Inqilab Logo

শনিবার ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ২৯ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

গুদামে ৫০০ কোটি টাকার চিনি

সংসদীয় কমিটির অসন্তোষ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ মে, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

অগ্রণী ব্যাংক থেকে ৫০০ কোটি ঋণ নিয়ে চিনি আমদানি করে তা গুদামে ফেলে রেখেছে চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশন। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে নেওয়া এই ঋণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সংসদীয় কমিটি। কমিটি জানতে চেয়েছে কার স্বার্থে এই ঋণ নিয়ে চিনি কেনা হয়েছে। তবে এর কোনো জবাব দিতে পারেনি কর্পোরেশন, এজন্য অসন্তোষ প্রকাশ করেছে সংসদীয় কমিটি।
গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এবিষয়টি উত্থাপন করা হলে কৃষকদের পক্ষ নিয়ে কথা বলেন কমিটির সদস্যরাও। ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা বলেন, চিনি বিক্রি হলো কি হলো না সেটি তো কৃষকদের দেখার বিষয় নয়। পরিশ্রম করে তারা পারিশ্রমিকের টাকা পাবেনা কেন? কলগুলো নি¤œমানের চিনি উৎপাদন করছে অভিযোগ করে বেশ কয়েকজন সদস্য বৈঠকে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে কমিটি এসব উত্তরণে মানসম্মত চিনি উৎপাদনের সুপারিশ করেছে। একইসাথে চিনি শিল্পের বিকাশে প্রয়োজনীয় করণীয় নির্ধারণে সরকারের কাছে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দিতে মন্ত্রণালয়কে কমিটি গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে। চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের আওতাধীন ১৫ চিনিকলের কাছে আখ চাষীদের ২২৫ কোটি টাকা পাওনা থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে এই পাওনা পরিশোধ করছে না মিলগুলো। যেকারণে সরকার নিয়ন্ত্রিত এসব কলের প্রতি ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করছে। তবে কলগুলো বলছে উৎপাদিত চিনি বিক্রি করতে না পারায় এই দৈন্যদশার সৃষ্টি হয়েছে। চিনি বিক্রি হলেই টাকা পরিশোধ করা হবে।
বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি আ, স, ম ফিরোজ সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, টাকার অভাবে চাষিদের কাছ থেকে কেনা আখের মূল্য পরিশোধ করতে পারছে না করপোরেশনের ১৫টি চিনিকল। চিনি কলগুলোর কাছে আখ চাষিদের আখের মূল্য বাবদ চাষিদের পাওনার পরিমাণ প্রায় ২২৫ কোটি টাকা। এদিকে উৎপাদিত চিনি বিক্রি না হওয়ায় মিলগুলো আরো বিপাকে পড়েছে। তাই কমিটি গুনগত মানসম্পন্ন চিনি উৎপাদনের সুপারিশ করেছে। একইসাথে কমিটি চিনির মিলগুলোতে কর্মরত শ্রমিকদের বেতন ভাতা যথা সময়ে পরিশোধ করারও সুপারিশ করেছে বলে জানান তিনি।
কমিটির সভাপতি আ, স, ম ফিরোজের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, ইসমাত আরা সাদেক, নারায়ন চন্দ্র চন্দ, মো. মাহবুব উল আলম হানিফ, মির্জা আজম, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মো. জিল্লুল হাকিম, মুহিবুর রহমান মানিক এবং বিশেষ আমন্ত্রণে মো. মজাহারুল হক প্রধান। বৈঠকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভিন্ন সুগার মিলস্ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
সংসদ সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোশনের অধীন সচল চিনিকল সমূহের বার্ষিক উৎপাদন, আয়-ব্যয়, লাভ-লোকসান ও ব্যবস্থাপনা, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের অধীন সচল চিনিকল সমূহের বিদ্যমান অডিট আপত্তি সমূহের উপর, কেরু অ্যান্ড কোম্পানী (বাংলাদেশ) লিমিটেডের বার্ষিক উৎপাদন, বিপণন এবং ব্যবস্থাপনা বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
এসময় বৈঠকে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের অধীনস্থ কেরু এন্ড কোং মিল এবং রেনউইক, যজ্ঞেশ^র অ্যান্ড কোং মিল ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে যথাক্রমে ৫৫০ দশমিক ৭২ লাখ টাকা এবং ১০৬ দশমিক ১১ লাখ টাকা লাভ করে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অসন্তোষ

১১ নভেম্বর, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ