Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পশ্চিমবঙ্গে জনসভায় এবার মোদির মাঠও ফাঁকা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ মে, ২০১৯, ৬:১২ পিএম

গত মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গে ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি দলের সভাপতি অমিত শাহর জনসভার মাঠ ছিল ফাঁকা। তা নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। কিন্তু তা বলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনসভায় মাঠ ফাঁকা থাকবে? তা কী হয়। হ্যাঁ, সেটাই হয়েছে। বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়ায় মোদির জনসভার মাঠ ছিল প্রায় ফাঁকা। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া।

হতে পারে প্রবল গরম, কিন্তু স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভা বলে কথা। তাও আবার যে আসনটি এই বাংলায় সবচেয়ে নিরাপদ ভাবছে বিজেপি, সেই পুরুলিয়ায়। হিসেব মতো, মাঠ উপচে ভিড় হওয়ার কথা। কিন্তু বৃহস্পতিবার পুরুলিয়ায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে জনসভা করলেন, তাতে মাঠ ভরা তো দূর কথা, মোদির ভাষণের সময় মাঠের অধিকাংশ জায়গাই ফাঁকা পড়ে রইল।

এর আগে যোগী আদিত্যনাথের বনগাঁর সভা কিংবা অমিত শাহর কল্যাণী ও ঘাটালের সভায় মাঠের অবস্থা মুখ পুড়িয়েছে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির। কিন্তু নরেন্দ্র মোদির সভায় ভিড় নিয়ে ভাবনাই নেই, এমনটাই মনে করেছিলেন বিজেপি নেতারা। বাস্তবে দেখা গেল অন্য চিত্র। মাঠের অধিকাংশ জায়গাই ফাঁকা থেকে গেল।

পুরুলিয়াতে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির ফল তাক লাগিয়ে দিয়েছিল। শাসক তৃণমূলের সঙ্গে জোর টক্কর দিয়েছিল বিজেপি। তারপর গত কয়েকমাসে তিন বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার পুরুলিয়ার রাজনীতিকে বারবার সবার সামনে এনে দিয়েছে। তাই পুরুলিয়া নিয়ে আশায় বুক বাঁধছিল বিজেপি।

কিন্তু বৃহস্পতিবারে মোদির জনসভার কার্যত ফাঁকা মাঠ সেই হিসেবকেই সজোরে ধাক্কা মারল যেন। যদিও ব্রিগেডে হ্যাঙ্গার করে প্রধানমন্ত্রীর সভা করেছিল বিজেপি। তা নিয়ে এখনও বিজেপিকে ঠাট্টা করে এ রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল ও অন্যদিকে সিপিএমও।

মোদি জনসভায় ভাষণে তাকে উদ্দেশ্য করে কদিন আগে দেয়া মমতার বক্তব্যের জবাব দেন। তিনি বলেন, ‘আমি তো আপনাকে দিদি বলে সম্মান দিই। আপনার থাপ্পড়ও আমার কাছে আশীর্বাদ। থাপ্পড় মেনে নেব। তবে এটাও বলব যে, আপনি যদি চিটফান্ডের সঙ্গে জড়িত আপনার সঙ্গীদের থাপ্পড়ের দম দেখাতে পারতেন, তাহলে আপনাকে এত ভয় পেতে হত না।’

মঙ্গলবার পুরুলিয়ার সাঁতুরির সভা থেকে তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বাংলায় এসে যখন তৃণমূলকে তোলাবাজ বলে, মনে ঠাসিয়ে দিই একটা গণতন্ত্রের থাপ্পড়। নোট বাতিল করে মানুষের টাকা নিজেদের পকেটে ঢুকিয়েছে কে? কারা তোলাবাজি করে?’

পুরুলিয়ায় কয়লা মাফিয়াদের তৃণমূল সরকার মদত দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘কালো সোনার উপর বসে আছেন পুরুলিয়াবাসী। কোনও সম্পদের কমতি নেই এখানে। তবে তৃণমূলের সরকার কয়লা মাফিয়াদের মদত দিচ্ছে। আদিবাসীদের কথা ভাবছে না।’ বাংলায় গুণ্ডাতন্ত্র চলছে বলে প্রধানমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘২৩-র মে পর হিসাব নেওয়া শুরু করব। গুণ্ডা ও তাদের মদতদাতাদের কেউ ছাড় পাবে না।’

খবরে বলা হয়, পুরুলিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর সভার আগে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে চ‚ড়ান্ত বিশৃঙ্খলা দেখা যায়। তাদের মধ্যে রীতিমতো চেয়ার ছোড়াছুড়ি চলে যা সামলাতে হিমশিম খেতে হয় গেরুয়া কর্মকর্তাদের।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পশ্চিমবঙ্গ

১ আগস্ট, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ