পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা প্রবাসীদের আয় বৈধভাবে দেশে পাঠানো উৎসাহিত করতে প্রথমবারের মতো তাদের আয়ে ভর্তুকি দিতে যাচ্ছে সরকার। আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে দুই শতাংশ হারে এই সুবিধা রাখা হচ্ছে। অর্থবিভাগের সংশ্লিষ্টরা জানান, ব্যাংকিং চ্যানেলে বা অন্য কোনো বৈধ মাধ্যমে প্রবাসীরা টাকা পাঠালে ব্যাংক থেকে এই সুবিধা পাবে। পরে ভর্তুকির টাকা ব্যাংকে পরিশোধ করবে সরকার। এজন্য, আগামী বাজেটে কম বেশি আড়াই হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হচ্ছে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়ের সচিব রৌনক জাহান বলেন, আমাদের প্রায় এক কোটি কর্মী বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কাজ করছেন। কিন্ত সে অনুযায়ী প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স আমরা পাচ্ছি না। কারণ, বৈধভাবে টাকা আসার পরিমাণ বাড়ছে না। এজন্য বৈধ উপায়ে টাকা পাঠানো উৎসাহিত করতেই আমরা প্রবাসীদের পাঠানো টাকায় ভর্তুকি দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছি। যত দূর জেনেছি, আগামী বাজেটে এই ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে দেখা গেছে, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে অর্থাৎ জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়ে এক হাজার ৪০ কোটি ৩৯ লাখ (১০ দশমিক ৪০ বিলিয়ন) ডলারের আয় পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের একই সময়ে পাঠিয়েছিলেন ৯৪৬ কোটি ১১ লাখ (৯ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন) ডলার। টাকার বিপরীতে ডলারের তেজি ভাব এবং হুন্ডি ঠেকাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নানা পদক্ষেপের কারণে গত অর্থবছরের মতো চলতি অর্থবছরেও প্রবাসী আয়ে ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে জানান, ২০১৯ সালের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ১৫৯ কোটি ডলারের আয় দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা ছিল একমাসের হিসেবে রেকর্ড। এর আগে ২০১৪ সালের জুলাই মাসে এক মাসে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এসেছিল ১৪৯ কোটি ২৪ লাখ ডলার। তিনি বলেন, প্রবাসীদের সুবিধা দিলে এ খাত থেকে আয়ের পরিমাণ আরও বেড়ে যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।