মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিশ্বের সবচেয়ে বড় খেজুর বাগান রয়েছে সউদী আরবে। সবুজ গাছে ঘেরা সুবিশাল সে বাগান। ওপর থেকে দেখলে মনে হয় বালুর ওপর কেউ বোধহয় সবুজ গালিচা বিছিয়ে রেখেছে। এই বাগানটিতে সারি সারি প্রায় দুই লাখ খেজুর গাছ রয়েছে। সউদী গণমাধ্যম আরব নিউজ ডট কম জানিয়েছে এই সুবিশাল বাগানটির অবস্থান মধ্য সউদী আরবের আল-কাসীম প্রদেশের রাজধানী বুরাইদা শহরের কাছে। এর আয়তন প্রায় ৫ হাজার ৪৬৬ হেক্টর। এই বাগানটি প্রায় ৪৫ ধরনের খেজুর উৎপাদিত হয়ে থাকে।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই খেজুর বাগানের মালিকের নাম শেখ সালেহ বিন আবদুল আযীয রাজেহী। তার নামানুসারেই বাগানের নাম রাখা হয়েছে ‘রাজেহী বাগান’।
যদিও শুরুতে এই বাগানটি কেবল খেজুরের বাগান ছিল না। ১৯৯০ সালের দিকে এখানে খেজুরের পাশাপাশি গম ও তরমুজও চাষ করা হতো। ১৯৯৩ সালে এসে বাগান মালিক সালেহ বিন আবদুল আযীয রাজেহীর নির্দেশে এখান থেকে গম ও তরমুজ সরিয়ে ফেলা হয়। এরপর সেখানে বিভিন্ন প্রকারের খেজুর গাছের আবাদ শুরু হয়।
রমজানে ওমরাহ পালনের উদ্দেশে যারা কাবা ও মদিনায় যান তারা প্রায় সবাই এই বাগানের খেজুর উপভোগ করেছেন। মূলত, রমজানে মক্কা-মদীনায় সর্বাধিক খেজুর সরবরাহ হয় এ বাগান থেকে।
সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার হলো, বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই খেজুর বাগানের কোনো খেজুরই বিক্রয়ের জন্য নয়। এই বাগানের পুরো উৎপাদনই আল্লাহর রাস্তায় ওয়াকফ করে দেয়া হয়েছে। আর এ কারণেই এ বাগানকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ‘ওয়াকফ সম্পত্তি’ হিসাবেও এই বাগানকে বিবেচনা করা হয়। গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ডে এ বাগানটি যুক্ত হয়েছে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, খেজুর উৎপাদনে সউদী আরব বিশ্বে প্রথম। দেশটির বিভিন্ন প্রান্তে আড়াই কোটির বেশি খেজুর গাছ সরকারি ও বিভিন্ন ব্যক্তি মালিকানাধীন রয়েছে। এসব গাছে প্রায় ৩৬০ প্রকারের খেজুর উৎপাদিত হয়ে থাকে। তার মধ্যে দেশটির মদীনা, মাসকানি, মাবরুম, বারহি, সাকি, মুনিফি, শাশি, সুকারি ও আযওয়া নামের খেজুর বেশ প্রসিদ্ধ।
উল্লেখ্য, এর আগে আল আহসা জাতিসংঘের বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের তালিকায় জায়গা করে নেয়। ২০১৯ সালে এটি আরব বিশ্বের পর্যটন রাজধানীর স্বীকৃতি পায়। তা ছাড়া ২০১৫ সালে বাগানটিকে লোককলা ও কারুশিল্পে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে ঘোষণা করে। সূত্র: আল আরাবিয়া
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।