২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত মোটা হবেন ৪০০ কোটি মানুষ
২০৩৫ সালের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত ওজন বা মোটা হবেন বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ। সংখ্যার বিচারে যা
রহমত, মাগফেরাত ও নাজাতের মাস রমজান। মুসলমান মাত্রই একথা বিশ্বাস করে। এই কারণে রমজানে একটু বেশী ইবাদাত বন্দেগী সবাই করতে চায়। তাছাড়া রমজানে জীবনযাত্রা অনেক পাল্টে যায়। বদলে যায় অফিস টাইম। প্্রত্যহিক জীবন যাপন। এই পরিবর্তন এডজাষ্ট হতে একটু সময় লাগে। প্্রথম দিকে একটু কষ্ট হয়। পরে ঠিক হয়ে যায়। রমজানে ভাল থাকা সম্ভব। যদি না একটু খাবার দাবার ভেবে খাওয়া হয়। একটু সচেতন থাকা যায়।
শাক, সবজি, ফলমুল, দুধ, দই খাওয়া ভাল। যে খাবার হজম হতে বেশী সময় লাগে। সে ধরনের খাবার বেছে নিন। আঁশ জাতীয় খাবার বেশি খেতে হবে। আঁশ জাতীয় খাবার হজম হতে সময় বেশী লাগে। অধিক ভাজা পোড়া খাবার যেমন-বেগুনি, চপ, চিকেন ফ্্রাই,গ্্িরল যত কম খাবেন, তত ভালো থাকবেন। এসব খাবার বদ হজম, বুক জ্বালাপোড়া ইত্যাদির জন্য দায়ী। হজমেও সমস্যা করে। সৃষ্টি করতে পারে এসিডিটি। ইফতারীতে রিচ ফুড যেমন বিরিয়ানী, তেহারী না রাখা ভাল।
একটু কষ্ট হয়। সে কারণে অনেকেই রোজার সময় ব্যায়াম থেকে বিরত থাকেন। এটি করবেন না। সকালে না হোক। ইফতারের পূর্বে কিছুক্ষন হাটুন। ঘরে তৈরী ইফতারী খাবার চেষ্টা করুন। দোকানের সিংহভাগ ইফতারী মান সন্মত নয়। ভেজাল তৈল, ব্যাশন, কৃত্রিম রঙ ব্যবহার করা হয়। একই তেল বারবার ব্যবহারে পলি নিউক্লিলিয়ার হাইড্্েরাকার্বন তৈরী হয়। যার মধ্যে থাকে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী বেনজা পাইরিন নামক পদার্থ। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ইফতারী তৈরী হয়। তাই ভালো থাকার জন্য দোকানের ইফতারী পরিহার করা উত্তম। ইফতারীতে খেজুর, ফলের জুস, চিড়া, কলা, আপেল, একটা ডিম, মুড়ি, অল্প কিছু ছোলা (কাচা ছোলা হলে ভাল) থাকতে পারে। পানি খেতে হবে কমপক্ষে আট গাস, নামাজের আগে এবং পরে। দু ভাগে ইফতার সম্পন্ন্ করা যেতে পারে। অতিরিক্ত খাবার ইফতারে পরিহার করতে হবে। ইফতারে অধিক আইটেম খাওয়া শরীরের জন্য ভালো নয়। এসিডিটি হতে পারে। হতে পারে বদ হজম। পরিমিত পুষ্টিসমৃদ্ব খাবার খেতে হবে। সাহরীতে ভাত বা রুটি সাথে সবজি, ডাল, একটুরো মাছ বা মাংশ, এক বাটি সালাদ থাকতে পারে। সাহরী বেগুন চাটনি, পটল পাতুরী থাকতে পারে। করলা ভাজি উত্তম খাবার হতে পারে রোজাদারদের জন্য। বিশেষকরে যাদের ডায়াবেটিস আছে।
খাবারের শেষ দিকে এক গাস দুধ খাওয়া যেতে পারে। সাহরীতে অতি ভোজন দোষনীয়। বেশী খেলে ক্ষুধা কম লাগবে। এটা মনে করে অনেকেই গলা অবধি খান। পরে অসুস্থ হয়ে পড়েন। কারণ পাকস্থলীর খাবার হজমের ক্ষমতারও একটা লিমিট আছে। বেশি খেলে ক্ষুধা কম লাগবে এটা ভুল ধারনা। বরং পরিমিত খেয়ে ভালো থাকা সম্ভব। রমজানে চা, কফি খাওয়া কমিয়ে দিন। এগুলো বেশি খেলে পানি শূন্যতা,কোষ্টকাঠিন্য হতে পারে। ধুমপানসহ অনান্য নেশা দ্্রব্য ত্যাগ করুন। অনেকে পানে মুখ ভর্তি জর্দ্দা খান। জর্দ্দা তৈরী হয় তামাক দিয়ে। তামাক ক্যান্সারের সৃষ্টি করতে পারে। মুখের মধ্যে গুল ভরে রাখেন অনেকে। এটাও ক্ষতিকর। পাণি খাবেন খানিকটা পর পর। ইফতারের পর থেকে । তারাবির নামাজে যাবার সময় হাতে একটা পানির বোতল নিয়ে যেতে পারেন। অনেকের লক্ষ্য থাকে, রমজানে ওজন কমাবেন। তারা শর্করা আছে এমন খাবার পরিহার করতে পারেন। আমিশজাত খাবার ও সবজি খেয়ে পেট ভরুন। চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিতে হবে। হালকা লেবুর শরবত খেতে পারেন।
রমজান সংযমের মাস। উদর পূর্তির বেলায় এ সত্য ভুলে যাওয়া যাবে না। বেশী খেলে আর আত্ব্শুদ্বি হলো কই? ইফতারের আয়োজন এমন না হয়। সাহরীতে অনেক পদ যেন না থাকে। যে খাদ্যের অপচয় হয়। সংযমের মাসে যেন আমরা অসংযমী ন্ াহই। একটু সচেতন হয়ে পরিমিত খাবার খেয়ে আমরা সকলে সুস্থ থাকতে পারি।
ফ্রীল্যান্স সাংবাদিক ও কলাম লেখক
০১৭১৫ ৩৬৪২০৩
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।