Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আগে জানলে...

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ মে, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

বাবা বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ। চলতি বছরে সাংসদ পদে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন ছেলেও। ছেলের প্রতিদ্ব›িদ্বতায় কি খুশি নন বাবা ধর্মেন্দ্র? তিনি নিজেই জানিয়েছেন আগে জানলে ছেলে সানিকে গুরুদাসপুর থেকে প্রার্থী হতে দিতেন না। এর কারণ হিসেবে বর্ষীয়ান এই অভিনেতা-রাজনীতিবিদ বলেন, গুরুদাসপুর থেকে কংগ্রেসের হয়ে সুনীল জাখর ভোটে লড়ছেন জানলে ছেলে সানি দেওলের প্রতিদ্ব›িদ্বতার ব্যাপারে সম্মতি দিতেন না। কারণ সুনীল তার সন্তানসম। সুনীলের বাবা বলরাম জাখর তার নিজের ভাইয়ের মতো।
সানি দেওলকে গুরুদাসপুর থেকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। জাখরপুত্র সুনীল এ কেন্দ্রে প্রার্থী। ধর্মেন্দ্র বলেছেন, ‘গুরুদাসপুরে পৌঁছে আমি জানতে পারি যে সানি লড়ছে সুনীলের বিরুদ্ধে। সুনীলের বাবা বলরাম জাখরের সঙ্গে আমার খুব ভাল সম্পর্ক ছিল।’ তাই বিষয়টা আগে জানলে পারিবারিক সম্পর্কের কথা ভেবেই সানিকে বাধা দিতেন তিনি।
ধর্মেন্দ্রর কথায়, তিনি বলরাম জাখরের বিরুদ্ধে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করতে অস্বীকার করেছিলেন সুসম্পর্কের কারণেই। প্রাক্তন লোকসভা অধ্যক্ষ বলরাম জাখর ২০০৪ লোকসভা ভোটে রাজস্থানের চুরু কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেন। ধর্মেন্দ্র বিকানের থেকে বিজেপির হয়ে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেছিলেন এবং জয়ীও হয়েছিলেন।
ধর্মেন্দ্র বলেন, সুনীল এক জন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ। তার বাবাও রাজনীতিতে অভিজ্ঞ মানুষ। তাই সানির লড়াই করা ঠিক হয়নি এই আসনে। ধর্মেন্দ্র বলেন, ‘বলরাম জাখর আমাকে রাজনীতির প্রথম পাঠ শিখিয়েছিলেন। ধর্মেন্দ্র বলেন বলরামের হয়ে রাজস্থানে প্রচারে সাহায্য করেছিলেন তিনি।’ তিনি বলেন, ‘আমরা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি থেকে এসেছি। আমরা এখানে মানুষের সমস্যার কথা শুনতে এসেছি।’
সানির কথায়, কারও ভাবমূর্তি ভাঙিয়ে নয়, নিজের দেশসেবার মনোভাবকেই ভোটারদের সামনে তুলে ধরতে চান তিনি। তবে মোদীর জন্যই তার বিজেপিতে যোগদান বলে জানিয়েছেন এই বলিউড অভিনেতা। অটলবিহারী বাজপেয়ীর আমলে তার বাবা ধর্মেন্দ্রও বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। সেই প্রসঙ্গও উঠে আসে প্রচারের সময় সানির বয়ানে।
সদ্য বিজেপিতে আসা সানি দেওল গুরুদাসপুরে প্রচার শুরু করেছেন প্রয়াত বিনোদ খন্নার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে। তার অসমাপ্ত কাজগুলি প‚র্ণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বিনোদের স্ত্রী কবিতা স্বামীর আসনে সানিকে দাঁড় করানো নিয়ে অসন্তোষও প্রকাশ করেন। সূত্র: এনডিটিভি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিজেপি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ