পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করায় এই সংসদে শপথ না নেয়ার সিদ্ধান্ত ছিল বিএনপির। দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও সুস্পষ্টভাবে শপথের বিষয়ে নেতিবাচক মনোভাব জানিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু দলের সিদ্ধান্ত এবং শীর্ষ দুই নেতার নির্দেশনা অমান্য করেই এমপি হিসেবে শপথ নিয়েছেন ঠাকুরগাঁও-৩ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত জাহিদুর রহমান। তার শপথ গ্রহণের পর থেকেই রাজনৈতিক অঙ্গনে গুঞ্জন রয়েছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়া বাকী ৪জন এমপিও যেকোন দিন শপথ গ্রহণ করতে পারেন। এদের মধ্যে আগামীকাল রোববার দু’জন বিএনপির এমপি শপথ গ্রহণের বিষয়ে সরকার পক্ষের কাছে ইতোবাচক মনোভাব ব্যক্ত করেছেন বলেও একটি সূত্রে জানা গেছে। বিএনপি থেকে বলা হচ্ছে, যারা শপথ নেবেন, তাদের বিরুদ্ধে দলীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে জাহিদুর রহমান শপথ নেয়ার দুইদিন পরও এখনো তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি দলটি।
৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট ডাকাতির অভিযোগে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে বিএনপি। এই নির্বাচনে বিএনপির ৬জন এমপি নির্বাচিত হন। এদের মধ্যে- ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে জাহিদুর রহমান, বগুড়া-৪ আসনে মোশাররফ হোসেন, বগুড়া-৬ আসনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আমিনুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ হারুনুর রশীদ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে উকিল আবদুস সাত্তার।
বর্তমান সংসদ অবৈধ দাবি করে এই সংসদে শপথ গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি। গত ১৪ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাথে দলটির তিনজন সিনিয়র নেতা দেখা করলেও তিনিও শপথ গ্রহণের বিষয়ে নেতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করেন। পরে ১৫ এপ্রিল নির্বাচিত এমপিদের ডেকে নিয়ে গুলশানে বৈঠক করেন মির্জা ফখরুল। সেখানে দলের পক্ষ থেকে শপথ গ্রহণের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেয়া হয়। পরবর্তীতে স্থায়ী কমিটির সভায় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শপথ না নেয়ার বিষয়টি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন। কিন্তু এতকিছুর পরও দলের সিদ্ধান্ত না মেনে গত বৃহস্পতিবার শপথ গ্রহণ করেছেন জাহিদুর রহমান। শপথ নিয়েই তিনি জানিয়েছেন মহাসচিব ছাড়া দলের বাকি সদস্যরাও শপথ নিতে পারেন। দেখি তারা আসেন কিনা। এলে একসঙ্গে সংসদে যোগ দেবো। যদিও জাহিদের শপথের পর তার নির্বাচনী এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। শপথ নেয়ার বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে নির্বাচিত হারুনুর রশীদ বলেন, আমার ওপর জনগণের চাপ আছে, তারা চায়, আমি সংসদে গিয়ে কথা বলি। দলীয় ফোরামেও সংসদে যাওয়ার বিষয়ে আমরা ইতিবাচক কথা বলেছি, তবে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এখনো সময় আছে, দেখা যাক কী হয়। দলীয় সিদ্ধান্তের বিষয়ে আমরা অপেক্ষা করছি। কারণ ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত এখনো সময় আছে। আর আমরা চাচ্ছি যে, দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত হোক- তাহলে আমরা দলীয়ভাবে সংসদে যেতে পারি। আর কেউ চাইলে শপথ নিতেও পারেন, আবার নাও নেতে পারেন।
বগুড়া-৪ আসনের মোশাররফ হোসেন বলেন, আমি এখনো দলীয় সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি। আমার অবস্থান পরিষ্কার। দল চাইলে আমি সংসদে যাবো, আর দল না চাইলে যাবো না। আমি দলের দিকে তাকিয়ে আছি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের আমিনুল ইসলাম বলেন, শপথ নেবো কি নেবো না- এই বিষয়ে আমি এখনো কোন সিদ্ধান্তে যেতে পারি নাই। দলের সিদ্ধান্তও জানি। শপথ নিলে সবাইকে জানাব। তবে আমি নানামুখী চাপে আছি।
এদিকে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে না যাওয়ার কথা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন বগুড়া-৬ আসন থেকে নির্বাচিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, দলের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে, বিএনপি সংসদে যাবে না, শপথ নেবে না। যদি কেউ দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে শপথ নেন, তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ, এটা সাংগঠনিক অপরাধ। দলের সিদ্ধান্ত যেটা ছিল, সেটাই এখনো আছে। কেউ যদি তা অমান্য করে, তাহলে সেটা তার একান্ত সিদ্ধান্ত। আমি নিজেও দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যাবো না।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, ৩০ ডিসেম্বর দেশে কোনো ভোট হয়নি। আমরা ওই নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করেছি। যেখানে আমরা নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করলাম, স্বাভাবিকভাবেই আমাদের সিদ্ধান্ত হলো যে, আমাদের নির্বাচিতদের সংসদে যাওয়াটা সঠিক হবে না। আমরা এই সংসদ নির্বাচনকে বৈধতা দেওয়ার জন্য সংসদে যেতে পারি না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।