বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে বিগত পৌরসভা নির্বাচনের বিদ্রোহী প্রার্থী মো: শফিুকুল ইসলাম হবিকে নৌকার মনোনয়ন দেওয়ায় ক্ষোভ অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের ভেতরে-বাইরে। এনিয়ে নাখোশ আওয়ামী নেতা-কর্মীদের চাপা ক্ষোভ নির্বাচনী পরিমন্ডলে বিশৃংখলা সৃষ্টি করছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।
দলীয় সূত্র জানায়, গৌরীপুর পৌরসভা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেয়েছেন শফিকুল ইসলাম হবি। তিনি ছিলেন বিগত ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্টিত নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। এ ঘটনায় ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করে গতবারের বিদ্রোহী প্রার্থীর নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী আবু কাউছার চৌধুরী রন্টি এবং সাদেকুর রহমান সেলিম। গত ২৯ ডিসেম্বর গৌরীপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা।
এক লিখিত বিবৃতিতে আওয়ামীলীগ নেতা আবু কাউছার চৌধুরী রন্টি জানান, ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্টিত গৌরীপুর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে শফিকুল ইসলাম হবি দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নারিকেল গাছ প্রতিকে নির্বাচন করে ৪১৫০ ভোট পায়। ওই নির্বাচনে প্রতিটি কেন্দ্রে বিদ্রোহী প্রার্থী হবির এজেন্ট নিযুক্ত ছিল এবং পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের ইসলামাবাদ কেন্দ্রে ৬০১ ভোট পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হবি বিজয়ী হয়েছিল।
আওয়ামীলীগ নেতা সাদেকুর রহমান সেলিম আরো জানান, জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সারাদেশে যখন বিদ্রোহী কোন প্রার্থীকে নৌকার মনোনয়ন দেয়া হচ্ছে না। তখন কেন বা কার স্বার্থে গৌরীপুরে বিদ্রোহী প্রার্থীকে নৌকার মনোনয়ন দেয়া হয়েছে, বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের মাঝে মিশ্রপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। আশা করছি বিদ্রোহী প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার করে আওয়ামী পরিবারের যে কোন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়া হলে দলের ঐক্য আরো সুদৃঢ় করতে ভূমিকা রাখবেন দলের নীতিনির্ধারক মহল।
দলীয় সূত্র আরো জানায়, গত ২৭ডিসেম্বর রাতে গৌরীপুর পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে শফিকুল ইসলাম হবির নাম ঘোষনার পরপরই স্থানীয় আওয়ামীলীগে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ এড়াতে পুলিশ এগিয়ে আসলে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হন সংশ্লিষ্ট থানার ওসি মো. বোরহান উদ্দিন। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই গৌরীপুর থানার এসআই মাইনুল রেজা বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয়ে আরও ২০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে। এ ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে গ্রেফতার আতঙ্ক বিরাজ করছেন। ফলে যে কোন সময় মনোনয়ন ইস্যুতে নির্বাচনী মাঠে আবারও কোন বিশৃংখল পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলেও আশঙ্কা আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীদের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।