পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : কৃষি খাতের উন্নয়নে ভর্তুকি সরাসরি কৃষকের হাতে দিতে এবং কৃষি খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর সুপারিশ করেছেন বিশিষ্টজনেরা। জাতীয় প্রেসক্লাবে বুধবার ‘জাতীয় বাজেট ২০১৬-১৭ কৃষি খাতের বরাদ্দ ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ খাদ্য নিরাপত্তা’ শীর্ষক সেমিনারে এ সুপারিশ করেন। ইক্যুইটি অ্যান্ড জাস্টিস ওয়ার্কিং গ্রুপ বাংলাদেশ (ইক্যুইটিবিডি) ও ক্যাম্পেইন ফর সাসটেইনেবল রুরাল লাইভলিহুড (সিএসআরএল) যৌথভাবে সেমিনারের আয়োজন করে।
কৃষিবিদ ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে কৃষি ভতুর্কি ২৫ শতাংশ কমিয়ে ৯ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। যা দেড় কোটি কৃষকের জনপ্রতি ৬ হাজার টাকা। গত দু’বছর কৃষি মন্ত্রণালয় ভর্তুকির টাকা খরচও করতে পারেনি। সরকার চাইলে কৃষকদের ১০ টাকার অ্যাকাউন্টে সরাসরি ভর্তুকির টাকা দিতে পারতো। প্রকৃত কৃষক কৃষি ঋণ পায় না। পশ্চিমবঙ্গ সরকার যদি সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনতে পারে আমরা কেন নেই? কৃষি বাঁচাতে হলে এ নিয়ে সরকারকে ভাবতে হবে।
এতে সংসদ সদস্য টিপু সুলতান বলেন, শিল্প খাতে আমরা বিপ্লব না ঘটাতে পারলেও কৃষি খাতে পারবো। এ মুহূর্তে কৃষি খাতে ভর্তুকি দিতে না পারলে বিপর্যয় নেমে আসবে। কৃষক ফসলের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় কৃষি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে, কিন্তু মুখ ফিরিয়ে নেয়া সে স্বয়ংসম্পূর্ণতার জন্য হুমকি। তিনি বলেন, নদীগর্ভে বিলীন হওয়া জমি কৃষককে ফিরিয়ে দিতে, জমি ও ফসল সুরক্ষায় বেড়িবাঁধ নির্মাণ, বীজ সংরক্ষণ ও ভর্তুকি সরাসরি কৃষকের হাতে পাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
সংসদ সদস্য ইসরাফিল আলম বলেন, কৃষি খাতে ভর্তুকির প্রয়োজন নেই, ভর্তুকির পরিবর্তে বিনাশর্তে ঋণের ব্যবস্থা করলে কৃষক অনেক লাভবান হবেন। কৃষি যন্ত্রাংশে যে সুবিধা দিয়ে থাকে তা সাধারণ কৃষকদের কাজে আসে না। সেক্ষেত্রে যন্ত্রাংশ স্বল্প সুদে কৃষকদের পাওয়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। তিনি অরো বলেন, কৃষি পণ্যের ন্যায্যমূল্যের জন্য কৃষকের সঙ্গে মার্কেটিং চ্যানেলের যোগাযোগ গড়ে উঠেনি, সেজন্য কৃষক ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হয়। রপ্তানিতে বাংলাদেশের কৃষি পণ্যের ব্যাপক চাহিদা থাকলেও রপ্তানির সঙ্গে কৃষকের কোনো অংশগ্রহণ নেই, সেটা গড়ে তোলা বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন এ সংসদ সদস্য।
আরেক সংসদ সদস্য মনোরঞ্জনশীল গোপাল বলেন, ভর্তুকি কৃষকের হাতে সরাসরি পৌঁছে দেয়া বড় চ্যালেঞ্জ। মধ্যস্বত্ব¡ভোগীদের পেটে চলে যায় এসব ভর্তুকি। কৃষিপণ্য উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। সমন্বয় থাকলে কৃষিতে অস্থিরতা বিরাজ করতো না। এক্ষেত্রে মনিটরিং জোরদার করা দরকার।
ইন্টারনেট ব্যবহারের ওপর ভ্যাট কমানোর দাবি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।