Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শিশুদের খাবারে দেশীয় ফল রাখুন

| প্রকাশের সময় : ২৩ মে, ২০১৯, ১২:০৫ এএম


আমরা ছোটবেলায় স্কুল থেকে বাড়ি সময় বড়ই, আখ, জামরুল, জাম, লটকন জাতীয় ফলগুলো খেতে খেতে বাড়ি আসতাম। একটা আখ খাওয়ার কেমন আনন্দ হাঁটতে হাঁটতে তা এখনকার ছেলেমেয়েরা জানেই না। বড়ইয়ের টক আর জামের রংয়ে স্কুলের রঙিন দিন এখন আটকে যাচ্ছে চকলেট, পচা জুস, ভেজাল আচার আর চুইনগামের রাসায়নিকের মধ্যে। শিশুরা জানেই না হাঁটতে হাঁটতে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরা ও টিফিনের খাবারে বিভিন্ন ফলের অসাধারণ ঘ্রাণ, রং আর আনন্দ! বাড়ির খাবারেও এসেছে বড় পরির্তন। আগে যেখানে সপ্তাহে কোনো কোনো সময় মাসে একবার বা দুবার মাংস খাওয়া হতো এখন সেখানে ফ্রিজ ভরা থাকে মাংসে, আর আমরা খাই প্রতিদিন। হোটেলগুলোতেও দেখা যায় গ্রিল আর নান রুটির অবাধ বিচরণ। শিশুরা হোটেলে গিয়ে, ফাস্টফুডের দোকানে গিয়েও প্রথমেই চায় এ ধরনের অস্বাস্থ্যকর খাবার। শরীরে বাড়তে থাকে খারাপ কোলেস্টরেল, বাড়তে থাকে মেদ আর এর সাথে যুক্ত হয় অবসাদ গ্রস্থতা । খাবারের মেনু থেকে প্রায় উঠেই গেছে টক ডাল, মাসকলাই ডাল, খাটাই, মিঠুরি, রসের ক্ষির, নোনা ইলিশ, কাউনের চালের জাও, কাঁঠালের তরকারি ইত্যাদি। নিম পাতা, গোমাগলির পাতা, দোল কলসের পাতাও এক সময় ওষুধি হিসেবে শাক রান্না করে খাওয়া হতো। শিশুরা থাকতো প্রাকৃতিকভাবেই রোগ মুক্ত। খাবারের মেনুতে যোগ হওয়া ফাস্ট ফুড আর মাংসের ছড়াছড়ি জিহ্বার আনন্দ বাড়ালেও কমিয়েছে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। সন্তানদের বাইরের খাবার কম কিনে দিন। প্রাকৃতিক খাবারের আনন্দ দেয়ার জন্য টিফিনের সময় বিভিন্ন ফল কিনে দিন। প্রাকৃতিক খাবারের দিকে দৃষ্টি ফেরান এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে উদ্যোগী হোন।
সাঈদ চৌধুরী
রসায়নবিদ ও সদস্য,
উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি
শ্রীপুর, গাজীপুর



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দেশীয় ফল
আরও পড়ুন