশেষে সিদ্ধান্ত বদল করল ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। দেশটির জাতীয় শিক্ষা নীতির খসড়া বদল করে জানানো হয়েছে, বাধ্যতামূলক নয়। স্কুলে ঐচ্ছিক ভাষা হিসেবেই রাখা হবে হিন্দিকে। 

নতুন খসড়ায় বলা হয়েছে, ‘ছাত্রছাত্রীরা যে কোনও ভাষা বেছে নিতে পারবে। তারা যে ভাষায় পড়ছে, তার মধ্যে একটি বা তার বেশি ভাষা তারা চাইলে বদলে নিতে পারবে।’ তিন ভাষা ফর্মুলার ধারায় কোথাও হিন্দির কথা উল্লেখ করা হয়নি। আগের খসড়ায় বলা হয়েছিল, স্কুলে ছাত্রছাত্রীরা যে তিনটি ভাষা পড়ে, হিন্দি ও অ-হিন্দিভাষী সব রাজ্যে ইংরেজি ও হিন্দি তাদের পড়তেই হবে।
এই খসড়ার বিরোধিতায় সরব হয়েছিল নানা মহল। বিশেষত দক্ষিণি রাজ্যগুলি থেকে সবচেয়ে বেশি প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয়। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত হিন্দিকে বাধ্যতামূলক করার প্রচেষ্টার চরম বিরোধিতা করা হয়। চাপে পড়ে রোববারই পিছু হঠার ইঙ্গিত মেলে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের কথায়। তিনি বলেন, দেশের সব ভাষাকে সম্মান করে কেন্দ্রীয় সরকার। এই কারণে কোনও ভাষা জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হবে না।
এদিন টুইটারেও তামিল ভাষায় লেখা টুইটে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ‘দেশবাসীর অনুমতি সাপেক্ষে জাতীয় শিক্ষানীতির খসড়া রিপোর্ট নিয়ে সরকার পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। দেশের কোনও প্রান্তে জোর করে কোনও ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার নীতি সরকারের নেই।’
রোববার রাতেই কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কস্তুরীরঙ্গন কমিটি ‘নতুন শিক্ষা নীতি ২০১৯’-এর যে খসড়া জমা দিয়েছে তা এখনই কার্যকর হচ্ছে না। এ সম্পর্কে নাগরিক সমাজ এবং প্রতিটি রাজ্যের সরকারের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। আলোচনার ভিত্তিতে চূড়ান্ত নীতি তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছে সরকার। সূত্র: টিওআই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ