Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

বগুড়ায় ভর্তুকির সারসহ ৫ ডিলার গ্রেফতার

বগুড়া ব্যুরো ও আদমদীঘি উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৭ জুন, ২০২১, ১২:০১ এএম

ভর্তুকির সার কালো বাজারে বিক্রির সময় ৩৫০ বস্তা (১৭ টন) সারসহ ৫ জন ডিলারকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। গতকাল শনিবার র‌্যাব-১২ বগুড়া স্পেশাল কোম্পানী থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটগ্রামের আয়েত আলীর ছেলে রুহুল আমিন, আদমদীঘি উপজেলার সুদিন গ্রামের মৃত শওকত আলীর ছেলে নওশাদ, আদমদীঘি বাজার এলাকার মৃত ফজলুল হকের ছেলে এমদাদুল হক, শালগ্রামের খোরশেদ আলীর ছেলে ফজলুল হক এবং মৃত নাসিউল হকের ছেলে এহসানুল করীম। র‌্যাব-১২ জানায়, বগুড়া জেলায় সারের চাহিদা বেশি থাকায় এক শ্রেণির অসাধু ডিলার বেশি মুনাফার লোভে সরকারের ভর্তুকি দেয়া সার কালোবাজারে বিক্রয় করছে এবং আদমদীঘি হতে নন্দীগ্রামে কালোবাজারির ৩৫০ বস্তা সার পাচার হয়ে যাচ্ছে। এমন খবরের ভিত্তিতে র‌্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্পের একটি দল গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১২ টায় বগুড়া জেলার কাহালু থানার দুর্গাপুর-জামাদারপুকুর সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে পাচার করা ৩৫০ বস্তা সারসহ একটি ট্রাক আটক করে। এসময় ট্রাকে থাকা নন্দীগ্রাম থানার সারের ডিলার কালোবাজারির মূলহোতা রুহুল আমিনসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করে। আটক করা ট্রাকে টিএসপি ও এমওপির ৩৫০ বস্তা সার পাওয়া যায়।
র‌্যাব আরও জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানিয়েছে ১৭ টন সার আদমদীঘি উপজেলার বিভিন্ন ডিলারের নামে বরাদ্দ হয়েছিল। বরাদ্দকৃত সারগুলো নন্দীগ্রামের ডিলারের নিকট সান্তাহার বিএডিসি গোডাউন হতে উত্তোলন করে বিক্রি করে দেয়। তারা একে অপরের যোগসাজসে সিন্ডিকেট করে কালোবাজারে অতিরিক্ত মুনাফার লোভে অবৈধভাবে বিক্রয় করে। যার ফলে কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি হওয়ায় কৃষক অতিরিক্ত দামে সার কিনতে বাধ্য হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভর্তুকির সার
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ