মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
দুনিয়া মাতানো পপ তারকা মাইকেল জ্যাকসন মারা গেছেন প্রায় দশ বছর আগে। মৃত্যুর এত বছর পরও তাকে নিয়ে এখনো বিতর্কের সৃষ্টি হচ্ছে। এবারের বিতর্কের জন্ম একটি তথ্যচিত্রকে ঘিরে। জনপ্রিয় এই সঙ্গীত শিল্পিকে নিয়ে তৈরি তথ্যচিত্র ‘লিভিং নেভারল্যান্ড’ এই মাসেই প্রথম প্রদর্শনী হবে সানড্যান্স চলচ্চিত্র উৎসবে। কিন্তু তার আগেই সেটি নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
এই তথ্যচিত্রে দেখানো হয়েছে যে 'মাইকেল জ্যাকসন শিশুদের যৌন নিপীড়ন করতেন। যে অভিযোগ এর আগেও অনেকবার উঠেছে। তবে এই তথ্যচিত্রে তার কাছে যৌন নিপীড়নের শিকার বলে দাবি করছেন এমন দুজনের সাক্ষাৎকার রয়েছে। যাতে দেখা গেছে দুই জন পুরুষ বলছেন, তাদের বয়স যখন সাত ও দশ বছর তখন মাইকেল জ্যাকসন দ্বারা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তারা। দু’জনের বয়স এখন তিরিশের কোঠায়।
তার বিরুদ্ধে শিশুদের যৌন নিপীড়নের অভিযোগ নতুন নয়। ১৩ বছর বয়সী এক কিশোর জ্যাকসনের কাছে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এমন অভিযোগের তদন্তের অংশ হিসেবে ২০০৩ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার পুলিশ একবার ‘নেভারল্যান্ড’ নামে পরিচিত তার খামারবাড়িতে তল্লাসি চালিয়েছিলো। এই খামারবাড়িটির নামেই তথ্যচিত্রটির নামকরণ। এই অভিযোগে সেই সময় মাইকেল জ্যাকসনকে বিচারের মুখোমুখি হতে হয়েছিলো। তবে ২০০৫ সালে তাকে এই অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয় আদালত।
‘লিভিং নেভারল্যান্ড’ তথ্যচিত্রে বর্ণনা করা হয়েছে যে, ‘জনপ্রিয়তাকে ঘিরে তার যে ক্ষমতা তৈরি হয়েছিলো, তারকাদের ঘিরে শিশুদের মনে যে ধরনের চরম উন্মাদনা তৈরি হয়, মাইকেল জ্যাকসন সেটির অপব্যবহার করতেন, ছলচাতুরীর অবলম্বন করতেন।’ দুই পর্বের এই তথ্যচিত্রটি তৈরি করেছেন ড্যান রিড। এটি তৈরির পেছনে রয়েছে এইচবিও ও চ্যানেল ফোর-এর মতো বড় বড় নাম। রিড, এইচবিও ও চ্যানেল ফোর যৌথভাবে তথ্যচিত্রটির প্রযোজক।
এদিকে, তার পরিবার এমন দাবিকে কুরুচিপূর্ণ বলে বর্ণনা করেছে। এক বিবৃতিতে তথ্যচিত্রটি দিয়ে মাইকেল নামটিকে অপব্যবহারের এক ‘জঘন্য চেষ্টা’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে জুন মাসের ২৫ তারিখ কয়েকটি ঔষধের অতিরিক্ত বা ভুল প্রয়োগে মাইকেল জ্যাকসনের মৃত্যু হয়েছিলো। সূত্র: বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।