রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে কৃষি সেচ খাতে কোটি টাকার ভর্তুকি দিলেও তার সুবিধা পাচ্ছে না প্রান্তিক চাষিরা। এ সুবিধা শুধুমাত্র ভোগ করছে সেচ পাম্প মালিকরা। বিএডিসি সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় বিদ্যুৎ চালিত ২২৪টি গভীর, ১৬০০ অগভীর সেচ পাম্প রয়েছে। এসব সেচ পাম্পের আওতায় বোরো মৌসুমে চাষিরা ধান চাষ করেন। ২০০২ সাল থেকে মোটর চালিত সেচ পাম্প গুলোতে মোট বিলের উপর ভর্তুকি দিয়ে আসছে সরকার। যা প্রতিমাসে বিলের সঙ্গে সমন্বয় করা হয় বলে ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি -৩এর ঈশ্বরগঞ্জ সাব জোনাল অফিস সূত্রে জানা গেছে।
চাষিরা জানান, বোরো আবাদে মৌখিক চুক্তিতে সেচ পাম্প মালিকরা চাষিদের ক্ষেতে সেচ দিয়ে থাকেন। মৌসুমের শুরুতেই অর্ধেক টাকা বা পূরো টাকা পরিশোধ করতে হয়। বোরো মৌসুমে প্রতি ১০ শতাংশে ৫শ থেকে ৬ টাকা পর্যন্ত খরচ নেন তারা।
সদর উপজেলার চরহোসেনপুর গ্রামের চাষি আকবর আলী জানান, সেচ পাম্প মালিকরা যে পরিমাণ টাকা নেন তা অনেক বেশি। প্রতি ১০শতাংশে সেচের প্রকৃত খরচ হয় আনুমানিক এক ১শ থেকে ২শ টাকা। কিন্তু সেচ পাম্প মালিকদের অঘোষিত সিন্ডিকেটের কারণে চাষিদের আর কিছুই করার থাকে না।
এ উপজেলার চরশংকর গ্রামের নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক বৈদ্যুতিক সেচ পাম্প মালিক জানান, প্রতি ১০শতাংশে তিনি ৬শ টাকা খরচ নেন। এতে প্রতি ১০শতাংশে তার ২শ টাকা লাভ থাকে। সারা মৌসুমে শ্রমিক দিয়ে চাষিদের ক্ষেতে সেচ দিতে হয়। বিদ্যুৎ বিল ও অন্যান্য খরচ মিটিয়ে সেচ পাম্প মালিকদের তেমন কিছুই থাকে না।
ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ৩ এর ঈশ্বরগঞ্জ সাব জোনাল অফিসের এজিএম জসিম উদ্দীন জানান, বোরো চাষীদের সেচ সুবিধার জন্যে ৪টাকা প্রতি ইউনিট বিল ধরা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।