পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিলে দেশে শান্তি ফিরে আসবে বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এজন্য তিনি আগামী ঈদুল ফিতরের আগে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি করেন। দেশের গণতন্ত্রের স্বার্থে তাকে জামিন দেয়া দরকার বলেও মন্তব্য করেন এই বুদ্ধিজীবী। গতকাল (শনিবার) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে মজুলম জননেতা মওলানা ভাসানীর ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ দিবস উপলক্ষে ভাসানী অনুসারী পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশ এমন একটি রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে যেখানে খুন, গুম হত্যা, ধর্ষণ অহরহ ঘটছে। স্কুলের ছাত্রীরা এমনকি মাদরাসা ছাত্রীরাও রাস্তাঘাটে চলতে পারছে না। শুধু তাই নয়, নার্সরা পর্যন্ত নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারে না। আমরা নিরাপদে-নির্ভয়ে রাস্তায় চলাচল করতে পারি না। গাড়ি এসে চাপা দিয়ে যায়। এর থেকে দেশের জনগণ মুক্তি চায়। একটু শান্তিতে নিরাপদে রাস্তায় চলতে চায় মানুষ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আপনি (প্রধানমন্ত্রী) এখন বড় বিপদে আছেন। আপনি দেশের সবচেয়ে বড় ঋণখেলাপিদের নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ফলে দেশে আজ সুশাসন নেই, ব্যাংকগুলো খেলাপি হচ্ছে, শেয়ারবাজারে ধস নামছে। তিনি বলেন, কক্সবাজারে ২০২০ সালে স্ট্যাচু অব লিবার্টির আদলে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি স্থাপন করা হবে। এটা করা হলে বঙ্গবন্ধু হাসবেন না কাঁদবেন সেটা ভেবে পাই না। কারণ বঙ্গবন্ধুর গুরু মওলানা ভাসানীকে বাদ দিয়ে এটা করা কি ঠিক হবে? ভাসানী বেঁচে থাকলে বলতেন দেশের জনসাধারণ নিয়ে ভাবো।
প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে জাফরুল্লাহ চৌধুরী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী আপনি বলেছেন, আপনি বিদেশে চিকিৎসা নেবেন না। দেশে চিকিৎসা নেবেন এবং ১০ টাকা দিয়ে টিকিট কেটেছিলেন। কিন্তু চোখের অপারেশনের জন্য বিদেশে গেলেন। আশা করি আপনার চোখ ভালো হয়ে যাবে। তবে বিদেশে যে অপারেশন করলেন সে অপারেশন বাংলাদেশেও করানো যেত। আসলে কেউ কথা দিয়ে কথা রাখে না। তিনি বলেন, আপনার চোখের যে অপারেশনটা করিয়েছেন ওটা আমিও করিয়েছি। দেশে আমার সাড়ে তিন হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আপনার কত খরচ হয়েছে এটা দেশে এসে কি হিসাবটা দেবেন?
এসময় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, সংগঠনের নির্বাহী চেয়ারম্যান অধ্যাপক জসিম উদ্দীন আহমেদ, মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, প্রেসিডিয়াম সদস্য নঈম জাহাঙ্গীর, জহির উদ্দীন স্বপন, কৃষকদলের সদস্য লায়ন মিয়া মো. আনোয়ার, কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমূখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।