Inqilab Logo

সোমবার, ০৩ জুন ২০২৪, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সিটি করপোরেশনের বর্জ্য শ্রমিকদের যেন মে দিবস নেই: ঝুকি নিয়ে চালায় পরিচ্ছন্নতা

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১ মে, ২০১৯, ৫:৫৯ পিএম

আজ মহান মে দিবস। দিবসটি উদযাপনে দেশজুড়ে নানা কর্মসূচী পালিত হবে, বড় বড় আলোচনা, বক্তৃতা হবে। শ্রমিকদের দাবি পূরণে আশ্বাস আর প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি ফোটাবেন বক্তারা। কিন্তু এই দিনেও নগর আর নগরবাসীকে পরিচ্ছন্ন রাখতে কাজ করে যেতে হবে বর্জ্য শ্রমিকদের। সসিকের ডাম্পিং ইয়ার্ডে কাজ করা আরেক শ্রমিক শফিকুর রহমান (১৮)। বাবা নেই তাই মা, ভাই বোনসহ ৭ জনের সংসার চালাতে এখানে কাজ করেন তিনি। শফিকুর রহমান বলেন, প্রায় ৬ বছর যাবত এখানে কাজ করছি। এককালীন কিছু টাকা পাওয়া যায় তাই এই কাজ করছি। শফিক বলেন, এখানে কাজ করা অনেক কষ্টকর। মানুষ যেটা ফালাইয়া দেয় আমরা সেটা নিয়া কাজ করি। তাই অনেক ঝুঁকি নিয়েই কাজ করি। তবে আমাদের সুরক্ষার জন্য সিটি করপোরেশনের আরো উদ্যোগী হওয়া দরকার। সিটি থেকে যে জুতা দেওয়া হয় সেটা একমাস কাজ করলেই নষ্ট হয়ে যায়। তাই নিরাপত্তার জন্য জুতা আরো বেশি দরকার। নগরীর থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার লালমাটিয়া অবস্থিত সিটি করপোরেশনের ডাম্পিং ইয়ার্ড। সেখান থেকে কিছু শ্রমিক বর্জ্যবহনকারী গাড়ীতে করে আবর্জনা রাখার নির্ধারিত স্থানে গিয়ে বর্জ্য নিয়ে আসেন। এই বর্জ্যগুলো শ্রেণীভেদে সারানোর কাজ করেন কিছু শ্রমিক। সিটি করপোরেশনের তথ্য অনুযায়ী, সিলেট নগরে জনসংখ্যা ৪ লাখ ৮৫ হাজার ১৩৮। এই নগরে প্রতিদিন ২৫০ থেকে ২৮০ মেট্রিক টন বর্জ্য উৎপাদন হয়। এই বর্জ্য প্রক্রিয়াজাত করতে ডাম্পিং ইয়ার্ডে দৈনিক ৩০০ টাকা মুজুরিতে কাজ করেন ২০ থেকে ২৫ জন শ্রমিক। এই কাজের জন্য ছয় মাস পর পর গামবুট আর মাস্ক দেওয়া হয় শ্রমিকদের। তবে শ্রমিকরা বলছেন, বিগত দেড় বছর যাবত কোনো সুরক্ষা উপকরণ দেওয়া হয়নি তাদের। এখানে কর্মরতদের কোনো ধরনের সুরক্ষার (গামবুট, মাস্ক ও গ্লাভস) ব্যবস্থা ছাড়া কাজ করার ফলে শ্রমিকদের বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। শ্রমিক সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, ঝুকি নিয়ে কাজ করতে হয়ে তাদের। অসুস্থ হয়ে ঘরে পড়ে থাকলে খোঁজ খবর নেয় না কেউ। কত শ্রমিক হাত-পা কেটে চিকিৎসা করাতে পারে না, সিটি করপোরেশনের কাজ করলেও এই দায়ভার সিটি নেয় না। স্থায়ী শ্রমিক তাদের করা হয় না, চিকিৎসার টাকাও দেয়া হয় না। বরং কাজে না আসলে চাকরি চলে যায়। দেড় বছর আগে গামবুট আর মাস্ক দেওয়া হয়েছিল সিটি থেকে। এরপর আর কোনো খোঁজ খবর নেই। আমাদের যে গাম বুট দেওয়া হয় ১ মাস কাজ করলেই নষ্ট হয়ে যায়। অন্তত দুই মাস পরপর গামবুট দেওয়া দরকার। আবর্জনা পরিষ্কারে গ্লাভস খুব জরুরি হল্ওে কর্তৃপক্ষ তা সরবরাহ করে না।
এ ব্যাপারে সিলেট সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মো. হানিফুর রহমান বলেন, বর্জ্য শ্রমিকদের সুরক্ষার জন্য গামবুট আর মাস্ক দেওয়া হয়। ডাম্পিং ইয়ার্ডের শ্রমিকদের ছয় মাস আগেও এসব উপকরণ দেওয়া হয়েছে। দৈনিক ৩০০ টাকা মুজুরিতে কাজ করেন তারা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মে দিবস

৩০ এপ্রিল, ২০২২
১ মে, ২০২১
১ মে, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ