মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে বারংবার বেআইনি টাকা লেনদেনের অভিযোগ করেছে শাসক ও বিরোধী সব দল। এবার সেই অভিযোগ আরও কিছুটা স্পষ্ট হল। রবিবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের আপ্ত সহায়ক গৌতম চট্টোপাধ্যায়ের কাছ থেকে উদ্ধার হল ১ কোটি টাকা। আসানসোল জিআরপির হাতে ধৃত বারাসতে বাড়ি দিলীপের আপ্ত সহায়ক গৌতম চট্টোপাধ্যায় ও অপর বিজেপি সদস্য ল²িকান্ত সাহু।
জিআরপি সূত্রে জানা গেছে, রোববার আসানসোল স্টেশনে দু জন ব্যক্তিকে একটি ব্যাগ নিয়ে সন্দেহভাজন ভাবে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে কর্তব্যরত নিরাপত্তারক্ষীরা। দুজনের ওপর নিরাপত্তারক্ষীদের নজর পড়ায় তা স্টেশনের এদিক ওদিক ঘোরাঘুরি শুরু করে। তাতেই সন্দেহ আরও দানা বাঁধে বলে জানানো হয়েছে জিআরপি সূত্রে। এরপরই দুজনকে জেরা শুরু করে আসানসোল জিআরপি। কথায় অসঙ্গতি থাকায় তাদের সঙ্গে থাকা ব্যাগের তল্লাশি নেওয়া হয়। ব্যাগ খুলতেই চোখ কপালে ওঠে জিআরপি কর্মীদের। টাকা গোনার মেশিনে উদ্ধার হওয়া নগদ অর্থ গুনে দেখা যায়, নগদ ১ কোটি টাকা কোনও রকম রশিদ ছাড়াই ব্যাগে করে নিয়ে যাচ্ছিলেন দিলীপের আপ্ত সহায়ক ও তার সঙ্গী।
এরপরই আয়কর দফতরকে খবর দেওয়া হয় জিআরপির তরফে। আয়কর আধিকারিকদের জেরার মুখে গৌমত জানায় ব্যাগ ভর্তি ১ কোটি টাকা তাদের। এরপরই রবিবার দুজনকে গ্রেফতার করে জিআরপি। অন্য দিকে অপর সঙ্গী ল²িকান্ত সাহু জানায়, তিনি বিজেপির সদস্য। এই ১ কোটি নগদ টাকা দলের। নির্বাচনের কাজের জন্য তারা এই টাকা নিয়ে যাচ্ছিলেন। যদিও এই টাকা কোথায় নিয়ে যাচ্ছিলেন সেই বিষয়ে কিছুই স্পষ্ট জানা যায়নি। জিআরপির তরফে জানানো হয়, এই ভাবে নদগ ১ কোটি টাকা ব্যাগে করে নিয়ে যাওয়া বেআইনি। সোমবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুজনকে পাঁচ দিনের হেফাজত চেয়ে আসানসোল আদালতে তোলা হলে ধৃতদের চারদিনের হেফাজত দেয় আদালত। এই ঘটনায় বিজেপি জেলা নেতৃত্ব ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছে।
গত শনিবার পিংলায় ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষের গাড়ি থেকে ১ লক্ষ ১৩ হাজার ৮৯৫ টাকা উদ্ধার হয়। আর সোমবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের আপ্ত সহায়ক গৌতম চট্টোপাধ্যায়ের কাছ থেকে উদ্ধার হল নদর ১ কোটি টাকা। লোকসভা নির্বাচনের আর বাকি শেষ তথা সপ্তম দফা। তার আগে এই ১ কোটি টাকা কোথায় যাচ্ছিল তাই এখন প্রশ্নের। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।