পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, বিগত ১০ বছরে বর্তমান সরকার ৬৩ হাজার ২৬৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা কৃষি ভর্তুকি প্রদান করা হয়েছে। অওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর পরই সারের মূল্য কমিয়ে ভর্তুকির পরিমাণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
গতকাল রবিবার সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এতথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এসংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন সরকারি দলের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফ। জবাবে মন্ত্রী আরো জানান, ২০০৯-১০ অর্থবছর হতে ২০১৯ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কৃষিতে ভর্তুকি দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে শুধুমাত্র সারেই ৬১ হাজার ১২৩ কোটি ৯৩ লাখ, বিদ্যুতে এক হাজার ১৫৯ কোটি ৭৯ লাখ, ইক্ষুতে ১৪২ কোটি ৮৮ লাখ, ডিজেলে ভর্তুকি ৭৫০ কোটি টাকা। তিনি আরো জানান, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে খাদ্যশস্য উৎপাদন ছিল ৩ কোটি ৩৩ লাখ ৩ হাজার মেট্রিক টন। বর্তমানে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে উৎপাদন বেড়ে ৪ কোটি ১৩ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন হয়েছে।
বিরোধী দল জাতীয় পার্টির দলীয় সংসদ সদস্য ডা. রুস্তম আলী আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক জানান, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে রোপা আমন ধানের উৎপাদন খরচ ছিল প্রতি কেজি ২৪ টাকা ৬৩ পয়সা, ধানের সংগ্রহ মূল্য ছিল ২৬ টাকা এবং বোরো ধানের উৎপাদন খরচ ছিল প্রতি কেজি ২৪ টাকা, ধানের সংগ্রহ মূল্য ছিল ২৬ টাকা। এছাড়া ২০১৮-১৯ বছরে পরাপা আমন ধানের উৎপাদন খরচ প্রতি কেজি ২৫ টাকা ৩০ পয়সা, ধানের সংগ্রহ মূল্য ২৬ টাকা। সরকারী দলের সংসদ সদস্য মোজাফফর হোসেনের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বিএডিসির ৪৭৩টি সার গুদাম রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।