রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ইফতারের অন্যতম অনুষঙ্গ খেজুরের ব্যাপক চাহিদার কারণে গত দশ বছর ধরে কুমিল্লায় এপণ্যটির দাম কেবল বেড়েছেই। তবে এবারের রোজায় কুমিল্লার বাজারে মধপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা খেজুরের দাম সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। রোজায় হাট-বাজারে সবজি, মসলা থেকে শুরু করে নিত্যপণ্যের দাম যখন আকাশছোঁয়া তখন ইফতারের সৌন্দর্য খেজুরে স্বস্তি খুঁজে পাচ্ছেন রোজাদাররা।
খেজুর দিয়ে ইফতার করাটা রাসুল (সা.) এর সুন্নত অনুসরণ হিসেবেই পালন হয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে। আর তাই ইফতারে অন্য যত আইটেমই থাকুক, খেজুর থাকতেই হবে। ধনী-গরীব সবাই অন্তত একটি খেজুর মুখে নিয়ে ইফতার শুরু করে থাকেন। ইফতারে খেজুরের আমেজ ধরে রাখার জন্য কুমিল্লার বাজারে খেজুর কিনতে আসা ক্রেতারা বেশ সন্তুষ্ট। বিক্রেতারাও বেচাবিক্রিতে বেশ সাড়া পাচ্ছেন। ফল দোকানের পরিবেশ ও অবস্থান ভেদে কোথাও কোথাও খেজুরের দাম কেজিতে ৫-১০টাকা হেরফের হলেও কুমিল্লা সর্বত্রই খেজুরের দাম নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এবারে ফল দোকান ছাড়াও মুদি, বেকারি এবং স্টেশনারী দোকানেও খেজুর স্থান পেয়েছে। খেজুরের চাহিদার ব্যাপকতা থাকায় এবারে পাড়া মহল্লার অলি-গলির দোকানেও খেজুর বিক্রি হচ্ছে। কুমিল্লা নগরীর রাজগঞ্জ, কান্দিরপাড়, টমছমব্রীজ, শাসনগাছা, চকবাজার, রাণীরবাজার, পদুয়ার বাজার ও ক্যান্টনমেন্টের ফল বাজার ঘুরে জানা গেছে, রোজা উপলক্ষে বাজারগুলোতে সৌদিআরব, তিওনিশিয়া, আলজেরিয়া, দুবাই, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের আমদানি করা খেজুর উঠেছে। কুমিল্লার বাজার একচেটিয়া স্থান দখল করে আছে সৌদি ও তিউনিশিয়ার খেজুর।
এবারের রোজায় কুমিল্লার বাজারে সবধরণের খেজুরের দাম কম। সৌদি আরবের খোলা খেজুরের মধ্যে ফরিদা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০টাকায়। নাগাল খেজুর ১৭০টাকা কেজি। বড়ই খেজুর ২৫০ টাকা কেজি। সৌদিআরবের জেদ্দার উৎকৃষ্ট মানের মরিয়ম খেজুর বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৭শ’ টাকা কেজি। প্যাকেটজাত খেজুরের মধ্যে দুবাইয়ের এককেজি পরিমানের ক্রাউন খেজুর বিক্রি হচ্ছে ২৪৫টাকায়। সৌদি আরবের মদিনার বারজিগোল্ড ও আলআনসারের আধাকেজির প্যাকেট ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তিউনিশিয়ার ক্রাফট খেজুরের আধাকেজির প্যাকেট পাওয়া যাচ্ছে ২৫০টাকায়। আধাকেজি প্যাকেটের আলজেরিয়ার হাদডুদ ২শ’ টাকায় এবং আধাকেজি প্যাকেটের বারারি খেজুর ২৫০টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রাজগঞ্জ বাজারের ফল দোকানদাররা জানান, এবারের রমজানে আড়তে খেজুরের দাম সহনীয় থাকায় বিক্রিও হচ্ছে কমদামে। এবছর খেজুরের চালান সব নতুন। জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ ফলদোকান পরিদর্শনে এসেও এবারে কোন কিছুতেই সমস্যা পায়নি। নগরীর চানপুরের ক্রেতা লিটু, তাহের, পলাশ জানান রোজায় প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়লেও খেজুরের দাম বাড়েনি। এছাড়া খেজুরও বেশ তাজা মনে হচ্ছে। অন্যসব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনে যেখানে ক্রেতার নাভিশ্বাসগত সেখানে খেজুর কিনে স্বস্তিবোধ হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।