পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির রাজনৈতিক দুরাবস্থার জন্য দলটির নেতারাই দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। লন্ডন সময় বুধবার রাতে সেন্ট্রাল লন্ডনের তাজ হোটেলে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের নেতারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে গত বুধবার বাংলাদেশ সময় সকাল সময় ৯টা ১৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। স্থানীয় সময় বিকেল ৩টা ৫৫ মিনিটে তাকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটটি হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছায়। যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিমসহ হাইকমিশনের কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সংসদে সত্যিকারের শক্তিশালী বিরোধী দল চেয়েছিলাম। কিন্তু ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে বিএনপি নিজেদের কারণেই শোচনীয় পরাজয় বরণ করেছে। তারা মনোনয়ন বাণিজ্য করেছে। তারা তিন শ’ আসনে ছয় শ’র বেশি দলীয় প্রার্থী বানিয়ে মনোনয়ন বাণিজ্য কেেরছে।জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে- এতে আমাদের কী করার আছে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী দলের নেতাদের মুজিববর্ষ পালনে আন্তরিকভাবে কাজ করার আহŸান জানান। প্রবাসী বাংলাদেশি প্রজন্মের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন ও আদর্শ পৌঁছে দিতেও প্রবাসী নেতাদের তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী। যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুকের নেতৃত্বে এ সময় যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের নেতারা প্রধানমন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
এই সফরে লন্ডনে ছোট বোন শেখ রেহানার পরিবারের সঙ্গেও সময় কাটাবেন শেখ হাসিনা। শেখ রেহানার মেয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের এমপি টিউলিপ সিদ্দিক গত জানুয়ারিতে দ্বিতীয় সন্তানের মা হয়েছেন। নাতির সঙ্গে এবারই প্রথম দেখা হবে নানি শেখ হাসিনার। লন্ডন সফরে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গীদের মধ্যে রয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম প্রমুখ।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেছেন বাইপাস সার্জারির পর সুস্থ হয়ে উঠতে থাকা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বুধবার সকাল ৯টার দিকে তাদের এ ফোনালাপ হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রী তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেন। ওবায়দুল কাদের নিজের বর্তমান শারীরিক অবস্থার বিষয় প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আরও দুই সপ্তাহ সিঙ্গাপুরে অবস্থান করে সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে দেশে আসতে বলেন প্রধানমন্ত্রী। সিংগাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে গত ২০ মার্চ বাইপাস সার্জারির পর ওবায়দুল কাদের এই প্রথম কারো সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বললেন।
গতকাল সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগের তথ্য কর্মকর্তা শেখ ওয়ালিদ ফয়েজ সাংবাদিকদের বলেন, স্যার (ওবায়দুল কাদের) অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকরা তাকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়ার পরই দেশে ফেরার পরামর্শ দিয়েছেন। কোনো বিপত্তি না ঘটলে ১৫ দিন পরই ওবায়দুল কাদের দেশে ফিরবেন।
গত ৩ মার্চ সকালে বুকে প্রচন্ড ব্যথা নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি হন ওবায়দুল কাদের। সেখানে এনজিও গ্রাম করার পর তার করোনারি ধমনিতে তিনটি বøক ধরা পড়ে। ভারতের বিখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ দেবী শেঠির পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য ৪ মার্চ তাকে সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়। পরে ২০ মার্চ মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে মন্ত্রীর বাইপাস সার্জারি সম্পন্ন হয়। শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে গত ২৬ মার্চ ওবায়দুল কাদেরকে হাসপাতালের আইসিইউ থেকে কেবিনে নেওয়া হয়। বাইপাস সার্জারির পর সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল থেকে ওবায়দুল কাদের গত ৫ এপ্রিল ছাড়পত্র পান। তিনি হাসপাতালের কাছেই একটি ভাড়া বাসায় থাকছেন এবং নিয়মিত হাঁটাচলা করছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।