Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ডিসিসিআই’র মতবিনিময় সভায় ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ: রোজায় পণ্যের দাম বাড়বে না

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩০ এপ্রিল, ২০১৯, ৯:৩৯ পিএম

বাণিজ্য সচিব মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, ব্যবসায়ী সমাজ দেশের জনসাধারণের খাদ্য সরবরাহ ও চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তিনি বলেন, আমাদের বাজার ব্যবস্থা স্থিতিশীল না হওয়ার কারণে রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। তিনি ব্যবসায়ীদের পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি না করার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানান। তিনি জানান, এ বছর রমজানে ব্যবহৃত প্রতিটি পণ্যের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে, ফলে দাম বৃদ্ধির কোনো সম্ভাবনা নেই। কেউ যদি বাজারকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করে, তাহলে সরকার তা কঠোরভাবে দমন করবে। তিনি সকলকে নীতি- নৈতিকতার সাথে ব্যবসা পরিচালনার আহ্বান জানান। বাণিজ্য সচিব ভোক্তাদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত পণ্য সামগ্রী কিনে মজুদ না করার প্রতিও গুরুত্ব দেন।

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)- এর আয়োজনে আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে দ্র্যব্যমূল্য সহনীয় ও পণ্যের গুণগত মান অক্ষুণœ রাখা বিষয়ক এক মতবিনিময় সভা মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকা চেম্বার অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। স্বাগত বক্তব্যে ডিসিসিআই সভাপতি ওসামা তাসীর বলেন, বিগত বছরগুলোয় পবিত্র রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য, বিশেষ করে- ছোলা, চিনি, চাল, দুধ, ভোজ্য তেল, খেজুর, খেসারি প্রভৃতি পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে। তিনি বলেন, ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যানুযায়ী, এ বছর ২০১৯ এর মার্চ থেকে এপ্রিল মাসের ব্যবধানে নিত্য প্রয়োজনীয় কিছু কিছু পণ্যের দাম ২৬ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এ মূল্যবৃদ্ধির মূলে প্রথাগত বাজার সরবরাহ প্রক্রিয়া, অতিরিক্ত মজুদকরণের মাধ্যমে বাজারে পণ্যদ্রব্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি, অপর্যাপ্ত ও সমন্বয়হীন বাজার মনিটরিং, পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি, যানজট এবং অতিরিক্ত পরিবহন ব্যয়ের মতো বিষয়সমূহ কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। পাশাপাশি ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোর উচ্চ সুদের হার এবং ঋণপ্রাপ্তি সংশ্লিষ্ট জটিলতা প্রভৃতির কারণে ব্যবসা পরিচালন ব্যয় বেড়ে যায়। ঢাকা চেম্বারের সভাপতি এ অবস্থা নিরসনে রমজানে আমদানি নির্ভর ভোগ্যপণ্য বন্দরে দ্রুত খালাসকরণ, পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি ও যানজট নিয়ন্ত্রণে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, দেশের সকল বাজারে নিয়মিত মূল্য তালিকা হালনাগাদ, প্রদর্শন ও মূল্যতালিকা কার্যকর করা, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা এবং বন্দর এলাকা, পাইকারি বাজার ও ব্যস্ততম পাইকারি বাণিজ্যিক এলাকায় সাপ্তাহিক ছুটির দিন ও সান্ধ্যকালীন ব্যাংকিং সেবা প্রদানের জন্য গুরুত্বারোপ করেন। এ ছাড়াও জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে টিসিবি’র কার্যক্রম সম্প্রসারণের আহ্বান জানান।

মুক্ত আলোচনায় বিশেষায়িত ব্যবসায়ী সমিতিসমূহের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন। এ আলোচনায় পাইকারি পর্যায়ে পণ্যের মূল্য এবং খুচরা পর্যায়ে পণ্যের দামের অসঙ্গতিপূর্ণ ব্যবধান, পণ্য পরিবহনে অতিরিক্ত ব্যয়, চাঁদাবাজি ইত্যাদি সমস্যার কথা তারা তুলে ধরেন। সকল প্রয়োজনীয় পণ্যের মজুদ পর্যাপ্ত রয়েছে জানিয়ে বাণিজ্য সচিবের মতামত ও আহ্বানের প্রতি তারা একাত্মতা জ্ঞাপন করেন। আলোচকবৃন্দ পাইকারী ও খুচরা বাজারে মূল্য বৃদ্ধির বিষয়টি সরকারের পর্যবেক্ষণের আওতায় নেওয়ার আহ্বান জানান। ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি ওয়াকার আহমেদ চৌধুরী ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। ডিসিসিআই সহ-সভাপতি ইমরান আহমেদ, পরিচালক দ্বীন মোহাম্মদ, এনামুল হক পাটোয়ারী, মোহাম্মদ বাশীর উদ্দিন এবং বিশেষায়িত ব্যবসায়ী সমিতিসমূহের প্রতিনিধিবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পণ্যমূল্য

২৭ মে, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ