Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ০৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

দেবে যাওয়া ব্রিজে ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার

দুর্ভোগে দুই উপজেলার জনগণ

আতাউর রহমান আজাদ, টাঙ্গাইল থেকে : | প্রকাশের সময় : ৩০ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার নাকাসিম এলাকায় ন্যারো সেতুটি দেবে গিয়েছে। ফলে দুই উপজেলার যাতায়াত ব্যবস্থা প্রায় অনুপযোগী হয়ে পড়ে। সেতুটির একপাশ দেবে যাওয়ায় অর্ধেক সেতুতে বানানো হয়েছে বেইলি ব্রিজ। এছাড়াও সেতুতে রয়েছে অসংখ্য ফাটল। এতে যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনা এড়াতে বড় কোন পদক্ষেপ নেই সড়ক ও জনপদ বিভাগ কর্তৃপক্ষের।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের লিঙ্ক রোড বাসাইল ও সখীপুর উপজেলার সড়ক। যে সড়ক দিয়ে প্রতিদিন দুই উপজেলায় হাজার হাজার মানুষ গাড়ী দিয়ে চলাচল করে। বাসাইল উপজেলা পর্যন্ত সড়কটিতে চারটি মুল সেতুর মধ্যে দুইটির কাজ সম্পন্ন হলেও নাকাসিম এলাকায় জরাজীর্ণ এই ন্যারো সেতুটি দীর্ঘ দিন আগে মাঝখানে ফাটল ধরে দেবে যায়। এতে কয়েকদিন গাড়ী চলাচল বন্ধ থাকার পরে এই ব্রীজের অর্ধেক অংশে বেইলী ব্রীজ স্থাপন করে চলাচলের উপযোগি করা হয়। কিন্তু সেতুটিতে ফাঁটল থাকায় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছে এই রাস্তায় চলাচলকারী যাত্রী ও পরিবহন চালকরা।
এই রাস্তায় চলাচলরত পরিবহণ চালকরা বলেন, এই ব্রীজ ভাঙার পরে ব্রিজের উপর চিকন এই বেইলী ব্রিজ স্থাপন করা হয়েছে এবং ব্রিজের দুইপাশে আধলা ইট বসানো হয়েছে। এমনিতেই একপাশে গাড়ি দাড় করিয়ে আরেক পাশের গাড়ী যেতে হয়। এতে ব্রিজের দুইপাশে গাড়ী আসলেই সৃষ্টি হয় যানজট। দুইপাশে ইট বসানোর কারণে ব্যাটারী চালিত অটো রিক্সা, সিএনজি চালিত অটোসহ ছোট যানগুলো যাত্রী নিয়ে উঠতে পারে না এবং প্রায় দুর্ঘটনার শিকার হয়। এতে স্কুলগামী শিক্ষার্থী ও রোগী নিয়ে পড়তে হয় বিপাকে।
এই ব্রিজটি খুব দ্রুত সংস্কার করা দরকার। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে কোন কারণে যানজট হলে, এই রাস্তাটি বিকল্প রাস্তা হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে। কিন্তু এখন সম্ভব না। বরং আমরা এখন আতঙ্কে নিয়ে গাড়ী চালাতে হয়, কখন যেন পুরো ব্রিজটি ধসে পরে।
যাত্রী রহমান বলেন, এই রাস্তায় প্রায় জায়গায় ভাঙাচুরাতো আছেই, তার মধ্যে এই ভাঙা ব্রিজের কাছে আসলেই কোমরে চাপ লাগে, কোন অসুস্থ রোগী নিয়ে যাতায়াত করা যায় না। ব্রিজে গাড়ী উঠার সময় যাত্রীরা নেমে যায়। যদি গাড়ীসহ ব্রিজ ভেঙে যায়। সরকারের কাছে আমাদের সকলের দাবি, অতি দ্রুত এই ব্রিজটি নতুন করে বসিয়ে আমাদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
টাঙ্গাইল সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আমিমুল এহ্সান বলেন, বাসাইল উপজেলায় যে ব্রিজটির অবস্থা খারাপ হয়েছে সেটি অনেক পুরনো ব্রিজ। তলদেশে ব্রিজের গার্ডার অনেকটা দেবে গেছে।
ব্রিজটি দিয়ে আপাতত পারাপারের জন্য বেইলি স্থাপন করেছি। আমরা চেষ্টা করছি ব্রিজটি নতুনভাবে করার জন্য, তা না হলে প্রকল্পের আওতাভুক্ত করে ব্রিজটি তৈরি করে দেয়া হবে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ব্রিজ

২ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ