গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
![img_img-1720117598](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678211639_df.jpg)
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
অনগ্রসর পরিবার, মেয়ে, প্রতিবন্ধী, সংখ্যালঘুদের জন্য মানসম্মত কারিগরি শিক্ষা ও বৃত্তির মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়ন করে র্কমসংস্থান ও আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের ডিপার্টমেন্ট অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ট্রেড এর সহায়তায় ‘কোয়ালিটি এডুকেশন অ্যান্ড স্কিলস ফর ট্র্যান্সফরমেশন-(কোয়েস্ট)’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে ইউসেপ বাংলাদেশ। রোববার (২৮ এপ্রিল) মিরপুরস্থ ইউসেপ বাংলাদেশ মিলনায়তনে প্রকল্পটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার জুলিয়া নিবলেট। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের ডিপার্টমেন্ট অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ট্রেডের টিম লিডার ফাহমিদা শবনম, ইউসেপ বাংলাদেশের চেয়ারপার্সন পারভীন মাহমুদ এফসিএ, ইউসেপ বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক তাহসিনাহ আহমেদ। অনুষ্ঠান শেষে ইউসেপ বাংলাদেশের শিক্ষাথীরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।
জুলিয়া নিবলেট বলেন, বাংলাদেশের রাস্তার শিশুদের জন্য দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার উপর প্রভাব পড়ছে। এটি একটি কঠিন বাস্তাবতা। ৫ লাখ বাংলাদেশি ছাত্র ছাত্রী প্রতিবছর স্কুল থেকে ঝড়ে পড়ছে। এর মধ্যে মাত্র এক ভাগ ভোকেশনাল ট্রেনিং নেয়। বাংলাদেশের সামাজিক অর্থনৈতিক অবস্থা উন্নতির জন্য এই সেক্টরে মনোযোগ দেয়া প্রয়োজন। ইউসেফ বাংলাদেশ এর মাধ্যমে ট্রেনিং নিয়ে অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ দেয়ার জন্য তাদেরকে স্বাগত জানাই। অস্ট্রেলিয়ান এইড খুবই কমিটেড বাংলাদেশের একজন মানুষও যাতে পিছিয়ে না থাকে। তাই আমরা অর্থনৈতিক সাহাজ্য করছি ইউসেফ এর এই কোয়াষ্ট প্রোগ্রাম এর মাধ্যমে। স্কিল ডেভেলপ করে সে তার ইনকাম বাড়াবে তার নিজের জন্য, তার পরিবারের জন্য এবং সর্বশেষ বাংলাদেশের জন্য। বাংলাদেশের ৭ ভাগ প্রতিবন্ধি, এটা খুব বেশি। অস্ট্রেলিয়ান সরকার এই অক্ষমতা দূর করার জন্য কাজ করছে। তারা এখন পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ শিখে দক্ষ হয়ে উঠছে। আমরা নারীদের উন্নতির জন্য কাজ করছি।
উল্লেখ্য, আন্ডারপ্রিভিলেজড চিলড্রেনস এডুকেশন প্রোগ্রাম-এ শব্দগুলোর সংক্ষেপিত রূপ ইউসেপ। মূলত নিউজিল্যান্ডের সমাজকর্মী লিন্ডসে অ্যালান চেইনির পরিকল্পনা ও প্রচেষ্টায় ইউসেপ বাংলাদেশ একটি অলাভজনক বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা হিসেবে ১৯৭২ সালে যাত্রা শুরু করে। শহরাঞ্চলের দরিদ্র, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সাধারণ ও কারিগরি শিক্ষা এবং উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে তাদের র্কমসংস্থান ও আত্ম-র্কমসংস্থানে সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে এই প্রতিষ্ঠানটি নানা তাদের কাযক্রমগুলো পরিচালনা করে আসছে। দেশে ইউসেপ বাংলাদেশ ৩২টি সাধারণ স্কুল ও ১০টি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।