প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
মাইকেল জ্যাকসন। পৃথিবীজোড়া যেমনি তার সুনাম তেমনি দুর্নামও কম নয়। তবে এবারের দুর্নামটি ভয়াবহ। তিনি টয়লেট ব্যবহারের পর জল ব্যবহার করতে চাইতেন না! জীবিত অবস্থায় নানা বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। আবার তার মৃত্যুর পরেও তাকে নিয়ে চলছে নানান গবেষণা। এতে বেরিয়ে আসছে নতুন নতুন তথ্য। পপ সাম্রাজ্যের অধিপতি মাইকেল জ্যাকসন সম্পর্কে এবার এক নতুন তথ্য হাজির করেছে নিউ ইয়র্ক পোস্ট। সেই সূত্র ধরে ডেইলি মেইলের অনলাইন সংস্করণ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
তাতে বলা হয়েছে, জ্যাকসন নাকি নোংরা জীবনযাপন করতেন। এ তথ্য নিশ্চয় জ্যাকসনের ভক্তদের ভালো লাগার কথা নয়। কিন্তু সত্য তো আর চাপা থাকে না। এক দিন না এক দিন তা ঠিক-ই প্রকাশ পায়।
নিউ ইয়র্ক পোস্ট মাইকেল জ্যাকসনের তিনজন গৃহপরিচারিকার সাক্ষাত্কার থেকে জানাতে পেরেছে, তিনি পরিচ্ছন্ন থাকতেন না। স্নান ও প্রাকৃতিক কাজে পানি ব্যবহার করতে চাইতেন না। জ্যাকসনের থাকার ঘর, রান্না ঘর আর শৌচাগারের মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য ছিল না।
এছাড়া বাসায় থাকা অবস্থায় তিনি গৃহপরিচারক ও পরিচারিকাদের সঙ্গে উগ্র আচরণ করতেন। কিছু একটা তার মনের মতো না হলে, তেড়ে যেতেন মারতে। এক পরিচারিকাদের ভাষায়, বাসায় তার বেশভুষাও ছিল খাপছাড়া। কচিকাঁচাদের ডায়াপার পরে থাকতেন। কিশোর-কিশোরীদের পোশাক পরতেন। তাদের নিয়ে আড্ডা দিতেন। অর্ধনগ্নাবস্থায় থাকা এক রকম অভ্যাসই ছিল তার।
পরিচারিকা জানান, ১৯৯৩ সালে এক শিশুকে যৌন নিপীড়নের দায় থেকে মুক্ত হওয়ার পর জ্যাকসন জীবনের প্রতি উদাসীন হয়ে পড়েন। ওই পরিচারিকার দাবি জ্যাকসন ছিলেন হলিউডের সবচেয়ে নোংরা মানুষ।
ঘরে জ্যাকসন হয়তো এমন ছিলেন, হয়তো না। কিন্তু পপ সংগীতের বিশ্বে তিনি যে রাজাধিরাজ, তা তো মানতেই হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।