Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

লক্ষ্মীপুরে তাহের পুত্রের বিরুদ্ধে শ্রমিকলীগ নেতাকে মারধর ও চাঁদা দাবীর অভিযোগ

লক্ষ্মীপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৬ মে, ২০১৯, ৪:১৫ পিএম

লক্ষ্মীপুরে পৌরসভার মেয়র এমএ তাহের পুত্রের বিরুদ্ধে জেলা শ্রমিকলীগের আহবায়ক মামুনুর রশিদকে তুলে নিয়ে মারধর ও ১০ লাখ টাকা চাঁদাদাবীর অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী। আজ রোববার বিকাল ৩টার দিকে স্থানীয় একটি রেষ্টুরেন্টে মামুনুর রশিদ অভিযোগ করে বলেন, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে লক্ষ্মীপুর শহরে যাওয়ার পথে আমার শার্টের কলার ধরে বিপ্লব ও তার সাথে থাকা ১৮/২০ জন লোক তমিজ মার্কেট এলাকার পিংকি প্লাজার নিচে নিয়ে যান। এসময় আমার কাছে ঈদ খরচের জন্য ১০লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা দিতে অপারগতা জানালে আমাকে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মারা হয়। এতে লোকজন ঝড়ো হলে আমাকে ছেড়ে দেয়। পরবর্তীতে সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহন নিই। ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এড. রাসেল মাহমুদ ভূঁইয়া মান্না, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক নজরুল ইসলাম ভুলু, জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক এড. শেখ জামাল রিপন প্রমুখ।

এ ঘটনায় শুক্রবার সন্ধ্যায় মামুন বাদী হয়ে বিপ্ল¬বকে প্রধান আসামি করে ২০ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি এজাহার দাখিল করেছেন। মামুন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স রিয়া এন্টারপ্রাইজেরও স্বত্বাধিকারী। অভিযোগ আনা অন্যরা হলেন পৌরসভার বাঞ্চানগর এলাকার জুয়েল, আবদুল মান্নান, কিরন, তানিম, হারুনুর রশিদ, পশ্চিম লক্ষ্মীপুরের পরান, স্টেডিয়াম রোডের শাহাদাত হোসেন ও অজ্ঞাতপরিচয়ের আরও ১২ জন। তাঁরা বিপ্লবের সহযোগী হিসেবে পরিচিত।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর বিপ্লব কারামুক্ত হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন ঠিকাদার-ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে আসছেন। গত বুধবার রাতে ঈদের খরচের জন্য ১৪-১৫টি মোটরসাইকেল নিয়ে বিপ্লবের লোকজন ঠিকাদার মামুনের পৌরসভার সাহাপুর এলাকার বাড়িতে গিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এ সময় দাবি করা টাকা দিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন। পরদিন বৃহস্পতিবার বিকেলে লক্ষ্মীপুর শহরে যাওয়ার পথে মামুনের শার্টের কলার ধরে বিপ্ল¬ব ও আসামিরা তমিজ মার্কেট এলাকার পিংকি প¬াজার নিচে নিয়ে যান। টাকা দিতে অপারগতা জানালে তাঁকে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি মারা হয়। পরে তাঁকে ছেড়ে দেয়া হয়।

অপরদিকে একই অভিযোগ এনে পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের হাজী আহসান উল্লাহর ছেলে আবদুল মান্নান বাদি হয়ে শ্রমিকলীগ নেতা মামুন সহ ৪জনকে আসামী করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে।

এ ব্যাপারে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ লোকমান হোসেন বলেন, দুইটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। দুইটি বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সংবাদ সম্মেলন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ