পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নতুন কর্মকৌশল সামনে রেখে দলকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা নিয়েছে বিএনপি। আগামী আগস্ট-সেপ্টেম্বরে দলের কাউন্সিল আয়োজনের লক্ষে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা সার্বিক প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তরুণদের প্রধান্য দিয়ে দলকে পুনর্গঠন করার লক্ষে বিএনপির নীতিনির্ধারকরা কাজ করছেন। বিশেষ করে ছাত্রদল-যুবদল থেকে আসা তরুণ নেতাদেরকে এবার দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে জায়গা করে দেয়া হবে। সে লক্ষে দলের ত্যাগি তরুণ নেতাদের একটি তালিকা ইতোমধ্যে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো হয়েছে। তিনি নিজে এবার দল পুনর্গঠনের দায়িত্ব নিয়েছেন। দলের একাধিক নেতার সাথে কথা বলে এ সব বিষয় জানা গেছে। দল পুনর্গঠনে বিগত সময়ের আন্দোলন সংগ্রামে কার কি ভূমিকা তার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে বলে দলের নেতারা জানিয়েছেন। এ ছাড়া গত বছর ৩০ ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের উপলব্দিও দল পুনর্গঠনে কাজে লাগানো হবে অনেক নেতা এমনটাও বলেছেন । এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ইনকিলাবকে বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে দল পুর্নগঠন চলছে। সারাদেশে জেলা-উপজেলা এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হচ্ছে। সবখানে ত্যাগি এবং তরুণদের মূল্যায়ন করা হচ্ছে। নিজের সুবিধার জন্য দলের পদ-পদবি পাওয়ার জন্য যারা ব্যস্ত থাকেন, লবিং তদবির করেন তাদের ব্যাপারে এবার আগে থেকে সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সরাসরি সব কিছু তদারকি করছেন। তার পরামর্শ ও নির্দেশনা অনুযায়ী দলকে ঢেলে সাজানোর প্রক্রিয়া এগিয়ে চলছে।
দল পুর্নগঠনের এ বিষয়টিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা অত্যন্ত ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। তারা বলেন, বর্তমানে সাংগঠনিকভাবে বিএনপির যে দুর্বল অবস্থা তা দূর করতে হলে দল পুর্নগঠনের কোন বিকল্প নেই। সেক্ষেত্রে তরুণদের প্রাধান্য দিয়ে দল পুর্নগঠন করা হলে তাতে সাংগঠনিক গতি অবশ্যই বৃদ্ধি পাবে। তবে প্রবীণদের অভিজ্ঞতাকেও কাজে লাগাতে হবে বলে তারা মনে করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. এমাজউদ্দীন আহমদ এ বিষয়ে ইনকিলাবকে বলেন, বিএনপিকে সাংগঠনিকভাবে পুর্নগঠন করা অত্যন্ত জরুরি। সেদিকটায় যাদি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নজর দিয়ে থাকেন তাহলে তা অবশ্যই ইতিবাচক। কেননা বিএনপির চেয়ারপার্সন কারাবন্দি হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন ইস্যুতে দলের সিদ্ধান্তহীনতা লক্ষ্য করা গেছে। এর মধ্যে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সম্প্রতি দলের যে দুটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা অনেকটাই সময়ের আলোকে সঠিক বলে বিবেচিত হয়েছে। এতে সর্বমহলে তার ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। এখন তিনি যদি সরাসরি দায়িত্ব নিয়ে দল পুর্নগঠন করেন তাহলে সেটা দলের জন্য মঙ্গল হবে এমনটাই ধারনা করা যায়। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন অনেক নজির আছে যে দেশের বাইরে থেকে বা বন্দি থেকেও অনেকে দল পরিচালনা করেছেন। সেক্ষেত্রে বর্তমানে প্রযুক্তির এতো উৎকর্ষতার যুগে তারেক রহমানের দল পরিচালনা করাতো কোন দু:সাধ্য বিষয় নয়।
বর্তমানে দুটি লক্ষ সামনে রেখে বিএনপি অগ্রসর হচ্ছে। এর একটি দল পুনর্গঠন, অন্যটি দলের চেয়ারপার্সনের মুক্তি। দলের অনেক নেতা মনে করেন আইনি প্রক্রিয়ায় চেয়ারপর্সনের মুক্তি সম্ভব নয়। রাজপথে জোরালো আন্দোলনের মাধ্যমে তাকে মুক্ত করতে হবে। আবার অনেকে মনে করেন একজন অসুস্থ বৃদ্ধ মহিলার জামিন পাওয়াটা আইনি অধিকার। তাই জামিন পাওয়াটা তার প্রাপ্য। তাই আইনি প্রক্রিয়ায় শিগ্রই তার জামিন হবে। তবে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে দলকে শক্তিশালী করে দাঁড় করানোটা অবশ্যই জরুরি। তাই দলকে পুনর্গঠন করার বিষয়টিই এখন প্রধান লক্ষ্য। আর এটাই এখন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
এ বিষয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লা চৌধুরী বলেন, বিএনপিকে ঘুরে দাঁড়াতে হলে তাদের দলকে পুনর্গঠন করতে হবে। সারাদেশে তাদের প্রচুর সমর্থন রয়েছে। এই জন সমর্থনকে কাজে লাগানোর মতো সংগঠনিক তৎপরতা নেই। তাই দক্ষ নেতৃত্বের মাধ্যমে দলকে পুনর্গঠন করলে বিএনপি জনসমর্থনকে কাজে লাগিয়ে সফল হতে পারবে। তাই সাংগঠনিক পুনর্গঠনই বিএনপির প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত।
দল পুর্নগঠন প্রসঙ্গে বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী ইনকিলাবকে বলেন, সারাদেশে তৃণমূল পর্যায়ে দল পুর্নগঠন চলছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সরাসরি তত্ত্বাবধানে সিনিয়র নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন জেলা-উপজেলা এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়ের কমিটি পুর্নগঠন করছেন। তরুণ এবং ত্যাগি নেতাদের সর্বত্র প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। তৃণমূল পর্যায়ে দল পুনর্গঠন শেষে আগামী আগস্ট-সেপ্টেম্বরের দিকে কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের আয়োজন করা হবে। কাউন্সিলের মাধ্যমে একটি দক্ষ উদ্যোমী কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।