Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বৃষ্টিতে রাজধানীবাসীর স্বস্তি

স্টাফ রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ৪ মে, ২০১৯, ১২:৩২ এএম

রাজধানীতে টানা ২০ দিনের তাপদাহের পর স্বস্তির বৃষ্টি। ঘূর্ণিঝড় ফণীর তাণ্ডবের আশঙ্কার মধ্যেও এ বৃষ্টিতে রাজধানীবসীর মনে স্বস্তির ভাব ফুটে উঠেছে। গতকাল সকালে দুই দফা ও বিকেলের বৃষ্টি ঢাকাবাসীকে অনেকটাই স্বস্তি এনে দেয়। প্রায় দুই কোটি মানুষের এই নগরে ২০ দিন আগে শেষবারের মতো বৃষ্টি ঝরেছিল। উত্তর বঙ্গোপসাগরে গত ২৭ এপ্রিল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার পাঁচ দিন পর বাংলাদেশ সময় সকাল নয়টার দিকে ভারতের ওডিশায় আঘাত হানে ফণী। প্রায় ৭০০ কিলোমিটার দূরে প্রবল এই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানলেও বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় প্রভাব পড়তে সময় লাগে মাত্র ১০ মিনিট।
গতকাল সকাল সোয়া নয়টার দিকে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি ঝরতে শুরু করে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায়। ১০ মিনিট বৃষ্টির পর আধা ঘণ্টার বিরতি। এ সময় আবার রোদ ওঠে। আধা ঘণ্টা পর আবার ধূসর মেঘে ছেয়ে যায় ঢাকার আকাশ। এবার বেশ ভারী বৃষ্টি পড়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে যায়। গতকালের বৃষ্টি হওয়ার পর রাজধানীর তাপমাত্রা কমতে শুরু করে। দুপুর ১টার দিকে সবোর্চ্চ ৩৬ ডিগ্রি তাপমাত্রা ছিল। বেলা ২ টা ৪০ মিনিটে ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৩৪ দশমিক ২ এবং সর্বনিম্ম ছিল ২৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ফণীর প্রভাবে সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানের মত ঢাকায় বৃষ্টি শুরু হয়। তবে সে বৃষ্টির পরিমাণ বেশি ছিল না। দমকা হাওয়ার সঙ্গে মিনিট দশেকেই প্রকৃতিতে বইয়ে দেয় হিমেল পরশ। দিনের শুরুর দিকে দুই দফা ও বিকেলে এক দফায় বৃষ্টিতে ছুটির দিনে মানুষকে কিছুটা বিপাকে ফেললেও রাজধানীর বাসিন্দারা বেশ স্বস্তির সঙ্গে এই বৃষ্টিকে স্বাগত জানিয়েছে।
গতকাল সকালে দ্বিতীয় দফার বৃষ্টির পর রাজধানীর মানিকনগর কাঁচাবাজারে কথা হয় আমজাদ হোসেন নামের এক বেসরকারী ব্যাংক কর্মকর্তার সাথে। বৃষ্টি নিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করে তিনি বলেন, উফৃ বৃষ্টি! কাক্সিক্ষত কালবৈশাখী এবার আসেনি। তবে টানা ২০ দিনের তাবদাহ শেষে ফণীর বয়ে আনা এ বৃষ্টি সব কষ্ট ভুলিয়ে দিয়েছে।
রমজানের কেনা কাটা করতে বের হয়ে দৈনিক বাংলার মোড়ে বিকেলের বৃষ্টিতে আটকা পড়া রাজধানীর জসিমউদ্দিন রোডের বাসিন্দা মোমেনা বেগম বলেন, গত কয়েক দিনের গরমে ছেলে মেয়েদের নিয়ে অসম্ভব কষ্টের মধ্যে দিন কাটাতে হয়েছে। তিব্র গরমে ছোট মেয়েটার গত কয়েকদিন ধরে ডায়রিয়া আর জ্বরে ভোগতেছে। তিনি বলেন, গত প্রায় ২০ দিন এক টানা বৃষ্টি না হওয়ায় তাফদাহে যেন দেশটা পুড়ে যাচ্ছিল। এই বৃষ্টিতে অন্তত কিছুটা হলেও স্বস্তি পাওয়া যাবে।
বৈশাখ মাসের অর্ধেক সময় পার হয়ে গেলেও এবার বৈশাখে কাল বৈশাখীর দেখা পায়নি রাজধানীবাসী। ১৩ এপ্রিল বৃষ্টির পর ঢাকা ছিল প্রায় বৃষ্টিহীন। সাধারণত বৈশাখেই দেশে কাল বৈশাখী ঝড় বৃষ্টি বেশি হয়ে থকে। অথচ এই সময়ে দেশের এই মধ্যাঞ্চলে বৃষ্টি একেবারেই ছিল না। এ সময় ঢাকার ওপর দিয়ে কালবৈশাখী বয়ে না যাওয়ার কারণে, বৃষ্টি ও ঝড় না হওয়ায় দেশের অন্যান্য এলাকার মতো ঢাকা শহরের তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করতে থাকে নগরবাসী। তাদের অপেক্ষা কেবল এক পশলা বৃষ্টির। প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা হলেও ফণীর প্রভাবে বৃষ্টিতে গতকাল শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাজধানীবাসীর মনে স্বস্তি এনে দিয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বৃষ্টি

৫ অক্টোবর, ২০২২
১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ