Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪, ০৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

রূপপুরে হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির খবরে দুদক নির্বিকার

সংবাদ সম্মেলনে রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২১ মে, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

রূপপুর আনবিক প্রকল্পে হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির খবরেও দুদকের নির্বিকার ভূমিকার সমালোচনা করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, এখানে হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির খবরে দুদকের কোন তৎপরতা নেই। কারণ দুদক বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের দমন এবং ক্ষমতাসীনদের দুর্নীতি মোছার যন্ত্র হিসেবে কাজ করে আসছে। দেশব্যাপী বিভিন্ন সেক্টরে দুর্নীতি ও লুটপাটের যে মহৌৎসব চলছে তাতে ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ জড়িত বলেই এগুলোর কোন বিচার হচ্ছে না। এক্ষেত্রে দুদক নখদন্তহীন নিশ্চল নির্বিকার প্রাণীর ভূমিকা পালন করছে। গতকাল (সোমবার) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, গণতন্ত্রের অনুপস্থিতিতে জবাবদিহিতার টেকসই নীতি নেই বলেই লুটপাটের নীতিই প্রাধান্য বিস্তার করেছে। এজন্য ঋণখেলাপীদের আরও ঋণ দেয়া হচ্ছে, আর মধ্যরাতের ভোটের সহায়তাকারীদের বিনা সুদে গাড়ী বাড়ী কেনার ঋণ দেয়া হচ্ছে। তাই মহাদুর্নীতির মাধ্যমে পকেট ভারী করাই হচ্ছে মিডনাইট সরকারের উন্নয়নের ভেতরের কাহিনী।
তিনি বলেন, দেশ যে দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে তার প্রমাণ ব্যাংক বীমা, কয়লা-পাথর, শেয়ার মার্কেট গলধঃকরণের পর এখন রূপপুর আনবিক প্রকল্পের সাগর চুরির দুর্নীতির খবরে বিস্মিত দেশবাসী। উন্নয়নের কথা বলে রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষ বাস্তবায়িত করা হচ্ছে মহাদুর্নীতির ওপর ভর করে। রূপপুর আনবিক প্রকল্পে বালিশ-কেটলীসহ প্রকল্পের বিভিন্ন সরঞ্জামাদি কেনার মহাদুর্নীতির খবরে দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। প্রকল্পে কর্মরত মালি-ড্রাইভারদের বেতন লাখ টাকার কাছাকাছি, যা শুধু নজীরবিহীনই নয় এটি একটি জাহাজ মার্কা দুর্নীতিরই দৃষ্টান্ত।
সরকার খালেদা জিয়াকে শুধুমাত্র প্রতিহিংসা ও জিঘাংসা চরিতার্থ করার জন্য জেলে বন্দী রেখেছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, সরকার প্রধান ঘোষণা দিয়েই দেশনেত্রীকে আজীবন জেলে রাখার প্রতিজ্ঞা বাস্তবায়ন করছেন। যা বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ জেনে গেছে। আইনী-প্রক্রিয়া ও প্রশাসনকে আঁচল বন্দী করে জেলের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে অমানবিক কায়দায় তিলে তিলে কষ্ট দিয়ে তাঁকে প্রাণনাশের নীলনকশা বাস্তবায়নের চূড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মানুষের স্বল্পায়ু এক ছোট্ট জীবনে অবৈধ ক্ষমতার মসনদে বসে হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে সরকার। মানুষকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য-উপহাস করছে, বড়াই আর অহংকার করছে! চুয়াত্তর বছর বয়সী ‘গণতন্ত্রের মা’ দেশনেত্রীর ভয়াবহ অসুস্থতা নিয়ে এই সংযম-সাধনার মাসেও ‘আয়েশ-পায়েশ’ বলে হাসি-তামাশা করছেন প্রধানমন্ত্রী নিজে। কিভাবে সম্ভব একজন অসুস্থ জাতীয় নেত্রীকে নিয়ে এমন নিষ্ঠুর আচরণ করা?
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে আপনি হত্যা করতে চাচ্ছেন। লন্ডনে আপনার মনের আসল কথা প্রকাশ করেছেন এবং দেশে এসে আপনার বক্তৃতা ও বেগম জিয়াকে জেলে রাখার কঠোর পদক্ষেপে সেটিরই প্রতিফলন নগ্নভাবে উন্মোচিত হয়ে পড়েছে জনগণের সামনে। আইনকে নিজের মতো করে ব্যবহার করা, সাজানো মামলা দিয়ে প্রহসনের বিচারে বেগম খালেদা জিয়াকে কারাদন্ড দেয়া সবকিছু আপনি নিজেই করেছেন, তা আপনার কথাতেই জনগণ নিশ্চিত হয়েছে। এখন আর কোন টালবাহানা-মিথ্যাচার-আষাঢ়ে গল্প বানিয়ে দেশনেত্রীকে জেলে রাখতে পারবেন না। জনগণের সামনে আপনার সব কুমতলব ফাঁস হয়ে গেছে। তাই আর কালক্ষেপণ না করে বেগম খালেদা জিয়াকে আপনার প্রতিহিংসাপরায়ণতার জিঞ্জির থেকে মুক্ত করে দিন। দেশের মানুষকে আর ক্ষিপ্ত করবেন না। আজই দেশের সকল মানুষ তাদের প্রিয় নেত্রীর মুক্তি চায়।



 

Show all comments
  • md billal hossain ২১ মে, ২০১৯, ১১:৪৮ পিএম says : 0
    দুদক,একটা ..........।শুধু খালেদা জিয়ার মামলা নিয়া বেস্ত।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রূপপুর

৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১৯ নভেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ