পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গুমোট অবস্থার মধ্যেই হঠাৎ দেশের রাজনীতিতে ঝড়ো হাওয়া। ২৯ এপ্রিল ৪ জন এমপির শপথ গ্রহণের খবর অন্ধকারে থাকা বিএনপির নেতাকর্মীদের করে তোলে দিশেহারা। কিন্তু সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বার্তা দেন ‘তারেক রহমানের সিদ্ধান্তেই বিএনপি সংসদে যাচ্ছে’। রটানো হয় দীর্ঘ ১৫ মাস থেকে কারাগারে থাকা অসুস্থ বেগম জিয়ার প্যারোলে মুক্তির ‘সমঝোতায়’ বিএনপি সংসদে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কয়েক ঘণ্টা পর পাল্টে যায় দৃশ্যপট। বেগম জিয়ার মুক্তির সমঝোতা বা ক্ষমতাসীনদের কোনো চাপে নয়; বরং ‘সুযোগ-সুবিধার লোভ’ সংবরণ করতে না পেরেই বিএনপির এমপিরা শপথ গ্রহণ করেছেন।
নির্বাচনের ১২০দিন পর হঠাৎ বিএনপির সংসদে যাওয়াকে বুদ্ধিজীবী ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ‘ভুল পদ্ধতি’ হিসেবে অবিহিত করেন। ২৯ এপ্রিল বিকেলে এমপিদের শপথ গ্রহণ, সন্ধ্যায় বিএনপি মহাসচিবের সংবাদ সম্মেলনের পরই তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘বিএনপি ভুল পদ্ধতিতে সংসদে গেল। দলটির উচিত ছিল, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ নিয়ে একটি সংলাপে যাওয়া। প্রধানমন্ত্রী রাজি না হলেও বিএনপির চেষ্টা করা উচিত ছিল। সেখানে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি প্রকাশ্যেই আলোচনা করে একটি ফয়সালায় আসা যেত। আর তারেক রহমানের নির্দেশেই এমপিরা শপথ নিয়েছেন এটা মনে হয় ঠিক নয়। এত বুদ্ধি তারেক রহমানের নেই।
হঠাৎ অবস্থান ১৮০ ডিগ্রী ঘুরে এমপিদের শপথ নেয়ায় কেন্দ্র থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ। এমনকি ২০ দলীয় জোটের শরীকরাও হঠাৎ করে এমন সিদ্ধান্তে কিংকর্তবত্যবিমূঢ় হয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের শরীক দলগুলোর নেতারা জানান, দলের ভিতরে রটানো হয় মধ্যপ্রাচ্যের একটি প্রভাবশালী দেশ বেগম জিয়ার প্যারোলে মুক্তি নিয়ে সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করে বিএনপিকে সংসদে যোগদানে উদ্বুদ্ধ করেছেন। ‘বেগম জিয়ার মুক্তি’ সমঝোতায় নেতাকর্মীদের মধ্যে কিছুটা হলেও স্বস্তি আসে। কিন্তু পরে তারা জানতে পারেন মূলত: পার্শ্ববর্তী একটি দেশের ‘কূটনৈতিক চালে’ বিএনপির এমপিরা শপথ নিয়েছেন; সেই সঙ্গে তাদের লোভও ছিল। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গণমাধ্যমকে বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া কিংবা তারেক রহমানের সঙ্গে প্যারোলের দরখাস্ত করা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। তাঁরা কিছুই বলেননি। সরকারের কোনো পর্যায়েই বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে কোনো নেগোসিয়েশন (সমঝোতা) হয়নি। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, তিনি শপথ নেবেন না। কৌশলের অংশ হিসেবেই বিএনপির বাকি এমপিরা শপথ নিয়েছেন। তিনি শপথের সময় চেয়ে আবেদন করেননি। তিনি সংসদে যাবেন না এটা সুচিন্তিত কৌশলের অংশ।
বিএনপিপন্থী এক বুদ্ধিজীবী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বিএনপির নেতৃত্বের চরম ব্যর্থতা-স্বেচ্ছাচারিতা-পরমুখাপেক্ষিতা পরিলক্ষিত। তারা যেন দিল্লি তুষ্টিতে অতি উৎসাহী। তবে সমস্যা ছিল, মির্জা ফখরুল ছাড়া অন্যদের শপথ নেওয়া ঠেকানো যাচ্ছিল না। দলের যুগ্ম মহাসচিব হারুনুর রশীদকে শপথ নেয়া থেকে বিরত রাখার চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় বিএনপিকে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে হয়েছে। তবে উচিত ছিল বেগম জিয়ার মুক্তি নিশ্চিত করে সংসদে যাওয়া। ওই বুদ্ধিজীবীর মতে, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ভালো না। সংসদে যাওয়া নিয়ে বিএনপি আগের অবস্থানে থাকলে সরকার বিএনপির চেয়ারপারসনের জামিন, প্যারোল বা মুক্তির বিষয়ে কঠোর অবস্থানেই থাকবে। আন্দোলনের মাধ্যমে তাঁর মুক্তির কোনো সম্ভাবনা আপাতত দেখছে না বিএনপি। ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে।
সংসদে যোগ দেয়া নিয়ে গতকাল মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সময় প্রমাণ করবে যে এটা (সংসদে শপথ নেয়া) সঠিক সিদ্ধান্ত হলো কি হলো না। আমরা বিশ্বাস করি এই সিদ্ধান্তটা সঠিক সিদ্ধান্ত। অনেকে অনেক কথা বলতে পারেন। তবে একটা কথা মনে রাখতে হবে- কোনো কিছু স্ট্যাটিক বা স্থির নয়, পরিবর্তন হয়। সময়ের প্রয়োজনে সেই সিদ্ধান্তটা পরিবর্তন হয়। আমরা যখন সব স্পেসে চেষ্টা করছি, তখন ওই স্পেসটাকে নিয়ে রাখতে চাচ্ছি।
৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে ৬জন এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই বিএনপি নেতারা বলে আসছিলেন বর্তমান সংসদ অবৈধ। এই সংসদে তারা যাবেন না। তাদের দলের নির্বাচিতরা শপথ গ্রহণ করবেন না। কারণ শপথ গ্রহণ করলে এই সরকার ও সংসদকে বৈধতা দেয়া হবে। এজন্য ঐক্যফ্রন্টের দু’জন এমপি শপথ গ্রহণ করার পর তাদের ‘বেঈমান’ ‘গণদুশমন’ ‘গাদ্দার’ হিসেবেও আখ্যা দেয় দলটির নেতারা। ২৯ এপ্রিল সন্ধ্যা পর্যন্ত বিএনপির এই অবস্থানের কথাই জানতেন দলটির নেতাকর্মীসহ সারাদেশের মানুষ। সে জন্য ৪ এমপি শপথের পর তাদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের কটুক্তি করা হয়। এদিকে সংসদে যাওয়ার পক্ষে বিএনপির কোনো পর্যায়ের নেতা গত তিন মাসে একটি বক্তৃতাও দেননি। বরং গুঞ্জনের কথা শুনেই কোনো কোনো নেতার বক্তব্যে ইঙ্গিত ছিল, শপথ নেওয়ার অর্থই জাতির সঙ্গে প্রতারণা ও বেঈমানি। দলের স্থায়ী কমিটি শপথ নেওয়ার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। কিন্তু এই ইস্যুতে হঠাৎ করে ইউটার্ন নিয়েছে দলটি।
যদিও গত কয়েকদিন ধরেই বিএনপি মহাসচিবসহ বেশ কয়েকজন নেতা শপথের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে চাপের বিষয়টি উল্লেখ করছিলেন। গুঞ্জন ছিল বিএনপি নেতারা শপথ নিলে খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়ে সরকার ইতিবাচক হবে। কিন্তু সরকার ও বিএনপির বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে সরকারের চাপে নয়, বিএনপির এমপিরা নিজেরাই শপথ নেয়ার জন্য সরকারের সাথে যোগাযোগ করেছেন। চাপের কথা বলে নেতাকর্মীদের করেছেন বিভ্রান্ত। আর খালেদা জিয়ার মুক্তির বিনিময়ে শপথের বিষয়েও সরকারের সাথে কোন ‘ডিল’ হয়নি। যা শোনা যাচ্ছে তা কেবলই গুজব। লোভ সংবরণ করতে না পেরে বিএনপির নির্বাচিত এমপিরাই এসব ছড়িয়েছেন।
মৌলভীবাজার-২ ও সিলেট-২ আসনের এমপিদের শপথ নেয়ার পর বিতর্ক হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে জনমত গঠন হয়েছে। দলীয় নেতাকর্মীরা তাদের ধিক্কার দিয়েছে। এমনকি গণফোরামে এ নিয়ে চলছে গৃহযুদ্ধ।
গত ২৫ এপ্রিল ঠাকুরগাঁও-৩ আসন থেকে নির্বাচিত বিএনপির এমপি জাহিদুর রহমান শপথ গ্রহণ করেন। তার শপথ গ্রহণের পর থেকেই বিএনপির অন্যান্য এমপিদের শপথের বিষয়টি আলোচনায় আসে। বিএনপি ও বিভিন্ন সূত্র থেকেই তখন থেকে জানা যায় অন্য চারজন এমপিও শপথ গ্রহণ করতে পারেন। তবে শনিবার জাহিদকে দল থেকে বহিষ্কার করে স্থায়ী কমিটি। এর দুদিন পরে দলটির আরও ৪জন এমপি শপথ গ্রহণ করে। যদিও অনেকেই এ ঘটনার সঙ্গে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি মিলবে কি না তার যোগস‚ত্র খোঁজার চেষ্টা করেন। কারো কারো ধারণা ছিল পর্দার আড়ালে সমঝোতা হয়ে থাকতে পারে। তবে সরকারের বিভিন্ন সূত্রে এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিএনপির এমপিদের শপথ গ্রহণের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোন ধরণের চাপ ছিল না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়টি স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন। সংসদ সচিবালয় ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একাধিক সূত্র জানায়, বিএনপিকে শপথ গ্রহণের চাপের তো প্রশ্নই ওঠে না বরং দলটির এমপির শপথ গ্রহণের জন্য নিজেরাই অসংখ্যবার সরকার পক্ষের সাথে যোগাযোগ করেন এবং তাদের আগ্রহের কথা জানান। আর শপথ গ্রহণের সাথে খালেদা জিয়ার জামিনের বিষয়েও সরকারের সাথে বিএনপির কোন ‘ডিল’ নেই বলে জানা যায়। সরকারও এমন কোন প্রস্তাব বিএনপিকে দেয়নি। প্রধানমন্ত্রীর একজন ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা জানান, বিএনপির এমপিরা নিজেরাই লোভ সংবরণ করতে না পেরেই সংসদে শপথ গ্রহণ করেছেন। সরকার তাদেরকে কখনই শপথ নেয়ার বিষয়ে জোর দেয়নি বা কোন ধরণের চাপ সৃষ্টি করেনি। খালেজা প্যারোলে মুক্তির সমঝোতার আজগুবি প্রচারণা বিএনপির নির্বাচিত এমপিরা নিজেদের শপথকে দল ও মানুষের কাছে বৈধ করতেই ছড়িয়েছেন। অন্যদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে সরকার বিএনপিকে কোন আশ্বাস কিংবা কোন ধরণের আলোচনা করেনি।
বিএনপি ও সরকারের সূত্র জানায়, সরকারের প্রথম দুই মাসে বিএনপি থেকে তেমন আগ্রহ না থাকলেও এপ্রিল মাস জুড়েই বিএনপির এমপিরা শপথ গ্রহণে মরিয়া হয়ে ওঠেন। এজন্যই তারা নিজেরাই সরকারের চাপের কথা বলে দল ও দলের নেতাকর্মীদের বিভ্রান্ত করেন।
হঠাৎ করে দলের এমন অবস্থানে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেছেন বিএনপি সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলছে ব্যাপক সমালোচনা ও বিতর্ক। যারা শপথ গ্রহণ করেছেন এবং শপথের পক্ষে কথা বলছেন তাদের মÐুপাত করছেন নেতারা। তারা শপথ নেয়া এমপিদের ‘বেঈমান’ ‘বিশ্বাসঘাতক’ হিসেবে অবিহিত করছেন। গত নির্বাচনে পটুয়াখালী থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী হাসান মামুন লিখেছেন- যারা শেখ হাসিনার করুনায় নির্বাচিত হয়েছেন, তারা শেখ হাসিনার অবৈধ ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট ভোগ করতেই পার্লামেন্টে যোগ দিয়েছেন!!!
দিদারুল ইসলাম রাব্বি লিখেছেন, দল ও জনগণের সাথে প্রতারণা করে বিএনপি সংসদে যোগ দিয়েছেন। তারেক রহমানের নাম দিয়ে তা হালাল করার চেষ্টা চলছে।
সামিউল বারী নামে একজন লিখেছেন- বিএনপি নেতাদের এখন সুলতান মনসুরের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। কারণ উনি যখন শপথ নেন তখন তারা কত নোংরাভাবে গালাগালি করেছিল। রুহুল আল মামুন নামে একজন লিখেছেন- সত্যিই আজ কিছু বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি, তবে এটুকু বলতে পারি নির্লজ্জ বিএনপি যে শুধু আপন স্বার্থ ও ক্ষমতার রাজনীতি করে তা স্পষ্ট হয়ে গেল। সাগর নামে একজন লিখেছেন- বর্তমানে দেশে কৌতুক অভিনেতার বড়ই আকাল। সংসদে না এসে এরা ভাড়ের অভিনয় করলে শতভাগ সফল হতো।
দলের এই অবস্থানকে ভালোভাবে নিচ্ছেন না দলটির সিনিয়র নেতারা। স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের কাছে বিষয়টি অবিশ্বাস্য মনে হয়েছে। দলের সিদ্ধান্ত হলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের শপথ না নিলেন না কেন? সে প্রশ্নও রাখেন তিনি।
দলের স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, দলীয় সিদ্ধান্ত। এখন আমাদের মেনে নিতে হবে। তবে এ ঘটনা ভালো কী মন্দ এটি ইতিহাসে একদিন প্রমাণ হবে। তবে এ দেশের রাজনীতিতে এ ধরনের নাটকীয় সিদ্ধান্ত আগেও অনেকবার হয়েছে। লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান বলেন, যেটা হলো সেটি পুরো ইউটার্ন এবং স্ববিরোধী!
ক্ষুব্ধ ২০ দলীয় জোট:
সংসদে যাওয়ার ইস্যুতে পুরোপুরি ইউটার্ন নিয়েছে বিএনপি। জোটের প্রধান দল বিএনপির এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে ২০ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোর মধ্যে। প্রধান শরিক দলের এমন অবস্থানে ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত জোটের নেতারা। বিএনপি এর মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে বলে দাবি তাদের। দলটি এককভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে জানিয়ে তারা বলেন, আমরা তাদের কাছে জোটের বৈঠকে অবশ্যই এর ব্যাখ্যা চাইবো।
জোটের অন্যতম শরিক লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বলেন, বিএনপি সর্বপ্রথম এ নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছিল। নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করার পরে ওই ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে তারা সংসদে যাচ্ছে, এখন তারা দলের কর্মীদের কী জবাব দেবে? জনগণকে কী জবাব দেবে? সেটা তাদের ওপর নির্ভর করে। তবে আমি মনে করি এটা হঠকারী একটি সিদ্ধান্ত।
এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহদাত হোসেন সেলিম বলেন, ৩০ ডিসেম্বর যেখানে কোনো নির্বাচন হয়নি আমরা সেই সংসদে শপথের বিপক্ষে। এটা জাতির সঙ্গে প্রতারণা হয়েছে। বেইমানি করা হয়েছে। চক্রান্তের অংশ হিসেবে তাদের এমপি করা হয়েছে। এই চক্রান্তের কারণে তারা শপথ নিয়েছেন।
কল্যাণ পার্টির মহাসচিব এম এম আমিনুর রহমান বলেন, বিএনপি শপথ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েও যেভাবে লুকোচুরি করে শেষ সময়ে এসে শপথ নিলো এটা দুঃখজনক। এটা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। এই ছলচাতুরিনীতি ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে বিএনপির জন্য বুমেরাং হবে।
লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, কারাবন্দি বেগম খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রেখে এমপিদের শপথ নেয়া সঠিক হয়নি। অযথা এই ভুলের মাশুল ১৬ কোটি মানুষকে দিতে হবে।
বিএনপির সংসদে যাওয়ার সমালোচনা করে ২০ দলীয় জোটের অন্যতম নেতা ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, এটা ‘পলিটিক্স’, এই বলে কোন অনৈতিক কর্মকে বৈধতা দেয়া যায় না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।